বার্মিংহ্যামে দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৫৭ রান। নড়বড়ে শুরুর পর ক্রমশ নিজেকে ফিরে পাওয়া ইউনুস খান ব্যাট হাতে করেছেন ২১ রানে।
দুবার জীবন পাওয়া আজহারকে দিনের শেষ বলে ফিরিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরেছে ইংল্যান্ড শিবিরে। ক্রিস ওকসের বাইরের বলে স্লিপে অ্যালেস্টার কুকের তালুবন্দি হন পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান।
২৯৩ বলে খেলা আজহারের ১৩৯ রানের ইনিংসটি ১৫টি চার ও একটি ছক্কায় গড়া। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি তার দ্বিতীয় ও সব মিলিয়ে দশম টেস্ট শতক।
আগের দিন ইংল্যান্ডকে ২৯৭ রানে গুটিয়ে দেওয়া পাকিস্তান বৃহস্পতিবার শুরুতেই হারায় মোহাম্মদ হাফিজকে। জেমস অ্যান্ডারসনের করা প্রথম ওভারেই অনেক বাইরের বল তাড়া করতে গিয়ে গ্যারি ব্যালান্সকে ক্যাচ দেন তিনি।
নতুন বল দারুণ ভাবে সামাল দেওয়া সামি ছিলেন শতকের পথে। কিন্তু দুরূহ একটি রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে শেষ হয় তার সম্ভাবনাময় ইনিংস। সময় নিয়ে জেমন্স ভিন্সের করা থ্রো যখন স্টাম্প ভেঙে দেয় তখন অনেক দূরে ছিলেন সামি।
১৭৬ বলে খেলা সামির ৮২ রানের ইনিংসটি ৯টি চার ও একটি ছক্কা সমৃদ্ধ।
দিনের প্রথম ওভারে আঘাত হানা অ্যান্ডারসন লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই উইকেট পেতে পারতেন। কিন্তু তার বলে ৩৮ রানে জো রুটের হাতে স্লিপে জীবন পান আজহার। পরে ৬৯ রানে আবার বেঁচে যান তিনি; এবার ফিরতি ক্যাচ নিতে পারেননি মইন আলি।
পিচের ওপর দিয়ে দৌড়ানোয় এক ওভারে দুইবার অ্যান্ডারসনকে সতর্ক করে দেন আম্পায়ার। এরপর কিছুটা ছন্দপতন ঘটে তার বোলিংয়ে।
থিতু হওয়ার পর আজহারকে ভালোই সঙ্গ দিয়েছেন ইউনুস। তৃতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে বড় লিড নিতে মিসবাহ-উল-হক, আসাদ শফিক ও তার দিকে তাকিয়ে থাকবে পাকিস্তান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ২৯৭
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯০ ওভারে ২৫৭/৩ (হাফিজ ০, সামি ৮২, আজহার ১৩৯, ইউনুস ২১*; অ্যান্ডারসন ১/৩২, ওকস ১/৫২)