‘আরেকটি অ্যামব্রোস বাংলাদেশে পেলে খুশি হব’

যতটা না কোচ, কোর্টনি ওয়ালশ তার চেয়ে বেশি হতে চান ‘মেন্টর’। মাশরাফি-তাসকিনদের আগলে রাখতে চান পিতৃসুলভ নির্ভরতায়। কার্টলি অ্যামব্রোসের সঙ্গে তার জুটির মতোই দারুণ কিছু উপহার দিতে চান বাংলাদেশ দলকে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 Sept 2016, 01:46 PM
Updated : 4 Sept 2016, 01:46 PM

ওয়ালশকে বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়ার পর বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান বলেছিলেন, কিংবদন্তি এই ফাস্ট বোলারকে একই সঙ্গে বোলিং কোচ ও মেন্টর হিসেবে ভাবছে বিসিবি। সেই চাওয়ার সঙ্গে মিলে যাচ্ছে ওয়ালশের ভাবনাও।

শনিবার রাতে ঢাকায় পা রেখেছেন ওয়ালশ। রোববার বিসিবিতে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, মাশরাফিদের জন্য তিনি হতে চান কোচের চেয়েও বেশি কিছু।

“নিজেকে আমি কোচ হিসেতে ততটা দেখি না, যতটা দেখি মেন্টর হিসেবে। ছেলেদের সঙ্গে আমি কাজ করব কোচ হিসেবে, একই সঙ্গে হব পিতৃসুলভ ও মেন্টর। নিজেদের কোনো (কঠিন) পরিস্থিতিতে আবিষ্কার করতে পারে ওরা; যেখান থেকে ওদের আমি স্বস্তি দিতে পারি। কখনও কখনও একজন ক্রিকেটারই পারে কাউকে ওখান থেকে বের করে আনতে।”

উদাহরণ হিসেবে ওয়ালশ টেনে আনলেন অ্যামব্রোসকে, যার সঙ্গে মিলে গড়ে তুলেছিলেন ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম ভয়ঙ্কর ও সফল ফাস্ট বোলিং জুটি।

“আমি যেখানেই খেলি, সেটা হোক জ্যামাইকায়, গ্লস্টারশায়ার বা ওয়েস্ট ইন্ডিজে, সবসময়ই নিজের ছায়ায় গোটা দুই ফাস্ট বোলারকে পেতে চেষ্টা করেছি। তাদের একজন ছিল কার্টলি অ্যামব্রোস। তাই বাংলাদেশ থেকে যদি দ্বিতীয় অ্যামব্রোস পাই, আমি খুশি হব।”

“আমরা দুজনে মিলে গড়েছিলাম বিশ্ব ক্রিকেটের অন্যতম সেরা আক্রমণাত্মক জুটি। আমি যদি বাংলাদেশের কোনা দুই বোলারের মাঝে সেটা দিয়ে দিতে পারি, আমি খুবই খুশি থাকব।”

ওয়ালশ জানালেন, ক্যারিয়ারের শুরুতে তিনিও সিনিয়র ক্রিকেটারদের পেয়েছিলেন মেন্টর হিসেবে।

“ম্যালকম মার্শাল, মাইকেল হোল্ডিং ও জোয়েল গার্নারের কথা মনে আছে আমার। আমার যখন শুরু, ওরা আমার সঙ্গে এমনটাই (মেন্টরের ভূমিকায়) করেছিল। আশা করছি বাংলাদেশ দলকেও আমি সেটা দিয়ে যেতে পারব।”