আলোর অভাবে দিনের শুরুতে খেলা শুরু হয়েছে দেরিতে, শেষও হয়েছে অনেক আগে। পাল্লেকেলেতে সারাদিনে খেলা হয়েছে ৪০.৪ ওভার। তাতেই জয়ের পথ তৈরি করে ফেলেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য ২৬৮। দিন শেষ করেছে তারা ৩ উইকেটে ৮৩ রানে।
প্রয়োজন আর ১৮৫ রান, ৭ উইকেট হাতে নিয়ে সেটি এমনিতে খুব কঠিন হওয়ার কথা নয়। এই মাঠের সবশেষ টেস্টেই শেষ ইনিংসে ৩৮২ রান তুলে ৭ উইকেটে জিতেছে পাকিস্তান। কিন্তু এবারের বাস্তবতা ভিন্ন। স্পিনাররা পাচ্ছেন দারুণ টার্ন ও বাউন্স। বল আসছে থেমে। তিন লঙ্কান স্পিনার চতুর্থ দিনেই নাকাল করে ছেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ানদের।
দ্রুত রান তুলে শ্রীলঙ্কাকে ভড়কে দিতে পারতেন যিনি, সেই ডেভিড ওয়ার্নারকে ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ফেরান রঙ্গনা হেরাথ। অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরার ফ্লাইটেড ডেলিভারিতে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ উসমান খাওয়াজা।
জো বার্নস শুরুটা করেছিলেন ভালোই। কিন্ত জবাব জানা ছিল না লাকসান সান্দাকানের বিশাল টার্নের। চায়নাম্যান বোলারের ডেলিভারি অফ স্টাম্পের অনেক বাইরে থেকে ত্বরিত ভেতরে ঢুকে বোকা বানায় বার্নসকে।
বল হতে প্রথম ব্রেক থ্রু দেওয়ার আগে ব্যাট হাতেও অস্ট্রেলিয়াকে ভুগিয়েছেন হেরাথ। আগের দিন ১৬৯ রানে অপরাজিত কুসল মেন্ডিস ফিরে যান আর ৭ রান করেই। কিন্তু শেষ তিন জুটিতে লোয়ার অর্ডারদের নিয়ে হেরাথ যোগ করেছেন ৬৩ রান। নিজে করেছেন ৩৪ বলে ৩৫। শেষ পর্যন্ত এই রান হয়ে উঠতে পারে মহামূল্য।
নেতৃত্বের অপরাজেয় যাত্রা ধরে রাখতে হলে শেষ দিনে হয়ত অসাধারণ কিছু করতে হবে স্মিথকে। নইলে প্রার্থনা করতে হবে প্রকৃতির আনুকূল্য!
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১১৭
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২০৩
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: (তৃতীয় দিন শেষে ২৮২/৬) ৯৩.৪ ওভারে ৩৫৩ (মেন্ডিস ১৭৬, দিলরুয়ান ১২, হেরাথ ৩৫, সান্দাকান ৯, প্রদিপ ১০*; স্টার্ক ৪/৮৪, হেইজেলউড ২/৫৯, ও’কিফ ১/৪২, লায়ন ২/১০৮, ওয়ার্নার ০/১০, ভোজেস ০/৩, মার্শ ১/৩৩, স্মিথ ০/১)।
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ২৬৮) ২৭ ওভারে ৮৩/৩ (বার্নস ২৯, ওয়ার্নার ১, খাওয়াজা ১৮, স্মিথ ২৬*, ভোজেস ৯*; প্রদিপ ০/১৬, হেরাথ ১/৩৫, দিলরুয়ান ১/১৯, সান্দাকান ১/১৩)।