বুলাওয়ায়ো টেস্টের প্রথম দিন শেষ বেলায় ব্যাট করতে নেমে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩২ রান করেছে নিউ জিল্যান্ড। মার্টিন গাপটিল ১৪ ও টম ল্যাথাম ১৬ রানে ব্যাট করছেন।
বৃহস্পতিবার কুইন্স স্পোর্টস ক্লাবে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৭৭ ওভার ৫ বলে ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
টিম সাউদির করা দিনের প্রথম বল ব্রায়ান চ্যারির ব্যাটে লেগে চার হয়ে যায়। পরের বলটি ছিল একই রকম, এবার আর বাঁচেননি চ্যারি। দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক্যাচ তালুবন্দি করেন গাপটিল।
জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের বাজে শট খেলে ফেরার সেটাই শুরু। অভিষিক্ত প্রিন্স মাসভাউরে আর ১০ নম্বর ব্যাটসম্যান ডোনাল্ড টিরিপানো ছাড়া আর কেউ অতিথিদের বোলারদের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি। স্বাগতিকদের সবচেয়ে বেশি ভুগিয়েছেন টানা শর্ট বল করে যাওয়া ওয়াগনার।
স্বাগতিকরা নিজেদের ইনিংসের এক পর্যায়ে ১ রানের মধ্যে হারায় অভিষিক্ত উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান চামু চিবাবা, অভিজ্ঞ হ্যামিল্টন মাসাকাদজা ও শন উইলিয়ামসকে।
স্বাগতিকদের পরের ধসটি আরও বিব্রতকর। এবার ১০ বলের মধ্যে শূন্য রানে চার উইকেট হারায় দলটি। ওয়ানগার এক ওভারে তিন ব্যাটসম্যানকে ফিরিয়ে টেস্টে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট নেন।
ওয়াগনারের হ্যাটট্রিক ঠেকিয়ে দেওয়া টিরিপানোর সঙ্গে মাসভাউরের নবম উইকেট জুটি স্বস্তি নিয়ে আসে জিম্বাবুয়ে ইনিংস। তাদের ৮৫ রানের ওপর ভর করে বুলাওয়ায়োতে নিজেদের সর্বনিম্ন ১৫৫ রানে অলআউটের শঙ্কা এড়ায় জিম্বাবুয়ে।
৭২ রানে ৮ উইকেট হারানো দলটি এক সময়ে দুইশ’ রানের সম্ভাবনা জাগায়। কিন্তু আম্পায়ারের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে মাসভাউরে (৪২) এলবিডব্লিউ হলে ভেঙে যায় স্বাগতিকদের প্রতিরোধ। এরপর আর বেশি দূর এগোয়নি জিম্বাবুয়ের ইনিংস।
৪১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে জিম্বাবুয়েকে গুঁড়িয়ে দেওয়ায় সবচেয়ে বড় অবদান ওয়াগনারের। টেস্টে এটাই তার সেরা বোলিং। ইনিংসে তার আগের সেরা ছিল ৬/১০৬।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংস: ৭৭.৫ ওভারে ১৬৪ (চ্যারি ৪, চিবাবা ১৫, মাসাকাদজা ১৫, আরভিন ১৩, উইলিয়ামস ১, রাজা ২২, মাসভাউরে ৪২, চাকাভা ০, ক্রেমার ০, টিরিপানো ৪৯*, চিনোয়া ১;ওয়াগনার ৬/৪১, স্যান্টনার ২/১৬, সাউদি ২/২৮)
নিউ জিল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ১০ ওভারে ৩২/০ (গাপটিল ১৪*, ল্যাথাম ১৬*; ক্রেমার ০/১, মাসভাউরে ০/২, রাজা ০/৬)