গত কিছু দিনের ঘটনাপ্রবাহে অনেকটাই নিশ্চিত ছিল মর্গ্যানের না আসা। রোববার রাতে ইসিবি আনুষ্ঠানিকভাবেজানিয়ে দেয়, বাংলাদেশে আসছেন না মর্গ্যান ও অ্যালেক্স হেলস। বাংলাদেশ সফরে ওয়ানডে ইংল্যান্ডকেনেতৃত্ব দেবেন মর্গ্যানের নিয়মিত ডেপুটি জস বাটলার।
অধিনায়ক বলেই মর্গ্যানেরসিদ্ধান্ত নিয়ে হইচই হচ্ছে অনেক। ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা নিজের কলামে সাবেক অধিনায়কভন বলেছেন, নেতৃত্ব ব্যাপারটির সঙ্গেই আপোস করেছেন মর্গ্যান।
“একজন ভালো নেতার বৈশিষ্ট্যহলো, কখনোই সতীর্থদের এমন কিছু করতে না বলা, যা নিজে করবে না। এই কারণেই মর্গ্যান অনেকবড় ভুল করেছে। সংবাদমাধ্যমে সতীর্থরা ওকে সমর্থন দেবে কিন্তু ওদের মনের কোনে ঠিকই থাকবেযে দলের কঠিন সময়ে অধিনায়কে পাওয়া যায়নি।”
“অধিনায়ক হিসেবে সতীর্থদেরসবসময়ই বলতে হয়, ‘মাঠে লড়াইটা হবে কঠিন, সব কিছু নিজের মত করে করা যাবে না’, বলতে হয়আরেকটু বাড়তি চেষ্টা করার মত দৃঢ় হতে। আমি বুঝতে পারছি না, ভবিষ্যতে সে (মর্গ্যান)কিভাবে সতীর্থদের চোখে চোখ রেখে তাকাবে এবং এসব করতে বলবে!”
ডেইলি মেইল-এ লেখা হুসেইনেরকলামের মুল সুরও একইরকম।
“পরেরবার যখন মর্গ্যানসতীর্থদের কাছে বাড়তি কিছু চাইবে, তখন ছেলেদের কেউ হয়ত তার দিকে তাকিয়ে বলবে, ‘আমরাযখন ঝুঁকি নিয়ে ও অস্বস্তির সঙ্গে বাংলাদেশে গিয়েছিলাম, তুমি আমাদের সঙ্গে ছিলে না।আমরা যখন ট্যাংক ও স্নাইপার পরিবেষ্টিত ছিলাম এবং হোটেলের বাইরে যেতে পারছিলাম না,তুমি তখন কোথায় ছিলে?”
“এই সিদ্ধান্তে দলেতার কর্তৃত্ব অবশ্যই কমবে। ক্রিকেটাররা হোটেলরুমে গুটিয়ে থাকবে এবং বদ্ধ মানসিকতায়থাকবে। ব্যাপারটি খুবই অস্বস্তিকর। কিন্তু মূল কথা হলো, দল যেখানে যাচ্ছে। ইসিবি যদিসফর নিরাপদ মনে করে, অধিনায়কেরও উচিত সেখানে থাকা।”
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরবাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দল।