স্পষ্ট শোনার পরও কেমন যেন বিশ্বাস হতে চাইছিল না ব্যাটির। শুক্রবার দল ঘোষণার পরও কাটেনি সেই বিশ্বাসের ধাক্কা। ১১ বছর পর আবার টেস্ট খেলার হাতছানিতে উচ্ছ্বসিত এই অফ স্পিনার।
বাংলাদেশ সফরে ইংল্যান্ডের ১৭ সদস্যের টেস্ট স্কোয়াডে জায়গা পেয়েছেন এই অফ স্পিনার। বাংলাদেশে প্রথম টেস্টের আগেই তার বয়স পূর্ণ হবে ৩৯। সবশেষ টেস্ট খেলেছেন সেই ২০০৫ সালে, বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
বিস্মৃতির আড়াল থেকে ব্যাটির এভাবে সুযোগ পাওয়ায় বিস্মিত ক্রিকেট বিশ্বের অনেকেই। চমকে গেছেন এই অফ স্পিনার নিজেও।
“এটা ছিল যেন অবাস্তব কিছু, তবে দারুণ এক সম্মান…এ রকম একটা ফোনকল পাওয়া তো দারুণ! দেশকে প্রতিনিধিত্ব করার জন্য বিমানে চেপে বসছি, এরকম খবর পাওয়া তো কখনই খারাপ কিছু নয়!”
স্কোয়াডে ডাক পেলেও একাদশে জায়গা পাওয়া সহজ হবে না। দলে আছেন চার জন স্পিনার। তবে ব্যাটি আত্মবিশ্বাসী। জানালেন, আগের চেয়ে এখন বেশি ভালো বোঝেন নিজেকে।
“ওখানে না যাওয়া পর্যন্ত কিছু জানার উপায় নেই। তবে গত কয়েক বছরে নিজের খেলাটা আমি অনেক বেশি বুঝেছি, নিজের শরীরটাকেও ভালো করে জানি এবং ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করছি। বুঝতে পারি, খুব ভালো অবস্থানে আছি।”
শুধু স্পিনার হিসেবেই নয়, ২৩৮টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা অভিজ্ঞ ব্যাটিকে স্পিনারদের মেন্টর হিসেবেও ভাবছে নির্বাচকরা। আপাতত ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞ স্পিন কোচও নেই। আসছে ভারত সফরে শুধু সপ্তাহ দুয়েকের জন্য স্পিন পরামর্শক হিসেবে পাওয়া যাবে সাকলায়েন মুশতাককে।
মেন্টরের ভূমিকা পালন করতেও আপত্তি নেই ব্যাটির।
“এই ব্যাপারে এখনও আমার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। তবে খেলাটায় সম্পৃক্ত সবাই জানে, দল আমার কাছে যা চাইবে, সম্ভব সর্বোচ্চটা দেব আমি।”