২০১৩ বিপিএলে ফিক্সিংয়ে জড়িত থাকায় আশরাফুলকে ৩ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে বিসিবির গঠিত বিশেষ ট্রাইব্যুনাল। পরে আশরাফুল আপিল করলে সেই নিষেধাজ্ঞা কমে আসে দুই বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ পাঁচ বছরে। সে অনুযায়ী সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়কের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাচ্ছে ১৩ অগাস্ট শনিবার।
তবে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হলেও এই ব্যাটসম্যান কোন ধরনের ক্রিকেট খেলতে পারবেন, কোনটায় আছে বাধা, সেটা নিয়ে এখনও আছে সংশয়। গুঞ্জন আছে, স্থগিত নিষেধাজ্ঞার দুই বছরেও জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগে খেলতে পারবেন না আশরাফুল।
এসব ব্যাপারে ব্যাখ্যা দেওয়ার কথা যাদের, সেই বিসিবিই অন্ধকারে। সংবাদমাধ্যম থেকে বেশ কিছুদিন আগে থেকেই এই ব্যপারে বিসিবির কাছে বিস্তারিত ব্যখ্যা চাওয়া হলেও পাওয়া যায়নি। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার প্রাক্কালেও নিশ্চিত হতে পারেনি বিসিবি।
প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার বিকেলে জানালেন, বিসিবি অপেক্ষায় আইসিসির জবাবের।
“বিষযটির বিস্তারিত আমরা জানতে চেয়েছি আইসিসির কাছে। আশা করি, রোববার নাগাদ আমরা জানাতে পারব।”
বিসিবির প্রধান নির্বাহী জানালেন, একটি চুক্তির কারণেই ব্যাপারটি নিয়ে এখনও পরিষ্কার হওয়া যাচ্ছে না। যে চুক্তিতে বিসিবি, আইসিসি, আকসু, আশরাফুল, এরকম বেশ কটি পক্ষ আছে।
যদিও গুঞ্জণ আছে, আপিলে আশরাফুলের শাস্তি কমার পর বিসিবি ও আইসিসি যৌথভাবে সেটির বিরুদ্ধে আপিল করতে চেয়েছিল আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে। কিন্তু আশরাফুলের সঙ্গে আড়ালে একটি চুক্তি হওয়ায় আর ক্রীড়া আদালাতে যায়নি তারা। সেই চুক্তির ধারাতেই ছিল, স্থগিত নিষেধাজ্ঞার দুই বছরও জাতীয় দল ও ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি থেকে দূরে থাকতে হবে আশরাফুলকে।
আইসিসির ব্যখ্যা পাওয়ার পরই পরিষ্কার হবে পুরো চিত্র। নিষিদ্ধ আশরাফুল আপাতত দেশের বাইরে। শনিবার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার দিনই তার ফেরার কথা।