‘প্রতিটি ম্যাচকেই এখন মনে করি শেষ ম্যাচ’

সবশেষ ৮ টেস্টে ৩ শতক, ২ অর্ধশতক। গত বছর টেস্টে দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান। সবশেষ ২ ওয়ানডেতে ৭৬ ও ৭৩। তার পরও দেশের ক্রিকেটে ইমরুল কায়েস যেন বড় কোনো তারকা নন। দলে জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যায় দু-এক ম্যাচের ব্যর্থতাতে। বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বাঁহাতি ওপেনার জানালেন, তিনি নিজেও এখন মানসিকভাবে নিজেকে গড়ে তুলছেন এই বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে!

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 31 August 2016, 03:17 PM
Updated : 31 August 2016, 03:56 PM

প্রশ্ন: গত বছর টেস্টে সর্বোচ্চ রান করলেন, দারুণ ফর্ম। এরপরই ১৪ মাসের বিরতি। দলের জন্য তো ভালো নয়ই, ছন্দে থাকা একজন ব্যাটসম্যানের জন্য কতটা খারাপ?

ইমরুল:
সত্যি বলতে খুবই দুর্ভাগ্যজনক। ব্যাটসম্যান বলুন বা বোলার, কোনো ক্রিকেটার ছন্দে থাকার পর যদি এত লম্বা বিরতি হয়, তাহলে আবার ছন্দ পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। খেলার মধ্যে থাকলে ভালো বা খারাপ, একটা ধারা থাকে। কিন্তু খেলায় না থাকলে সব হারিয়ে যায়।

সবকিছু আবার নতুন করে শুরুর মতো ব্যাপার!

ইমরুল: অনেকটাই। নতুন করে ছন্দ পাওয়া, ভাগ্যের ব্যাপারও আছে। তবে ব্যক্তিগতভাবে বললে, আমার ক্যারিয়ারটাই এরকম যে অনেকবার নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। আমি এতে অভ্যস্ত। মানসিকভাবে সেভাবেই মানিয়ে নিয়েছি এখন।

আমি এখন ঠিক করে ফেলেছি, যে ম্যাচেই সুযোগ পাই ভালো খেলতে হবে। কারণ কতক্ষণ দলে টিকে থাকব জানি না। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ৮ বছর হয়ে গেল আমার। একটা সময় ছিল টানা খেলেছি। কিন্তু এরপর আসা-যাওয়ার ভেতর থাকতে হয়েছে। এখনও প্রশ্ন ওঠে। যতদিন খেলব এভাবেই খেলতে হবে, ধরে নিয়েছি।

ব্যাটিং দেখে তো মনে হয় আপনি এখন অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী, খুব ‘অ্যাসিউরড’ ব্যাটিং করেন!

ইমরুল: একটা সময় চিন্তা করতাম, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অনেক কঠিন। যখন ঘরোয়া ক্রিকেট বা একাডেমি থেকে জাতীয় দলে এলাম। সত্যি বলতে একটু বেশিই চিন্তা করে ফেলেছি। সেটাই বাজে হয়েছে। বেশি ভাবতে গিয়ে পারফরম্যান্স খারাপ হয়েছে।

দলের বাইরে থাকার সময়টায় উপলব্ধি করেছি যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটও আহামরি কিছু না, যদি টেম্পারমেন্ট ও মাইন্ডসেট ঠিক থাকে। ঠিক করেছি, ঘরোয়া ক্রিকেটের মতোই খেলব আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বড়জোর কি হবে, আউটই তো হবো! এভাবে ভাবতে শেখার পর থেকেই পারফরম্যান্স ভালো হচ্ছে।

প্রথম ১৬ টেস্টে আপনার মাত্র একটি অর্ধশতক ছিল, গড় ১৭। সেই সময়টায় ঘাটতি কোথায় ছিল বলে মনে হয়?

ইমরুল:
স্বীকার করতে দ্বিধা নেই, ওই সময়টায় আমি টেস্ট ব্যাটসম্যান হিসেবে রেডি ছিলাম না। ওয়ানডে খেলা হয়ত ঠিক ছিল। টেস্ট কি সেটা বোঝার আগেই টেস্ট অভিষেক হয়ে গিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানকার কঠিন কন্ডিশনে স্টেইন-এনটিনি-মর্কেলদের বিপক্ষে। এরপর টানা খেলেছি বলে সেভাবে বুঝেও উঠতে পারছিলাম না। বুঝতে বুঝতেই বেশ কিছু টেস্ট চলে যায়।

আমাকে তবু সুযোগ দেওয়া হয়েছিল, সেজন্য ধন্যবাদ দিতেই হবে। নিজেকে ভাগ্যবানও মানি। পরে বাইরে থাকার সময় বুঝতে পেরেছি টেস্ট ক্রিকেট কি, কতটা পরিকল্পনা করে খেলতে হয়। এজন্যই ফেরার পর কিছু সাফল্য পেয়েছি।

নিজের সঙ্গে বোঝাপড়া এতটাই ভালো হয়েছিল যে আড়াই বছর পর ফিরেই প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি!

