প্রথম দিনে দর্শক সামারাবিরা

বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব পেয়ে নিজের উচ্ছ্বাসের কথা জানিয়েছেন থিলান সামারাবিরা। শ্রীলঙ্কার সাবেক এই ব্যাটসম্যান নতুন শিষ্যদের অনুশীলনের প্রথম দিন ছিলেন দর্শকের ভূমিকায়।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 Sept 2016, 03:34 PM
Updated : 18 Sept 2016, 03:34 PM

ঈদের ছুটি শেষে রোববারই মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথমবার অনুশীলন করে জাতীয় ক্রিকেট দল। কৃত্রিম আলোয় ক্রিকেটারদের অনুশীলন শেষে নিজের প্রথম দিনের অভিজ্ঞতার কথা জানান সামারাবিরা।

“প্রথম দিন আমি খুব শান্ত ছিলাম। ওদের চার-পাঁচ জন সম্পর্কে আমি জানি, ওদের বিপক্ষে খেলেছি। নতুন কয়েক জন এসেছে। আমি খেলোয়াড়দের সম্পর্কে আজ জানতে চেয়েছি।”

প্রথম দিন সেন্টার উইকেটে প্রতিটি নেটে গেলেন সামরাবিরা। সব নেটের সামনে সময় দিয়ে দেখলেন নতুন শিষ্যদের ব্যাটিং। ব্যাটসম্যানদের সঙ্গে কথা বললেন। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসের সঙ্গে কথা বললেন অনেকক্ষণ।

দু দফায় সেন্টার উইকেটে ব্যাট করা তামিম ইকবালকে দিয়ে শেষ হল অনুশীলন। সবশেষে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের সঙ্গে কথা বললেন সামারাবিরা।

অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা আছে সামারাবিরার। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ব্রিজবেনে অস্ট্রেলিয়ার ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারেও কাজ করেছেন তিনি। আবার একটি জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ শুরু করে রোমাঞ্চিত তিনি। 

“সত্যি বলতে কী এটা খুব রোমাঞ্চকর। দারুণ সব খেলোয়াড়ের সাথে আন্তর্জাতিক খেলায় কাজ করাটা আমি মনে করি খুবই রোমাঞ্চকর একটি ব্যাপার।”

আর চার দিন পর চল্লিশে পা দেবেন সামারাবিরা। দেশের হয়ে খেলেছেন ৮১ টেস্ট, ৫৩টি ওয়ানডে। চার বছর ধরে আছেন অস্ট্রেলিয়ায়। লম্বা অভিজ্ঞতায় তার উপলব্ধী কোচিং করার সময় সংস্কৃতিটা বোঝা জরুরি।

“আমি মনে করি, কোচিংয়ের দিক থেকে আপনাকে সংস্কৃতিটা বুঝতে হবে। আমি মনে করি, এশিয়ান সংস্কৃতি থাকায় আমি ঠিক আছি। এখানে (শ্রীলঙ্কায়) আমি ৩৪ বছর ছিলাম। গত তিন-চার বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছি, সেই সংস্কৃতির সঙ্গেও মানিয়ে নিয়েছি। আমি মনে করি, সবচেয়ে বড় ব্যাপার হল সাংস্কৃতিক দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া।”