শ্রীলঙ্কার দুই বাঁহাতি স্পিনার হেরাথ ও সান্দাকান নিয়েছেন ৪টি করে উইকেট। বুধবার প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া গুটিয়ে গেছে ২০৩ রানেই। তাতেই অবশ্য লিড ৮৬ রানের।
বুধবার দ্বিতীয় ইনিসে ব্যাটিংয়ে নেমেই শ্রীলঙ্কা হারিয়েছে এক ওপেনারকে। এর পরই বৃষ্টি। আগের দিনের মতোই বৃষ্টির কারণে ৩৩ ওভার আগে শেষ হয়েছে দিনের খেলা।
হেরাথের কাছ থেকে এই পারফরম্যান্স প্রত্যাশিতই ছিল। চমক জাগানিয়া ছিল সান্দাকানের পারফরম্যান্স। চায়নাম্যান বোলাদের সাফল্যের গল্প টেস্ট ক্রিকেটে খুব একটা নেই। অভিষেকে তো আরও কম। কিন্তু চায়নাম্যান হয়েও অভিষেকে আলো ছড়ালেন সান্দাকান। তুলে নিয়েছেন ৫৮ রানে ৪ উইকেট।
সান্দাকানের প্রথম উইকেটিই নি:সন্দেহে ছিল তার সেরা। ডেলিভারিটি ছিল বেশ ফ্ল্যাট, স্পিন করে ভেতরে ঢুকবে ভেবে ব্যাট পেতেছিলেন মিচেল মার্শ। কিন্তু বল পিচ করে হালকা বেরিয়ে গিয়ে মার্শের ব্যাটের পাশ দিয়ে চুমু খায় স্টাম্পে।
এর আগেই অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার ধসিয়ে দিয়েছেন হেরাথ। লঙ্কান বোলিংয়ের মূল অস্ত্র সকালেই ফিরিয়ে দেন আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান উসমান খাওয়াজা ও স্টিভেন স্মিথকে।
সান্দাকান পরে ছেটে দেন লোয়ার অর্ডার। প্রতিরোধ গড়া অ্যাডাম ভোজেসকে মাঝে ফিরিয়ে দেন পেসার নুয়ান প্রদিপ। ৯৫.৫০ গড় নিয়ে খেলতে নামা ভোজেস করেছেন দলের সর্বোচ্চ ৪৭।
দুই দিনে মোটামুটি খেলা হয়েছে চার সেশনের মত। তাতেই উইকেট পড়েছে ২১টি। কি অপেক্ষায় রেখেছে পাল্লেকেলের তৃতীয় দিন?
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ১১৭
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৬৬/২) ৭৯.২ ওভারে ২০৩ (বার্নস ৩, ওয়ার্নার ০, খাওয়াজা ২৬, স্মিথ ৩০, ভোজেস ৪৭, মার্শ ৩১, নেভিল ২, ও’কিফ ২৩, স্টার্ক ১১, লায়ন ১৭, হেইজেলউড ২*; প্রদিপ ২/৩৬, হেরাথ ৪/৪৯, দিলরুয়ান ০/৪৩, সান্দাকান ৪/৫৮, ম্যাথিউস ০/৬)।
শ্রীলঙ্কা ২য় ইনিংস: ২.২ ওভারে ৬/০ (কুশল পেরেরা ৪, কৌশল ২*; স্টার্ক ১/৩, হেইজেলউড ০/৩)।