ইমরুল: বাইরে থাকার আড়াই বছর আমি খুব মিস করেছি দলকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, আবহ, ড্রেসিংরুম খুব ফিল করতাম। টিভিতে খেলা দেখে খারাপ লাগত। ওই সময়টাতেই নিজের ব্যাটিং দর্শন বদলে ফেললাম। আর সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম যে একটি সুযোগ পেলেই কাজে লাগাতে হবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে (২০১৪) ফিরেই সেঞ্চুরি করলাম।

এরপর থেকে ব্যাপারটি আমি আরও ভালোভবে মনে গেঁথে নিয়েছি যে প্রতিটি ম্যাচই আমার শেষ ম্যাচ ধরে নিয়ে খেলব। জানি যে বাদ পড়তে পারি যে কোনো মুহূর্তে। এই ভাবনাই এখন আমার নেই যে দীর্ঘদিন টানা খেলতে পারি। প্রতিটি ম্যাচকেই মনে করি সুযোগ, যেটা কাজে লাগাতে হবে। নইলে আরেকটা সুযোগ নাও আসতে পারে।

প্রতিটি ম্যাচকে শেষ ম্যাচ ধরে নিলে নিজের ওপর চাপ নেওয়া হয় না?

ইমরুল:
সাধারণ হিসেবে চাপ মনে হতে পারে। কিন্ত এই মাইন্ডসেটেই আমি সাফল্য পাচ্ছি। হয়ত আমার ক্রিকেটের ধরণটা এরকম ভাবনার জন্যই উপযোগী। সব ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার একদিন শেষ হয়। কেউ জানে না শেষটা কিভাবে হবে। আমিও তাই ভাবনা বাদ দিয়েছি।

প্রথম ১৬ টেস্টে ১ অর্ধশতক করা ব্যাটসম্যান দলে ফেরার পর ৮ টেস্টে ৩ সেঞ্চুরি, গড় ৫৪.০৭। পরিবর্তনটা কোথায় ছিল, টেকনিকাল? মানসিক?

ইমরুল: মানসিক পরিবর্তনটাই আসল। কারণ আজীবন যে মানসিকতা বা ভাবনা ছিল, সেটা বদলাতে হয়েছে অনেক। নিজের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে।

শুধু ব্যাটিংয়ের কথা বললে, টেকনিকে বদল নয়, তবে বদল এনেছি ধরণে। আমার হাতে বরাবরই অনেক শট ছিল এবং শট খেলতে পছন্দ করতাম। কিন্তু জাতীয় দলে আসার পর শট খেলা কমিয়ে দিতে হয়েছিল কোচের পরামর্শে।

একপাশে তামিম শট খেলত। আবার প্রায়ই দেখা যেত আমাদের খুব দ্রুত ২-৩ উইকেট পড়ে গেছে। এজন্য আমাকে বলা হয়েছিল ধরে খেলতে। সেটা কিন্তু দলের কাজেও দিয়েছিল বেশ। আমি হয়ত রান বেশি করিনি, কিন্তু তামিমের সঙ্গে জুটি ভালোই হচ্ছিল। এজন্যই হয়ত বড় রান না পেলেও টানা ১৬ টেস্ট তখন খেলতে পেরেছিলাম।

কিন্তু বাদ পড়ার পর উপলব্ধি করেছি, ওভাবে খেলাটা নিজের জন্য খারাপ হয়েছে। অনেক্ষণ উইকেটে থেকেও রান করা হয়নি। টেস্ট ক্রিকেটেও শট খেলার প্রয়োজন আছে।

এখনকার কোচ তো সবাইকে নিজের খেলাটা খেলার স্বাধীনতা দেন, আপনাকেও নিশ্চয়ই দিয়েছেন?

