আদতে পাল্লেকেলের ২২ গজে ছিল না এমন কোনো জুজু। খানিকটা সুইং মিলেছে পেস বলে, স্পিনটাও ধরেছে একটু। তবে সেটা ব্যাটসম্যানদের এমন দুর্দশা হওয়ার মত নয়। হলো অস্ট্রেলিয়ার পেস ও স্পিন জুটির দুর্দান্ত বোলিং আর লঙ্কানদের বাজে ব্যাটিং মিলিয়ে। টস জিতে ব্যাটিং নেওয়ার সময় অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস নিশ্চয়ই কল্পনাও করতে পারেননি, ১১৭ রানে গুটিয়ে যাবে তার দল!
৩৪.২ ওভারে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামার পর দেশটির ইতিহাসের এটি সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত ইনিংস।
এমনিতেই অনভিজ্ঞ শ্রীলঙ্কা একাদশ সাজিয়েছিল দুজন অভিষিক্ত নিয়ে। ব্যাটিং অলরাউন্ডার ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও চায়নাম্যান বোলার লাকসান সান্দাকান।
অভিষেক ইনিংসে দলের সর্বোচ্চ রান এসেছে ধনঞ্জয়ার ব্যাট থেকেই, তবে সেটি মাত্র ২৪! দলের সবচেয়ে বড় জুটি ২৫ রানের।
বল হাতে ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা করেছিলেন মিচেল স্ট্যার্ক, ভেতরে ঢোকা বলে এলবিডব্লিউ দিমুথ করুনারত্নে। আরেক পাশে নিখুঁত লাইন-লেংথে আর ছোট ছোট সুইংয়ে লঙ্কানদের নাভিশ্বাস তোলেন জশ হেইজেলউড। পুরস্কার পেয়ে যান দ্রুত। ফিরিয়ে দেন কুসল মেন্ডিস ও টেস্ট স্পেশালিস্ট ওপেনার কৌশল সিলভাকে।
সেই ধাক্কা আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি লঙ্কানরা। বরং দুই স্পিনার স্টিভ ও’কিফ ও নাথান লায়ন চেপে ধরেন আরও। ৫ উইকেটে ৮৪ রান নিয়ে লাঞ্চে গিয়েছিল লঙ্কানরা। লাঞ্চের পর প্রথম ওভারেই দুই উইকেট নেন লায়ন। ৩০ রানে স্বাগতিকরা হারায় শেষ ৫ উইকেট।
তবে তৃতীয় উইকেটে উসমান খাওয়াজা ও স্টিভ স্মিথ বুঝিয়ে দেন, উইকেটে নেই কোনো জুজু। বল বুঝে ব্যাট করলে খুব দুরূহ কিছু নয়। দুজনের জুটির আর অস্ট্রেলিয়া অগ্রগতি থামায় বৃষ্টি। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠেছে ততক্ষণে ৫৯ রান।
বৃষ্টিতে দিনের খেলা শেষ ৩৩ ওভার আগেই। নইলে হয়ত প্রথম দিনেই শ্রীলঙ্কার স্কোর ছাড়িয়ে যেত অস্ট্রেলিয়া।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস: ৩৪.২ ওভারে ১১৭ (করুনারত্নে ৫, কৌশল ৪, মেন্ডিস ৮, চান্দিমাল ১৫, ম্যাথিউস ১৫, ধনঞ্জয়া ২৪, কুশল ২০, দিলরুয়ান ০, হেরাথ ৯, সান্দাকান ১৯*, প্রদিপ ১; স্টার্ক ২/৫১, হেইজেলউড ৩/২১, ও’কিফ ২/৩২, লায়ন ৩/১২)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ২০ ওভারে ৬৬/২ (বার্নস ৩, ওয়ার্নার ০, খাওয়াজা ২৫*, স্মিথ ২৮*; প্রদিপ ১/৩, হেরাথ ১/১৫, দিলরুয়ান ০/১৯, সান্দাকান ০/১৩, ম্যাথিউস ০/৬)।