মাশরাফি-রুবেলদের ওয়ালশ-দর্শন

পরিচয় পর্ব, টুকটাক কথা আর খানিকটা দেখা। জাতীয় দলের বোলিং কোচ হিসেবে এই ছিল কোর্টনি ওয়ালশের প্রথম দিন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই কিংবদন্তি চেষ্টা করেছেন নতুন ছাত্রদের সম্পর্কে ধারণা নিতে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Sept 2016, 01:37 PM
Updated : 5 Sept 2016, 01:37 PM

বোলিং কোচের নাম ঘোষণার পর থেকেই বাংলাদেশের পেসারদের রোমাঞ্চের শুরু। ওয়ালশের মতো একজনকে নিজেদের মাঝে পাওয়া, তার সংস্পর্শে আসা, তার সঙ্গে কাজ করা নিয়ে রোমাঞ্চিত ছিলেন দলের সিনিয়র পেসার থেকে শুরু করে নবীন সবাই। প্রথম দিনে তারাও বোঝার চেষ্টা করেছেন নতুন কোচের ব্যক্তিত্ব, মনোভাব।

এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজে গেলেও কখনো ওয়ালশের সঙ্গে দেখা হয়নি মাশরাফি বিন মুর্তজার। শৈশবের নায়কের সঙ্গে এদিনই প্রথম দেখা বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়কের। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি জানালেন, এতটা রোমাঞ্চিত ছিলেন যে ঠিকমত কথাই বলতে পারেননি।

“আগেই বলেছিলাম, ওকে নিয়ে আমার অনেক আবেগ জড়িয়ে আছে। ছেলেবেলার নায়ক বলে কথা। এত এক্সাইটেড ছিলাম যে ঠিকমত কথা বলতে পারিনি। একটু ‘শাই’ অনুভবও করছিলাম।”

“হাই-হ্যালোর বাইরে বেশি কথা হয়নি। একটু টুকটাক হয়েছে শুধু। ওকে বেশ ফেন্ডলিই মনে হয়েছে। বোলিং নিয়ে আজ তেমন কোনো কথা হয়নি। সবে তো শুরু, সবই হবে আস্তে আস্তে।”

সোমবার পেসারদের সূচিতে ছিল স্পট বোলিং। নেটে রুবেল হেসেন, আল আমিন হোসেন, কামরুল ইসলাম রাব্বিদের বোলিং দেখেছেন ওয়ালশ। তবে ছিলেন স্রেফ দর্শকের ভূমিকায়, বলেননি তেমন কিছু।

রুবেল জানালেন ওয়ালশের দৃষ্টির সামনে বোলিং করার অভিজ্ঞতা।

“প্রথম দিনে তেমন কিছু বলেননি, শুধু দেখেছেন। আমার বোলিংয়ের গ্রিপ দেখেছেন। ইয়র্কারটা দেখতে চেয়েছেন। রান আপও দেখেছেন ভালো করে। হয়ত ধারণা নিচ্ছেন এখন।”

“তার মতো একজন লেজেন্ডকে যখন পেয়েছি, সর্বোচ্চটা কাজে লাগানোর ইচ্ছে আছে আমার। অনেক কিছু আছে শেখার। সামনে আস্তে আস্তে চেষ্টা করব শেখার।”

প্রথম দিনে আল আমিন হোসেনের অভিজ্ঞতাটাও প্রায় একই রকম।

“তার সঙ্গে আগে দেখা হয়েছিল, ওয়েস্ট ইন্ডিজে কথাও হয়েছিল। আজকে আবার নতুন করে পরিচয় হলো। আমাদের বোলিং দেখেছেন। আমার গ্রিপটা দেখে জিজ্ঞেস করলেন যে আমি এটায় স্বচ্ছন্দ কিনা। আজ শুধু দেখেছেন, সে রকম পরামর্শ কিছু দেননি।”

“অনেক কিছু শেখার ইচ্ছে আছে তার কাছ থেকে। এখন তিনি দেখছেন, সামনে হয়ত নিজেই বলবেন আমাকে কি করতে হবে। না বললে আমি নিজেই নানা কিছু জিজ্ঞেস করব। তার টিপস নিশ্চয়ই অনেক কাজে লাগবে।”

কামরুল ইসলাম রাব্বির রোমাঞ্চটা ছিল আরও বেশি। এখনও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পাননি। কিন্তু পেলেন ওয়ালশের মতো একজনের সহচর্য। প্রথম দিনেই ওয়ালশে মুগ্ধ তরুণ এই পেসার।

“বোলিং কোচ হিসেবে ওর কথা শোনার পর মাশরাফি ভাই থেকে শুরু করে সবাই অনেক খুশি হয়েছে। উনি অনেক ভালো মানের বোলার ছিলেন। অবশ্যই আমাদের ভালো মানের কিছু দিতে পারবেন।”

“প্রথম দিন মনে হয়েছে, উনি খুব কঠিন নয়। যদি এমনই ফ্রেন্ডলি থাকেন, তাহলে আমাদের জন্য অনেক ভালো হবে। কোচ যতো ফ্রেন্ডলি থাকবেন খেলোয়াড়দের সাথে, ততো ভালো হবে দলের জন্য। আমরা যারা পাইপলাইনে বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছি, তারা অনেক কিছু শিখতে পারবো।”

শুরুর পরই অবশ্য ওয়ালশের কাজে আসছে বিরতি। মঙ্গলবার নিজেদের মধ্যে অনুশীলন ম্যাচ শেষেই ঈদের ছুটি। ঈদের পর আবার শুরু হবে আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্ততি।