গত জুলাইয়ে ইংল্যান্ডে সাসেক্সের হয়ে খেলতে গিয়ে চোট পান মুস্তাফিজ। লন্ডনে গত ১১ অগাস্ট অস্ত্রোপচার হয় তার বাঁ কাধে। এরপর কিছু দিন ছিল শুধুই বিশ্রাম। দিন কয়েক হলো, শুরু হয়েছে পুনর্বাসন। সোমবার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুস্তাফিজ জানালেন, সবকিছু এগোচ্ছে ঠিক পথেই।
“এখন অনেক ভালো আছি। অপারেশনের পর ৬ সপ্তাহ মতো পার হয়েছে। ডাক্তার যেভাবে বলেছে, সেভাবেই কাজগুলো করছি। সবকিছু ভালোর দিকে যাচ্ছে।”
“২-১ দিনের মধ্যে রিহ্যাব শুরু হবে। সবকিছু ঠিকঠাক করছেন বায়োজিদ ভাই (জাতীয় দলের ফিজিও)।”
মুস্তাফিজ যদিও বলছেন, পুনবার্সন শুরু হবে দুই-এক দিনের মধ্যে, আদতে সেটা শুরু হয়েই গেছে। জাতীয় দলের ফিজিও বায়োজিদুল ইসলাম খান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন, এখনও কেবল প্রাথমিক পর্যায়ে বলেই পুনবার্সনের ধকলটি বুঝতে পারছেন না মুস্তাফিজ।
“লন্ডনে ওর অস্ত্রোপচার করেছেন যিনি, সেই ডাক্তারের পরামর্শ মতোই সব কিছু হচ্ছে। সব লিখে দিয়েছেন উনি। আশা করি, সব কিছু ঠিকঠাক এগোবে।”
পুনর্বাসনের পরের ধাপ যখন শুরু হবে, সেটি খুবই কষ্টসাধ্য, একঘেয়ে ও বিরক্তিকর একটি প্রক্রিয়া। একাকী নিজের ড্রিলগুলো করে যেতে হবে দিনের পর দিন, সপ্তাহের পর সপ্তাহ। নিজের সঙ্গে লড়াই আর মানসিকতার পরীক্ষা। তবে অতীত অভিজ্ঞতা মুস্তাফিজকে ভরসা দিচ্ছে কঠিন সময় ভালো ভাবে পার করায়।
“রিহ্যাব প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিজ্ঞতা আছে। আগেও ইনজুরিতে পড়েছি। তাছাড়া অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইনজুরিতে পরে এই প্রক্রিয়ার ভেতর দিয়ে গিয়েছি। এ বিষয়ে আমার অভিজ্ঞতা রয়েছে। অভ্যাস হয়ে গেছে।”
আসছে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজে খেলতে পারবেন না, তবে মাঠে ঠিকই নিয়মিত মুখ মুস্তাফিজ। দলের সঙ্গে অনুশীলন করতে না পারলেও অনুশীলন দেখছেন প্রতিদিনই। কথা-আড্ডা হচ্ছে ক্রিকেটারদের সঙ্গে।
তবে জানালেন, কাছে থেকেও দলে থাকতে না পারাটা কষ্ট দিচ্ছে তাকে।
“জাতীয় দলে যোগ হওয়ার পর খেলার মধ্যেই ছিলাম। এখন খেলতে পারছি না। কষ্ট আর কী! ভালো খারাপ মিলিয়েই থাকবে। মিস তো অবশ্যই করছি। বাইরে থেকে সবাই অবশ্য খুব সাপোর্ট দিচ্ছে।”