আইসিসি হল অব ফেমে শ্রীলঙ্কার প্রথম মুরালিধরন

শ্রীলঙ্কার প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন কিংবদন্তি অফ স্পিনার মুত্তিয়া মুরালিধরন। চলতি বছরের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে অধিষ্ঠিত হবেন তিনি।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 July 2016, 10:09 AM
Updated : 27 July 2016, 10:09 AM

মুরালিধরনের সঙ্গে এই বছর আইসিসি হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক পেসার জর্জ লোহম্যান, অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান আর্থার মরিস ও অস্ট্রেলিয়ার সাবেক মহিলা অধিনায়ক কারেন রোল্টন।

৮০০ উইকেট নিয়ে টেস্ট ও ৫৩৪ উইকেট নিয়ে ওয়ানডেতে মুরালিধরন সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী। অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার শেন ওয়ার্ন (১ হাজার ১) ছাড়া কেবল মুরালিধরনেরই (১ হাজার ৩৪৭) আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এক হাজারের বেশি উইকেট রয়েছে। 

১৯৯২ থেকে ২০১১ পর্যন্ত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা মুরালিধরন দেশের হয়ে জিতেছেন বিশ্বকাপ। ম্যাচে ১০ উইকেট নিয়েছেন ২২ টেস্টে; ৬৭ ইনিংসে নিয়েছেন ৫ উইকেট।

ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল হাতে রাজত্ব করা লোহম্যানের অধিকারে রয়েছে ক্রিকেটের পুরনো রেকর্ডের একটি। ১৮৯৬ সালে নিজের ষোড়শ ম্যাচে টেস্টে দ্রুততম শত উইকেট নেন তিনি, ১২০ বছরেও যা ভাঙতে পারেননি কেউ।

১৯৪৮ সালের অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ার ‘অপরাজেয়’ দলের সদস্য ছিলেন মরিস। ৮৭ গড়ে ৬৯৬ রান করে সেই সিরিজে ডন ব্র্যাডম্যানকে (৫০৮) পেছনে ফেলেছিলেন এই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান।

১৯৯৫ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে খেলেন রোল্টন। ২০০১ সালে হেডিংলিতে করেন অপরাজিত ২০৯ রান, সেই সময়ে মহিলা টেস্ট ক্রিকেটে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ।  ২০০৫ সালে বিশ্বকাপ ফাইনালে করেন শতক, পরের বছর পান নেতৃত্ব।

বিভিন্ন সময়ের গ্রেটদের হল অব ফেমে পেয়ে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানান আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভিড রিচার্ডসন।

“আধুনিক যুগের অন্যতম গ্রেট হলেন মুরালিধরন। লোহম্যান ও মরিস নিজেদের সময়ে ছিলেন অসাধারণ পারফরমার এবং তারা ক্রিকেট লোককথার অংশ। রোল্টনের পারফরম্যান্স সাম্প্রতিক, এমন সময়ে এসেছে যখন মহিলা ক্রিকেট অনেক প্রতিযোগিতামূলক।”