ক্রিকেটারদের গায়ে কোনো সংস্করণের বিশেষজ্ঞের তকমা লেগে যাওয়া নতুন কিছু নয়। দেশের অন্যতম নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান মুমিনুল হককে যেমন ভাবা হয় টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। মুমিনুল-ইমরুল ছাড়াও এমন অনেক উদাহরণই রয়েছে।
ইমরুল মনে করেন, এতে ক্ষতিগ্রস্ত হন সেই ক্রিকেটার।
“একজন খেলোয়াড়ের মাথায় যখন ঢুকে যায় একটা ফরম্যাটের কথা, তখন সেটাই তার মধ্যে কাজ করে। এটা খারাপ একটা দিক, নেতিবাচক একটা দিক। কারণ, সে তাহলে বাকিগুলোতে ফোকাস করতে পারে না।”
এক সময়ে ওয়ানডে ক্রিকেটের নিয়মিত মুখ ইমরুল এখন বিবেচিত দেশের অন্যতম সেরা টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে। এই সংস্করণে উদ্বোধনী জুটিতে তিনিই বর্তমানে তামিম ইকবালের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য সঙ্গী।
অথচ নিজের সর্বশেষ দুই ওয়ানডেতে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ইমরুল। বিপিএলের সর্বশেষ আসরে বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের চেয়ে বেশি রান ছিল কেবল শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং কিংবদন্তি কুমার সাঙ্গাকারার। অথচ সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার খেলার সুযোগ মিলে কালেভদ্রে, টপ অর্ডারের কারো চোটে।
“আমি মনে করি, আমি সব ফরম্যাটের জন্য ফিট। আমি সব ফরম্যাটে খেলতে পারব।”
আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ওয়ানডে সিরিজের জন্য দেওয়া ২০ জনের দলে আছেন ইমরুল। শেষ পর্যন্ত খেলার সুযোগ মিলবে কি না তা নিয়ে খুব একটা ভাবছেন না বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তবে নিজেকে কোনোভাবেই এক সংস্করণের খেলোয়াড় মনে করেন না তিনি।
“আমি বিশ্বাস করি না যে, আমি শুধুই একজন টেস্ট ক্রিকেটার। একজন ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করি, সব ধরনের ক্রিকেট আমি খেলতে পারি, পেরেছিও।”
“এটা আমাকে নতুন করে প্রমাণের কিছু নাই। ওয়ানডেতে আগেও সফল হয়েছি। টি-টোয়েন্টিতে আপনারা দেখেছেন, বিপিএলেও ভালো করেছি। টেস্ট তো খেলছিই।”