নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে বাংলাদেশ সফরে না আসার সিদ্ধান্ত নেন মর্গ্যান। ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) এই সফরে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য বাটলারকে নেতৃত্ব দেয়।
মর্গ্যানের সিদ্ধান্ত নিয়ে বাটলার বিবিসিকে বলেন, “এটা নিশ্চিত করেই ড্রেসিং রুমে বিভাজন তৈরি করবে না। আমাদের সবার বন্ধন দৃঢ় এবং আমরা এভাবেই থাকব। এই দলে প্রত্যেকেই খুব ভালো বন্ধু এবং এটা এরকমই রাখতে চাই আমরা।”
“পরের গ্রীষ্মে এখানে (ইংল্যান্ডের মাটিতে) চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আর দুই বছর পরের বিশ্বকাপকে সামনে রেখে কাজ করছি আমরা। এই ড্রেসিং রুমের খেলোয়াড়রা এক সঙ্গে সেই ট্রফি জিততে চায়। এটাই সবার লক্ষ্য।”
সফর শেষে দেশে ফিরে হাসিমুখে মর্গ্যানকে নেতৃত্ব ফিরিয়ে দেবেন বলে জানান বাটলার।
“ওয়েন মর্গ্যানই ওয়ানডে দলের অধিনায়ক আছেন। আমি আশা করি, তাকে যখন দলে পাওয়া যাবে তখন সে আবার নেতৃত্বে ফিরবে। …তার নেতৃত্বে আমরা অসাধারণ উন্নতি করেছি। আমার চোখে সে-ই দলের অধিনায়ক।”
মর্গ্যানের সঙ্গে বাংলাদেশে না আসার সিদ্ধান্ত নেন ইংল্যান্ডের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান অ্যালেক্স হেলসও। বাংলাদেশে আসার সিদ্ধান্ত নিতে বাটলার নিজেও দ্বিধায় ভুগেছিলেন বলে জানান।
“সবার জন্যই এটা কঠিন একটি সিদ্ধান্ত। সংবাদপত্রে বিষয়গুলো পড়া আর এ নিয়ে প্রচুর তথ্য পেয়ে আপনার কিছু দুশ্চিন্তা হবে। বিশ্বে ক্রিকেটের চেয়েও বড় বিষয় আছে যেগুলোর অভিজ্ঞতা আমরা ক্রিকেটার হিসেবে অর্জন করিনি।”
“দল হিসেবে আমরা কথা বলেছি যে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তই যাই নেওয়া হোক না কেন, প্রত্যেকে তা সম্মান করবো। আমরা সবাই প্রত্যেককে শতভাগ সমর্থন করব।”
মর্গ্যানের বাংলাদেশ সফর না করার সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন ইংল্যান্ডের সাবেক দুই অধিনায়ক মাইকেল ভন আর নাসির হুসেইন। ভন এই সিদ্ধান্তকে বড় ভুল বলে মনে করেন। আর হুসেইনের মনে হয়েছে, অধিনায়ক হিসেবে মর্গ্যানের উচিৎ ছিল তার দলের সঙ্গে থাকা।
মর্গ্যানকে এই সমালোচনা করায় বিস্মিত হয়েছেন বলেও জানান বাটলার।
“কিছু অন্যায্য সমালোচনা হয়েছে। … সে তার জন্য ঠিক সিদ্ধান্তটাই নিয়েছে। এটা সে হালকাভাবে নেয়নি।… মানুষের সেটা সম্মান করা উচিত।”