মাত্র ৫ দিন আগেই র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে ওঠেছিল ভারত। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হওয়ায় শীর্ষ থেকে অবনমন হয় অস্ট্রেলিয়ার। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ ২-২ ড্র করে পাকিস্তান উঠে আসে দুই নম্বরে।
শীর্ষস্থান ধরে রাখতে ত্রিনিদাদে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারাতেই হতো ভারতের। কিন্তু বৃষ্টির কারণে টেস্টের প্রথম দিনে খেলা হয়েছে ২২ ওভার। পরের চার দিন একটি বলও গড়ায়নি মাঠে। বিরাট কোহলিরা তাই অসহায় চোখেই দেখলেন নিজেদের জায়গা হাতছাড়া হতে।
ত্রিনিদাদ টেস্ট শুরুর আগে ভারতের রেটিং পয়েন্ট ছিল ১১২। টেস্ট ড্র হওয়ায় কমে গেছে ২ পয়েন্ট। ইংল্যান্ড সিরিজ শেষে ১১১ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে থাকা পাকিস্তান উঠে গেছে এক নম্বরে।
২০০৩ সালে টেস্ট র্যাঙ্কিং চালুর পর শীর্ষে ওঠা পঞ্চম দল পাকিস্তান। এর আগে এক নম্বর হয়েছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ভারত।
মিসবাহ নেতৃত্ব পাওয়ার কিছু দিন আগেও টেস্টে সাত নম্বরে পড়েছিল পাকিস্তান। ৪২ বছর বয়সে তিনিই এখন টেস্টের শীর্ষ দলের অধিনায়ক! স্বাভাবিকভাবেই পাকিস্তান অধিনায়ক দারুণ উচ্ছ্বসিত।
“খেলাটির সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী ও আসল সংস্করণে এক নম্বর হওয়ার চেয়ে ভালো কোনো অনুভূতি আর হতে পারে না। ক্রিকেটাররা খেলে এটির কারণেই, চায় এটিই ক্যারিয়ারে অর্জন করতে। কয়েক বছর আগেই দল হিসেবে আমরা পরিকল্পনা করেছিলাম এক নম্বর হওয়ার এবং এটি অর্জন করতে করেছি কঠোর পরিশ্রম।”