কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে সাকিব আইপিএল জয়ের স্বাদ পেয়েছেন দু বার। এবার ভিন দেশের আরেকটি লিগে পেলেন শিরোপা জয়ের স্বাদ। সোমবার বাংলাদেশ সময় ভোরে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে হারিয়ে সিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সাকিবের জ্যামাইকা।
সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করেন সাকিব। লাইভে কথা বলেছেন সেন্ট কিটসের টিম হোটেলের বাইরে সৈকতের রেস্তোরাঁয় বসে। সিপিএল জয়কে সাকিব মনে করেন নিজের জন্য দারুণ এক অর্জন।
“প্রায় ৪০ দিন কাটলো এখানে। অনেক পরিশ্রম, অনেক কষ্ট…যেটির জন্য আসা এখানে, ট্রফিটা পাওয়া…অবশ্যই অনেক ভালো লাগে। বড় একটা অর্জন আমার জন্য। সবাই দোয়া করবেন।”
“কয়েকটা ম্যাচ হারার পর সবার আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছিল। তবে আমরা দারুণভাবে ফিরেছি। আমার জন্য সব মিলিয়ে দারুণ অভিজ্ঞতা ছিল।”
গত ২৫ জুন রাতে সিপিএল খেলতে ঢাকা ছেড়েছিলেন সাকিব। দীর্ঘ সময় বাড়ির বাইরে থেকে এখন প্রহর গুণছেন ফেরার।
“রোমাঞ্চিত…বাসায় ফেরার জন্য। ৩০ দিনের বেশি হয়ে গেলেই আমি একটু হোমসিক হয়ে যাই। বেশির ভাগ জায়গাতেই ৩০ দিনের বেশি থাকতে পারি না। তাড়াতাড়ি দেশে ফিরব ইনশাল্লাহ।”
“দেশে ফিরে কয়েকদিনের ছুটি। এরপর ইংল্যান্ড সিরিজের প্রস্তুতি। আশা করি, খুব ভালো সময় কাটবে আমাদের ইংল্যান্ডের সঙ্গে। দেশে সবাই ট্রেনিং করছে। ওদের সঙ্গে আমার ফিটনেস লেভেলও ধরে রাখতে হবে।”
দুদিন আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে সাকিবের। ২০০৬ সালের ৬ অগাস্ট বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক হয়েছিল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। পথচলার বড় এক মাইলফলক ছোঁয়া নিয়েও কথা বললেন সাকিব।
“১০ বছর হয়ে গেলো। সময়টা এত তাড়াতাড়ি কেটে যায়, বোঝাও মুশকিল। এখনও মনে আছে, প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচে জিম্বাবুয়ের হারারেতে প্রথম উইকেট নেই, প্রথম রান করি কিভাবে, কত নার্ভাস ছিলাম..এখনও অনুভব করতে পারি। মনে হয়, কয়েকদিন আগের ঘটনা।”
“দেখতে দেখতে ১০ বছর পার হয়ে গেল। অনেক ওঠা-নামা ছিল। সবসময় আপনারা সাথে ছিলেন, অনেক সমর্থন দিয়েছেন এজন্য ধন্যবাদ।”
এবারের সিপিএলে ২২.৮৫ গড়ে ১৬০ রান করেছেন সাকিব। ওভারপ্রতি ৬.৯৪ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ১২টি।