অস্ত্রোপচার শেষে লন্ডন থেকে সোমবার দেশে ফিরেন মুস্তাফিজ। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জানিয়েছেন অস্ত্রোপচারের অভিজ্ঞতার কথা।
“আমার ইনজেকশন নেওয়ার অভ্যাস নেই, সেজন্যই হয়ত সুই দেখলে ভয় লাগে। অনেক সময় আমার মনে হচ্ছিল, ইনজেকশন দিলে ব্যথা লাগবে, অস্ত্রোপচার করলে লাগবে না। সবার আগে এই এটাই জয় করতে হয়েছে।”
অনেক কিছু শেখার তুমুল আগ্রহ নিয়ে সাসেক্সের হয়ে ইংল্যান্ডে খেলতে গিয়েছিলেন মুস্তাফিজ। শেখার খুব একটা সুযোগ মিলেনি। দুই ম্যাচ খেলেই চোট পান। স্বাভাবিকভাবেই হতাশ ২০ বছর বয়সী এই পেসার।
“এ নিয়ে দুইবার ইংল্যান্ডে গিয়ে দুইবারই চোট পেলাম। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে প্রথম সফর করি, সেবারও চোট পাই, এবারও চোট পেলাম। সব মিলিয়ে ভালো যায়নি।”
ক্রমওয়েল হাসপাতালে গত ১১ অগাস্ট বিশেষজ্ঞ সার্জন ওয়ালেস মুস্তাফিজের বাঁ কাঁধে অস্ত্রোপচার করেন। মুস্তাফিজ জানান, এই মুহূর্তে ভালো আছেন তিনি, তৈরি হচ্ছেন মাঠে ফেরার লড়াইয়ে নামার জন্য।
“অস্ত্রোপচারের পর তারা আমাকে কাজ দেখিয়ে দিয়েছেন। (বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী) দেবাশীষদাকে বুঝিয়ে দিয়েছেন কিভাবে কি করতে হবে। চার সপ্তাহ পর থেকে আমার কাজটা বাড়তে থাকবে।”
দেশের মাটিতে কিছু দিন পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার কথা বাংলাদেশের। সেই সিরিজে দর্শক হয়ে থাকতে হবে মুস্তাফিজকে। সেখানে খেলতে না পারার হতাশা আছে। তবে তিনি আশাবাদী, এবার একবারেই সেরে উঠে মাঠে ফিরবেন তিনি।
“খেলতে না পারলে খারাপ তো লাগবেই। চোটের অবস্থা ভালো আছে। কাজ করতে করতে আরও ভালো হবে।”