বুধবার তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে আসা ইংল্যান্ডের তিন সদস্যের নিরাপত্তা দল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের অন্যতম ভেন্যু মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম পরিদর্শন করেন। দলের সদস্য ইসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের পরিচালক জন কার জানালেন, তাদের সফর পু্রোপুরি রুটিন কাজ।
“আমাদের দলের সফরের আগে সব দেশে যাওয়া আমাদের রুটিন। আমরা সব ফ্যাসিলিটিজ, হোটেল, ক্রিকেট মাঠ দেখতে এসেছি। নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করতে এসেছি।”
গত ১ জুলাই গুলশানে জঙ্গি হামলার পর এই রুটিন সফরই খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে গেছে।
বাংলাদেশে আসার পর ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়েছে নিরাপত্তা দলের। শুক্রবার চট্টগ্রামে যাবেন তারা। স্বাভাবিকভাবেই চলতি সফরে ইংল্যান্ড দলের আসা না আসা নিয়ে কিছু বলতে চাননি কার। তিনি জানান, ফিরে গিয়ে ইসিবির সঙ্গে বসবেন তারা, এর পরই আসবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা।
সব ঠিক থাকলে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে আসবে ইংল্যান্ড দল। নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এরই মধ্যে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া বিসিবি সফর নিয়ে খুবই আশাবাদী।
ইসিবির নিরাপত্তা প্রধান রেগ ডিকাসন এর আগেও বাংলাদেশে এসেছিলেন। ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্রিকেটারদের সংগঠন পিসিএর প্রধান নির্বাহী ডেভিড লেদারডেইলও এবার আছেন তাদের সঙ্গে।
“সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া আইসিসি ইভেন্টের (নিরাপত্তা) ব্যবস্থা নিয়ে আমরা সচেতন। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে সে ব্যাপারেও আমরা সচেতন।”
গত ২২ জানুয়ারি থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশের পাঁচটি ভেন্যুতে হয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। নিরপত্তা শঙ্কার কথা বলে সেই টুর্নামেন্টে থেকে নিজের প্রত্যাহার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এর আগে গত বছর একই শঙ্কায় স্টিভেন স্মিথদের সফর স্থগিত করে তারা।
তবে ১৬ দলের টুর্নামেন্টে ইংল্যান্ডসহ বাকি সব দলই অংশ নেয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠক
বৃহস্পতিবার বিকালে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব মো. মোজাম্মেল হক খানের সঙ্গে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। এতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তা এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও ছিলেন।
বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোজাম্মেল হক খান বলেন, “ইসিবি প্রতিনিধি দল জানতে এসেছেন বাংলাদেশে ম্যাচ হওয়ার পরিবেশ আছে কিনা। আমরা যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছি তা জানিয়েছি। কী ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছি, তা তাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। তাতে তারা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”
“দেশে যে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সেগুলো যাতে সুষ্ঠু হয় সে ব্যাপারে আমরা সমস্ত ব্যবস্থা নেব। প্রতিনিধি দলকে এ কথাও বলেছি, ইতোপুর্বে যেসব আন্তর্জাতিক ম্যাচ হয়েছে, সেগুলোতে যথার্থভাবে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সেগুলো কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়াই সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছিল।”