ইমরুল: এই কোচ আমাকে ফ্রিডম দিয়েছেন। বলে দিয়েছেন, শট খেলতে ভালো লাগলে খেলবা। যদি আইডিয়া ক্লিয়ার থাকে, তাহলে সেটাই করতে বলে সবসময়। শট খেলতে গিয়ে আউট হলে সমস্যা নেই, কিন্তু ওই শট খেলার পেছনে ভাবনাটা যেন ঠিক থাকে। আমার নিজের ভাবনাও কোচের সঙ্গে মিলে গেছে। এটাও হয়ত ভালো করার কারণ।

প্রায় তিনশ রানে পিছিয়ে থাকার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে দেড়শ রানের ইনিংসটা নিশ্চয়ই ব্যাটসম্যান হিসেবে আপনাকে আরও পরিণত করেছে?

ইমরুল: ওই ম্যাচের আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলাম জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। কিন্তু তার পরও মনে হচ্ছিল, এই ম্যাচে ভালো না করলে বাদ পড়ে যাব। আড়াই বছর বাইরে থেকে ফেরার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে যখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ গেলাম, এক টেস্ট পরই অসুস্থতার কারণে বাইরে। পরে আর জায়গা পাচ্ছিলাম না। ভয়টা তাই ছিল। পাকিস্তানের বিপক্ষে ওই খুলনা টেস্টের আগে নিজেও অনেক চাপে ছিলাম।

বিশ্বাস করবেন কিনা, আমার মনে হচ্ছিলো এটা হয়ত আমার ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট। তাই এনজয় করতে চেয়েছিলাম যতটা পারি। সেভাবেই ব্যাট করছিলাম। একটা সময় যখন দেখলাম দাঁড়িয়ে গেছি, তামিমও দারুণ খেলছিল, তখন দুজনে মিলে ঠিক করলাম যে যতটা পারা যায় লম্বা খেলতে হবে।

ওই ইনিংসটার পর আত্মবিশ্বাস অবশ্যই বেড়েছে। এত চাপের মধ্যে কোয়ালিটি বোলিংয়ের বিপক্ষে এমন ইনিংস খেললে আত্মবিশ্বাস বাড়বেই।

টেস্টে বাজে করার সময়টাতেও আপনি ওয়ানডে ভালোই খেলছিলেন। ক্রাইস্টচার্চে সেঞ্চুরি, ব্রিস্টলে ইংল্যান্ডকে হারানোর ম্যাচে ৭৬, ২০১১ বিশ্বকাপে দুবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ। এরপর কি হলো?

ইমরুল:
উত্তরটা খুবই ব্যক্তিগত, যেটা আপনাকে বলতে পারলে ভালো লাগত। কিন্তু বলতে পারছি না। ২০১১ বিশ্বকাপে ভালো খেলেছি, বিশ্বকাপের পরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৯৩। কিন্তু এরপর জিম্বাবুয়ে সফরে ও পরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সিরিজের সময় খুবই ব্যক্তিগত একটি সমস্যায় পড়েছিলাম। পারিবারিক একটু সমস্যায় মানসিক চাপে ছিলাম। ক্রিকেটে ঠিকমত মনই দিতে পারছিলাম না। সেই সময়ের কোচকে বলেছিলামও যে ক্রিকেটে ফোকাস করতে পারিনি। পরে বাদ যেতে হলো। সেই থেকে এখনও আসা যাওয়ার মধ্যে।

পেছন ফিরে তাকালে, সেই সময়টা তাহলে ক্যারিয়ারের বড় ক্ষতি করেছে!

ইমরুল: খুব বড় ক্ষতি। মানসিক সমস্যা তখন না হলে হয়ত অন্তত ওয়ানডেতে টানা খেলে যেতে পারতাম। এতদিনে হয়ত ১২০-১২৫ ওয়ানডে হয়ে যেত, রান থাকত সাড়ে তিন-চার হাজার। ক্যারিয়ারে খুব বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

সবশেষ দুই ওয়ানডেতে ৭৬ ও ৭৩ করেছেন, পরের ওয়ানডেতে সুযোগ মিলবে?

ইমরুল:
জানি না, ভাবিও না। নিলে ভালো করার চেষ্টা করব। না নিলে দু:খ নেই। খারাপ লাগবে। তবে বেশি আপসেট হবো না। অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তবে সুযোগ দিলে অবশ্যই চাই একটা প্রোপার ওয়েতে সুযোগ দেওয়া হোক।

‘প্রোপার ওয়ে’ কেমন?

