‘বুড়ো’ অধিনায়কদের শীর্ষে মিসবাহ

গত নভেম্বরে ইংল্যান্ড সিরিজ শেষেই ক্রিকেটকে বিদায় জানাতে চেয়েছিলেন মিসবাহ-উল-হক। কিন্তু বিকল্প কোথায়! পিসিবি অনুরোধ করেছিল এই ইংল্যান্ড সিরিজ আর পরের অস্ট্রেলিয়া সফর পর্যন্ত অন্তত থাকতে। দেশের ডাকে রাজি হয়েছেন মিসবাহ। আর এই ‘বোনাস’ অধ্যায়ের প্রথম ইনিংসেই তিনি নাম লেখালেন ইতিহাসে!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 July 2016, 06:49 PM
Updated : 15 July 2016, 11:51 AM

বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্ট দিয়েই ইংল্যান্ডের মাটিতে তার টেস্ট অভিষেক। বয়স ৪২ বছর ৪৭ দিন। প্রথম দিনেই অপরাজিত ১১০ রানে। টেস্ট ইতিহাসে তার চেয়ে বেশি বয়সে শতক নেই আর কোনো অধিনায়কের!

মিসবাহ ভেঙেছেন তিন যুগেরও বেশি টিকে থাকা রেকর্ড। সেই ১৯৭৮ সালে ভারতের বিপক্ষে অ্যাডিলেড টেস্টে ববি সিম্পসন করেছিলেন ঠিক ১০০, অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের বয়স ছিল সেদিন ৪১ বছর ৩৫৯ দিন।

বয়স ৪০ পূর্ণ করার পর মিসবাহর এটি পঞ্চম টেস্ট সেঞ্চুরি। সবগুলোই অধিনায়ক হিসেবে। চল্লিস পূর্ণ করার পর তিনটির বেশি সেঞ্চুরি নেই আর কোনো অধিনায়কের।

অধিনায়কত্ব বাদ দিয়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্ট ইতিহাসে মিসবাহর চেয়ে বেশি বয়সে শতক আছে মাত্র ৫ জনের। এই ৫ জনের সবশেষ জনের শতকটি ছিল সেই ১৯৩৪ সালে!

৪৬ বছর ৮২ দিন বয়সে শতক করে বুড়োর সেঞ্চুরিতে সবার ওপরে জ্যাক হবস; করেছিলেন ১৯২৯ সালে। ইংল্যান্ডের প্যাটসি হেনড্রেন ১৯৩৪ অ্যাশেজে শতক করেছেন ৪৫ বছর ১৫১ দিন বয়সে।

মিসবাহর ওপরে থাকা বাকি তিনজন, অস্ট্রেলিয়ার ওয়ারেন বার্ডসলি, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেভ নার্স ও ইংল্যান্ডের ফ্র্যাঙ্ক উলি।

লর্ডসে মিসবাহর চেয়ে বেশি বয়সে শতক আছে মাত্র ২ জনের। ১৯২৬ অ্যাশেজে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার বার্ডসলি অপরাজিত ১৯৩ করেছিলেন ৪৩ বছর ২০২ দিন বয়সে। ওই টেস্টেই ইংল্যান্ডের জ্যাক হবস ১১৯ করেছিলেন ৪৩ বছর ১৯৪ দিন বয়সে।

বয়সের একটি রেকর্ড মিসবাহ গড়েছেন এই ম্যাচে টস করতে নেমেই। ৪২ পূর্ণ হওয়ার পর টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপমহাদেশের কোনো ক্রিকেটার। 

একটি জায়গায় মিসবাহ ছাড়িয়ে গেছেন দেশের সবাইকে। ক্যারিয়ারের দশম টেস্ট শতকটি অধিনায়ক হিসেবে মিসবাহর অষ্টম। নেতৃত্ব দেওয়া টেস্টে এত বেশি শতক নেই আর কোনো পাকিস্তানি অধিনায়কের। অধিনায়ক ইনজামাম-উল-হক করেছিলেন ৭টি।

বয়স যত বাড়ছে, মিসবাহর ব্যাটের ধার যেন বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। সামনের পথচলায় বুড়োদের নানা রেকর্ডে মিসবাহর নাম আরও অনেকবার আসবে, বলে দেওয়ায় ঝুঁকি নেই খুব একটা!