গেইলের খুনে শতক, বিবর্ণ সাকিব

দুইশর কাছাকাছি রান তাড়ায় মন্থর শুরু। শেষ ১০ ওভারে ওভারপ্রতি প্রয়োজন ১২ রানের বেশি। কিন্তু টি-টোয়েন্টি ব্যাটিংয়ের রাজা তো তখনও ক্রিজে! ক্রিস গেইলের ব্যাটিং তাণ্ডবে দুরূহ সেই লক্ষ্য অনায়াসেই পেরিয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াহস।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 July 2016, 05:24 AM
Updated : 12 July 2016, 12:33 PM

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে অন্যতম ফেভারিট ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয় পেয়েছে জ্যামাইকা। পোর্ট অব স্পেনে ১৯১ রানের পুঁজি নিয়েও ত্রিনবাগো হেরে গেল গেইলের কাছেই।

প্রথম ম্যাচে ভালো বোলিং করা সাকিব আল হাসানকে এদিন নতুন বল দিয়েছিলেন ক্রিস গেইল। কিন্তু ২ ওভারে ২৬ রান দিয়ে উইকেটশূন্য সাকিব। দল জিতে যাওয়ায় নামতে হয়নি ব্যাটিংয়ে।

গত বছর দুয়েক বেশিরভাগ সময় যে ধারায় ব্যাটিং করে আসছেন গেইল, এদিনও ছিলেন সেই পথের অনুসারী। শুরুতে সময় নিয়েছেন, পরে পুষিয়ে দিয়েছেন সুদে-আসলে।

১৯২ রান তাড়ায় জ্যামাইকার সূচনা ছিল একদমই ধীরে। প্রথম ৫ ওভারে রান ছিল ২১! গেইলের স্ট্রাইক রেট তখন মোটে ৫০। আরেক ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন করেছেন ১৯ বলে ১৩।

তিনে নেমে ১৪ বলে ২০ রান করে রানের গতি খানিকটা বাড়িয়েছেন কুমার সাঙ্গাকারা।

১০ ওভার শেষে জ্যামাইকার রান ২ উইকেটে ৭১। শেষ ১০ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২১ রান। তখনই শুরু গেইল তান্ডব। পরের ৩ ওভারে রান আসে ৭১!

জেভন সিয়ারলেসের ওভার থেকে আসে ১৯ রান, কেভন কুপারের ওভার থেকে ২২। আর বাঁহাতি স্পিনার সুলিমান বেনের ওভারে গেইলের ৪ ছক্কায় আসে ৩০ রান! ৩ ওভারের ঝড়েই লক্ষ্য চলে আসে হাতের নাগালে।

গেইলের তাণ্ডব তাতে থামেনি। পাওয়ার প্লে শেষে তার রান ছিল ১৭ বলে ১৭। সেখান থেকে ৩০ বলে ছুঁয়েছেন অর্ধশতক। পরের পঞ্চাশে লেগেছে মাত্র ১৯ বল। মিডিয়াম পেসার রন্সফোর্ড বিটনকে লং অফ দিয়ে ছক্কায় ৪৯ বলে ছুঁয়েছেন শতক।

টি-টোয়েন্টিতে এটি গেইলের ১৮তম শতক। বাকিদের চেয়ে কতটা এগিয়ে, ফুটে উঠবে একটি তথ্যেই। তালিকায় দুইয়ে থাকা ব্রেন্ডন ম্যাককালামের শতক মাত্র ৭টি!

আন্দ্রে রাসেলের সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে গেইলের জুটি ৪৪ বলে ১০৮। তাতে রাসেলের অবদান ১৮ বলে ২৪।

শেষ পর্যন্ত ১০ বল আগেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় জ্যামাইকা। ১১ ছক্কা ও ৬ চারে ৫৪ বলে অপরাজিত ১০৮ গেইল। ৬ বলে ১২ করে অপরাজিত রভম্যান পাওয়েল।

ত্রিনবাগোর সুনিল নারাইন ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান। বাকি সব বোলার হজম করেছেন বেদম পিটুনি।

এর আগে ব্যাটিংয়ে ত্রিনবাগোকে দারুণ সূচনা এনে দেন হাশিম আমলা ও ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ১৮ বলে ৩৫ করেন ম্যাককালাম, ৫২ বলে ৭৪ আমলা।

আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কলিন মানরো এদিন করেছেন ৩৯ বলে ৫৫। ত্রিনবাগো গড়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের সর্বোচ্চ পুঁজি।

কিন্তু গেইল ঝড় উঠলে যে বড় নয় কোনো লক্ষ্যই!