গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে শুক্রবার রাতে মূলত বিদেশিদের লক্ষ্য করে চালানো হামলায় ২২ জনকে গলা কেটে হত্যার ঘটনার পর ইসিবির এই ঘোষণা আসে।
আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শুরু হতে যাওয়া সফরের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে ফরেন অ্যান্ড কমনওয়েলথ অফিস (এফসিও) এবং নিজেদের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছে ইসিবি।
ইসিবি এক মুখপাত্র জানান, দলের খেলোয়াড় এবং ম্যানেজমেন্টের নিরাপত্তাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয় ইসিবি। ইংল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করা প্রতিটি দলের বিদেশ সফরের সময় তা করা হয়।
“আমরা আসছে সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন ও মূল্যায়ন করব। সফরের আগে ইংল্যান্ড দলের নিরাপত্তা পরিকল্পনার পুঙ্খানুপুঙ্খ ও ব্যাপক নিরীক্ষা করা হবে।”
গত বছর অস্ট্রেলিয়া সরকারের পরামর্শে শেষ মুহূর্তে বাংলাদেশ সফর স্থগিত করে অস্ট্রেলিয়া। এছাড়া চলতি বছরের শুরুতে বাংলাদেশে হয়ে যাওয়া অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ থেকেও নিজেদের দল প্রত্যাহার করে দেশটি।
এফসিও তাদের ভ্রমণ পরামর্শ পাতায় বলেছে, ঢাকার গুলশান এলাকার ওই ঘটনার পর আমরা সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছি এবং স্থানীয় নিরাপত্তা সংস্থার পরামর্শ মেনে চলতে বলছি। পরবর্তী নোটিশের আগ পর্যন্ত আমরা বিদেশিরা সমবেত হয় এমন জায়গা যেমন, আন্তর্জাতিক হোটেল, বড় সুপার মার্কেট, রেস্তোরাঁ ও ক্লাবে না যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।
এক মাসের বাংলাদেশ সফরে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ইংল্যান্ডের দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা রয়েছে।
২০০৮ সালে মুম্বাইয়ে হামলার পর ভারত থেকে দেশে ফিরে যায় ইংল্যান্ড দল। তবে চেন্নাই ও মোহালিতে দুটি টেস্ট খেলতে আবার ভারতে যায় তারা।