শফিক-ইউনুসের ব্যাটে পাকিস্তানের লিড

দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন আসাদ শফিক; আগের ম্যাচে দুই ইনিংসেই শূন্য রানে আউট হওয়া এই মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান করেছেন দারুণ এক শতক।  ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো শুরু পেলেও নিজের ইনিংস বড় করতে পারছিলেন না ইউনুস খান। সিরিজের শেষ টেস্টে তিনিও পেলেন তিন অঙ্কের দেখা। তাদের দৃঢ়তায় চতুর্থ টেস্টে প্রথম ইনিংসে লিড নিয়েছে পাকিস্তান।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2016, 07:15 PM
Updated : 12 August 2016, 07:16 PM

দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৬ উইকেটে ৩৪০ রান। ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ১২ রানে এগিয়ে অতিথিরা।

সিরিজ বাঁচানোর টেস্টে সোহেল খানের বোলিং নৈপুণ্যে প্রথম দিনে ইংল্যান্ডকে ৩২৮ রানে গুটিয়ে দিয়ে শুরুটা ভালো করলেও ব্যাট হাতে সূচনাটা ভালো ছিল না। শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ফিরে যান সামি আসলাম।

অমন বাজে শুরুর পর লন্ডনের কেনিংটন ওভালে দ্বিতীয় দিনে পাকিস্তানের লিড নেওয়ার পিছনে শফিক-ইউনুসের দৃঢ়তাভরা ইনিংস ছাড়াও আজহার আলি ও নাইটওয়াচম্যান ইয়াসির শাহের অবদান কম নয়।

১ উইকেটে ৩ রান নিয়ে আগের দিনের অপরাজিত দুই ব্যাটসম্যান আজহার ও ইয়াসির শুক্রবার সকালে বেশ ভালো শুরু করেন। দুজনে মিলে ৪৯ রান যোগ করে।

আর ইয়াসিরের (২৬) বিদায়ের পর তৃতীয় উইকেটে আজহার (৪৯) ও শফিক জুটি দলীয় স্কোরে ৭৫ রান যোগ করে। মইন আলির বলে আজহার উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিলে ভাঙে ২১.৫ ওভার স্থায়ী তাদের জুটি।

এরপরই শফিক ও ইউনুসের ব্যাটে প্রথম তিন টেস্টে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকা পাকিস্তানের সম্ভাবনার শুরু। দুজনেই বেশ ভালো গতিতে রান তুলেছেন।

৯৯ রানে পৌঁছে শফিক কিছুটা স্নায়ুচাপে ভুগলেও ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়ে ১৬ বল পর মিড-অনে ঠেলে দিয়ে নবম টেস্ট শতক পূর্ণ করেন তিনি। এরপর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি; স্টিভেন ফিনের বলে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

১৭৯ বলের ইনিংসে ১২টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০৯ রান করেন শফিক।

শফিকের বিদায়ের পর অধিনায়ক মিসবাহ ও ইফতিখার আহমেদ দ্রুত বিদায় নেন। তবে লিড আরও বাড়িয়ে নেওয়ার সম্ভাবনা বেঁচে আছে ইউনুসের ব্যাটে। ১০১ রানে অপরাজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান। আরেক অপরাজিত ব্যাটসম্যান সরফরাজ আহমেদের রান ১৭।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩২৮

পাকিস্তান ১ম ইনিংস: (প্রথম দিন শেষে ৩/১) ৯১ ওভারে ৩৪০/৬ (সামি ৩, আজহার ৪৯, ইয়াসির ২৬, শফিক ১০৯, ইউনুস ১০১*, মিসবাহ ১৫, ইফতিখার ৪, সরফরাজ ১৭*; ওকস ২/৫২, ফিন ২/৭১, ব্রড ১/৫৯, মইন ১/৮৩)