সার্জন ওয়ালেসের সেক্রেটারি ইভার সঙ্গে এই প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে তিনি জানান, আগামী বৃহস্পতিবার সার্জন ওয়ালেস মুস্তাফিজের কাঁধে অস্ত্রোপচার করবেন। এই অস্ত্রোপচার লন্ডনের ক্রমওয়েল হাসপাতালে হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পরে বাংলাদেশে শুক্রবার বিকেলে বিসিবির মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস আগামী বৃহস্পতিবার সার্জন ওয়ালেসের কাছে মুস্তাফিজের অস্ত্রোপচারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনির নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল স্কুল থেকে ১৯৮৭ সালে ডিগ্রি নিয়ে স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করা অ্যান্ড্রু ওয়ালেস সিডনিতে ফিরে গিয়ে অর্থোপেডিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর তিনি কাঁধের অস্ত্রোপচারের বিষয়ে সিডনি ও কানাডার ক্যালগারিতে ফেলোশিপ লাভ করেন।
ওয়ালেস ২০০৬ সালের ২৭ মার্চ লন্ডনের সেন্ট জন অ্যান্ড সেন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভারতের কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান শচিন টেন্ডুলকারের কাঁধে অস্ত্রোপচার করেছিলেন।
সাসেক্স ক্লাবে খেলতে এসে চোট পাওয়ার পর ক্লাবটি ইংল্যান্ডের আরেক বিশেষজ্ঞ সার্জন টনি কোচারের কাছে প্রথমে মুস্তাফিজের কাঁধের এমআরআই এবং পরবর্তীতে এমআরএ (ম্যাগনেটিক রিজোন্যান্স এনজিওগ্রাম) করিয়ে নিশ্চিত হয় যে, তার এই সমস্যা উপশমের জন্য অস্ত্রোপচার প্রয়োজন।
টনি কোচারের ওই মতামতের ভিত্তিতে ইসিবি ইংল্যান্ডে কাঁধের অস্ত্রোপচারে পারদর্শী অধ্যাপক লেনার্ড ফাংক অথবা অ্যান্ড্রু ওয়ালেসকে দিয়ে মুস্তাফিজের কাঁধের অস্ত্রোপচার করানোর জন্য বিসিবিকে পরামর্শ দিয়েছিল।
মুস্তাফিজকে লন্ডনে আতিথ্য দেওয়া সেন্ট পিটার্স কলেজ অব লন্ডনের অধ্যক্ষ এজিএম সাব্বির বৃহস্পতিবার বিকেলে মুস্তাফিজকে নিয়ে যান সার্জন ওয়ালেসের কাছে। রাতে যোগাযোগ করলে সাব্বির জানান, ফাংকের মতো ওয়ালেসও মুস্তাফিজের কাঁধের অস্ত্রোপচার করানোয় মত দিয়েছেন। ওয়ালেস তার মতামত বিসিবিকে জানিয়ে দেবেন।
ওয়ালেস দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে পারবেন কিনা জানতে চাইলে সাব্বির বলেন, “বিসিবি চাইলে ওয়ালেস সহসাই অস্ত্রোপচার করতে পারবেন।”
মুস্তাফিজের চিকিৎসা নিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিন্দুমাত্র ঝুঁকি নিতে নারাজ। সাসেক্স ক্লাবের হয়ে এসেক্স ও সারে ক্লাবের বিপক্ষে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার পর মুস্তাফিজ চোটের কবলে পড়ার সাথে সাথেই ইসিবির সাথে পরামর্শ করে যত দ্রুত সম্ভব সর্বোত্তম অর্থোপেডিক সার্জনের মাধ্যমে মুস্তাফিজের চিকিৎসা করাতে উদ্যোগ নিয়েছে বিসিবি।
লন্ডন, ৫ আগস্ট, ২০১৬
(লেখক আবু মুসা হাসান সাবেক কূটনীতিক ও সাংবাদিক)