প্রায় এক মাসের পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ১০ বোলারের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে বৃহস্পতিবার নিজেদের রায় জানায় কমিটি।
বাঁহাতি স্পিনার রেজাউল করিম ও পেসার সাইফুদ্দিন আহমেদও বোলিংয়ের ছাড়পত্র পেয়েছেন। তবে রেজাউল আর্ম বল ও সাইফুদ্দিন স্লোয়ার বল করতে পারবেন না। তাদের এই দুই ডেলিভারি অবৈধ।
ফয়সাল হোসেন, মোহাম্মদ শরীফুল্লাহ, আসিফ আহমেদ, অমিত কুমার ও মুস্তাফিজুর রহমানের সব ডেলিভারি অবৈধ বলে রায় দিয়েছে জালাল ইউনুসের নেতৃত্বাধীন রিভিউ কমিটি।
দুই বাঁহাতি স্পিনার ফয়সাল ও অমিত এবং তিন অফ স্পিনার আসিফ, শরীফুল্লাহ ও মুস্তাফিজ আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বল করতে পারবেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বোলিংয়ে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে তাদের এই সময়ের আগে নিজ দায়িত্বে পরীক্ষা দিয়ে উতরাতে হবে।
এ ব্যাপারে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে রিভিউ কমিটির প্রধান ইউনুস বলেন, “ভবিষ্যতে অবৈধ বোলিং অ্যাকশন আমরা একেবারেই গ্রহণ করব না। একবারে এটা করা যাবে না, আমরা এবার থেকে শুরু করেছি। মানসম্পন্ন ক্রিকেটের জন্য এখন থেকে আমরা অবৈধ বোলিং অ্যাকশন যতটা সম্ভব কমিয়ে আনার চেষ্টা করছি।”
সাবেক পেসার ইউনুস জানান, অবৈধ বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর জন্য বোলারদের তিন মাস সময় দিয়েছেন তারা। খেলতে চাইলে এই সময়ের মধ্যে তাদের অবশ্যই নিজেদের বোলিং অ্যাকশনের ত্রুটি দূর করতে হবে।
এবার ৬টি টু ডি ক্যামেরা দিয়ে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা করা হয়েছে। ইউনুস মনে করেন, এতে কিছুটা হয়ত ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। তবে তারা একটি স্থায়ী পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছেন।
“আমরা যতটা সম্ভব পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ওদের বোলিং অ্যাকশন দেখেছি। এরপরও হয়ত কিছুটা ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকতে পারে। প্রথমবারেই সব করা যাবে না। তবে আরও পেশাদারভাবে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষার চেষ্টা আমাদের রয়েছে।”
গত ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ১১ জন বোলার প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছেন মোট ১৮ বার। গত ২০ জুলাই মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের ইনডোরে দুই বাঁহাতি স্পিনার নাঈম জুনিয়র ও অমিতকে দিয়ে শুরু হয় বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাজ।
এদের মধ্যে আরাফাত সানি অবৈধ অ্যাকশনের কারণে নিষিদ্ধ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে। তাকে নিয়ে কাজ চলছে জাতীয় দলের ম্যানেজমেন্টের তত্ত্বাবধানে। বাকি ১০ বোলারকে নিয়ে কাজ করেছে রিভিউ কমিটি।
বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটিতে ইউনুসের সঙ্গে আছেন তিন সাবেক ক্রিকেটার দিপু রায় চৌধুরী, ওমর খালেদ রুমি ও গোলাম ফারুক সুরু।