শনিবার কেনিংটন ওভালে ৬ উইকেটে ৩৪০ রান নিয়ে খেলা শুরু করে পাকিস্তান। ইউনুসকে নিয়ে দলকে চারশ’ রানের কাছাকাছি নিয়ে ফিরে যান সরফরাজ আহমেদ।
উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের বিদায়ের পর টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে দুইশ’ রানের লিড এনে দেন ইউনুস। তার সঙ্গে ৩৭ রানের জুটিতে ৩২ বলে ৪ রান করেন ওয়াহাব রিয়াজ।
২৪তম বলে রানের দেখা পাওয়া আমিরের সঙ্গে নবম উইকেটে ইউনুস গড়েন ৯৭ রানের আরেকটি চমৎকার জুটি। মইন আলিকে লং অনের ওপর দিয়ে বিশাল ছক্কা হাঁকিয়ে দ্বিশতকে পৌঁছান তিনি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকেননি- জেমস অ্যান্ডারসনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ার আগে ৩০৮ বলে তিনি করেন ২১৮ রান। তার ১৪৮ রানই আসে বাউন্ডারি থেকে, ৩১টি চারের সঙ্গে ৪টি ছক্কায়।
ছক্কা দিয়ে রানের খাতা খোলা আমির অপরাজিত থাকেন ক্যারিয়ার সেরা ৩৯ রানে।
ইংল্যান্ডের ক্রিস ওকস ও স্টিভেন ফিন তিনটি করে উইকেট নেন।
ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটা ভালো হয়নি। আমির ও সোহেল খানের দারুণ বোলিংয়ে শুরু থেকেই টিকে থাকতে সংগ্রাম করতে হয় স্বাগতিকদের। দশম ওভারে অ্যালেস্টার কুককে বিদায় করে প্রথম আঘাত হানেন ওয়াহাব।
নিজের প্রথম ওভারে আঘাত হানেন ইয়াসির। এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন অ্যালেক্স হেলস। বল বুঝতে না পেরে সহজ ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে ফিরেন জেমস ভিন্স।
নিজের প্রথম ১০ বলে দুইবার আঘাত হানা লেগ স্পিনারের তৃতীয় শিকার জো রুট। ৪৬ বলে ৩৯ রান করার পথে ৪ হাজার রানের মাইলফলক অতিক্রম করেন ২৫ বছর ২২৭দিন বয়সী এই ক্রিকেটার। তার চেয়ে কম বয়সে টেস্টে চার হাজার রান করেছেন কেবল আর তিন ক্রিকেটার।
১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের সেরা বোলার ইয়াসির।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৮
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (দ্বিতীয় দিন শেষে ৯১ ওভারে ৩৪০/৬) ১৪৬ ওভারে ৫৪২ (সামি ৩, আজহার ৪৯, ইয়াসির ২৬, শফিক ১০৯, ইউনুস ২১৮, মিসবাহ ১৫, ইফতেখার ৪, সরফরাজ ৪৪, ওয়াহাব ৪,আমির ৩৯*, সোহেল ২; অ্যান্ডারসন ১/৭৮, ব্রড ১/৯৯, ফিন ৩/১১০, ওকস ৩/৮২, মইন ২/১২৮, রুট ০/২১)
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩১ ওভারে ৮৮/৪ (কুক ৭, হেলস ১২, রুট ৩৯, ভিন্স ০, ব্যালান্স ৪*, বেয়ারস্টো ১৪*; আমির ০/৩০, সোহেল ০/১৮, ওয়াহাব ১/১৫, ইয়াসির ৩/১৫, ইফতেখার ০/১)