কেনিংটন ওভালে ৪০ রানের ছোট পুঁজি নিয়ে খুব একটা লড়াই করার সুযোগ ছিল না ইংল্যান্ডের। ৪ ওভার বল করেন ক্রিস ওকস। দুই বল করেই হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন স্টিভেন ফিন। অ্যালেস্টার কুক আক্রমণেই আনেননি নতুন বলের দুই বোলার জেমস অ্যান্ডারসন ও স্টুয়ার্ট ব্রডকে।
আজহার আলি ও সামি আসলাম ১৩.১ ওভারেই পাকিস্তানকে এনে দেন কাঙ্ক্ষিত জয়। ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ শেষ করা আজহার অপরাজিত থাকেন ৩০ রানে। সামি ১২ রানে।
রোববার কেনিংটন ওভালে ৪ উইকেটে ৮৮ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। পাকিস্তানকে আবার ব্যাটিংয়ে পাঠাতে তখনও ১২৬ রান প্রয়োজন ছিল তাদের।
শুরুতেই গ্যারি ব্যালান্সকে হারানো ইংল্যান্ডকে এগিয়ে নিচ্ছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও মইন আলি। আগের ম্যাচে প্রায় একই রকম পরিস্থিতি থেকে দলকে জয় এনে দেওয়া মইনকে লাঞ্চের কিছুক্ষণ আগে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের বড় একটা ধাক্কা দেন ইয়াসির শাহ।
প্রথম ইনিংসে ২১৪ রানের লিড নেওয়া পাকিস্তানকে ইনিংস ব্যবধানে জয়ের আশা দেখান ওয়াহাব রিয়াজ। তার সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হন ওকস। পরের বলে আজহারকে ক্যাচ দেন ইংল্যান্ডের আশা হয়ে টিকে থাকা বেয়ারস্টো।
ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষকের বিদায়ের সময় ৫ রানে এগিয়ে ছিল পাকিস্তান। তবে ব্রডকে নিয়ে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কা এড়ানোর পর জেমস অ্যান্ডারসনকে নিয়ে ২৫৩ পর্যন্ত দলকে নিয়ে যান ফিন।
৭১ রানে ৫ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার লেগ স্পিনার ইয়াসির।
প্রথম ইনিংস দ্বিশতক করে পাকিস্তানকে বড় সংগ্রহ এনে দেওয়া ইউনুস খান জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৮
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৫৪২
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ৮৮/৪) ৭৯.২ ওভারে ২৫৩ (কুক ৭, হেলস ১২, রুট ৩৯, ভিন্স ০, ব্যালান্স ১৭, বেয়ারস্টো ৮১, মইন ৩২, ওকস ৪, ব্রড ৫, ফিন ১৬*, অ্যান্ডারসন ১৭; আমির ০/৬৫, সোহেল ১/৫০, ওয়াহাব ১/৪৮, ইয়াসির ৫/৭১, ইফতেখার ১/১)
পাকিস্তান ২য় ইনিংস: ১৩.১ ওভারে ৪২/০ (সামি ১২*, আজহার ৩০*; ওকস ০/১১, ফিন ০/০, মইন ০/৩০, রুট ১/০)
ফল: পাকিস্তান ১০ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: ২-২ ড্র
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইউনুস খান।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: মিসবাহ-উল-হক, পাকিস্তান
ম্যান অব দ্য সিরিজ: ক্রিস ওকস, ইংল্যান্ড।