ইমরুল: মানসিকভাবে যেন প্রস্তুত থাকতে পারি। একটা ম্যাচ খেলব, সেটা যেন অন্তত আগের দিন জানতে পারি। তাহলে মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া যায়, পরিকল্পনা সাজানো যায়। রাতে বোলারদের নিয়ে চিন্তা করা যায়, ভাবা যায়। ম্যাচের দিন হুট করে বললে খেলা কঠিন। পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে হয়ত মেনে নিতে হয়, কিন্তু কাজটা কঠিন হয়ে যায়।

ছক্কা-প্রীতি আপনার সবসময়ই ছিল, তবে ইদানিং বড় বড় ছক্কা মারার দিকে খুব ঝোঁক একটু বেশিই মনে হচ্ছে!

ইমরুল: থার্ড ডিভিশন খেলার সময় থেকেই বড় বড় ছক্কা মারি। ঢাকা লিগেও অনেক ছক্কা মেরেছি। জাতীয় দলে আসার পর আগেই বলেছি, আমাকে ধরে খেলতে বলা হয়েছিল। সেজন্য কমিয়ে দিয়েছিলাম। পরে দেখলাম ছক্কা মারা বড় ব্যপার। লোকের এসবই চোখে লেগে থাকে। ছক্কা মারলে নজর কাড়া যায়। এজন্য এখন ছক্কা মারি বেশি!

আপনি নিয়মিত স্লিপে দাঁড়ান। কিন্তু স্লিপ ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ বরাবরই পিছিয়ে। আপনার ভালো লাগে? কেন আরও বেশি উন্নতি হচ্ছে না?

ইমরুল:
স্লিপে ফিল্ডিং করতে আমি পছন্দ করি। কারণ এটা ব্যাটিংয়েও অনেক কাজে লাগে। স্লিপে সব সময় মনোযোগ ধরে রাখতে হয়, বলের সুইং খেয়াল করা যায়, এসব ব্যাটিংয়ে কাজে দেয়। আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে স্লিপ ফিল্ডিংয়ে। তবে চেষ্টা করছি ভালো করার।

বাইরে থেকে ইমরুলকে যেমন দেখা যায়, একটু চুপচাপ, অর্ন্তমুখী, মুখচোরা..ড্রেসিং রুমে বা বন্ধুমহলেও কি ইমরুল তেমনই?

ইমরুল: আপনারা যেভাবে দেখেন, সেটাই আসল ইমরুল। ড্রেসিং রুমে অনেক মজা হয়, আমি বেশিরভাগ সময়ই দেখি। অনেক সময় অনেককে নিয়ে মজা হয়, আমি টুকটাক অংশ নেই। আবার আমাকে নিয়েও হয়। ড্রেসিং রুমে এত মজা হয় যে চাইলেও সবসময় চুপ থাকা যায় না। তবে নরম্যালি আমি চুপচাপই।

মাঠের বাইরেও খুব বেশি কিছু করি না। অবসরটা পরিবারকে দেই বেশিরভাগ সময়। বন্ধুদের সঙ্গে একটু সময় কাটাই, সেটাও বেশিরভাগ সময় বাসাতেই আড্ডা দেই। মেহেরপুরে গেলেও আমি খুব সিম্পল থাকি। শহরের লোকেরাও আমাকে পাড়ার ছেলের মতই সাধারণভাবে দেখে।

মেহেরপুরে আপনার একাডেমি আছে, কেমন চলছে?

ইমরুল: একাডেমি চলছে। দেখাশোনার লোক আছে। যা যখন দরকার হয়, আমি পাঠিয়ে দেই। মেহেরপুরে গেলে নিজে দেখি। মফস্বল এলাকা, খুব ভালো ফ্যাসিলিটিজ তো দেওয়া কঠিন। তার পরও ৭০-৮০ জন ছেলে মোটামুটি নিয়মিত আসে। কয়েকজন খুলনা বিভাগীয় বয়সভিত্তিক দলে খেলেছে, জাতীয় বয়সভিত্তিক দলেও দু-একজন খেলেছে।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসছে সিরিজে লক্ষ্য কিছু থাকবে?

ইমরুল:
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগেও ভালো খেলেছি। এবারও ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে। বিশেষ করে টেস্টে। কারণ ওদের টেস্ট বোলিং আক্রমণ অনেক ভালো। আর ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করলে সেটার আলাদা কদর থাকে ক্রিকেটে। সব ঠিকঠাক থাকলে ভালো কিছু করার ইচ্ছা আছে।

ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো স্বপ্ন?

ইমরুল: স্বপ্ন তো সবারই থাকে। তবে সেটা নিজের মধ্যেই রাখতে চাই। আপাতত যেটা বলেছি, প্রতিটি ম্যাচ শেষ ম্যাচ ধরে খেলতে নামি। আর সবচেয়ে বড় চাওয়া যেন মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারি। এটুকু হলেই আমি খুশি।