সাসেক্সে গেলে ভালোই হবে: মুস্তাফিজ

ঈদের আগে শেষ দিনের নেট সেশন; সূচিতে ছিল ৭ ওভার বোলিং। জাতীয় দলের ফিজিও বায়েজিদুল ইসলাম খানের তত্ত্বাবধানে মিরপুর একাডেমির নেটে বল করলেন মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হলেন দীর্ঘদিন পর। কথা বললেন তার ফিটনেস, ঈদের ছুটি আর ইংল্যান্ড যাত্রা নিয়ে।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 1 July 2016, 07:59 AM
Updated : 3 Oct 2016, 10:40 AM

এখন কতটা ফিট?

মুস্তাফিজুর রহমান: সব কিছু সব মিলিয়ে ভালো যাচ্ছে।

তবু শতাংশের হিসাবে যদি বলা হয়, কত ভাগ ফিট?

মুস্তাফিজ: আগের চেয়ে এখন অনেক ভালো। আসার পর (আইপিএল থেকে) শুরুতে যে অবস্থা ছিল, তার চেয়ে ভালো। আগে বোলিং করতে পারিনি, এখন বোলিং করছি। সব কিছু ভালো।

শোনা যাচ্ছে, ১৫ জুলাইয়ের ম্যাচটি থেকেই সাসেক্সে খেলবেন?

মুস্তাফিজ: এখনও জানি না। বোর্ড থেকে এখনও কিছ জানায়নি, ছুটি দেয়নি। এখনও তো কাজ চলছে (ইনজুরির পুনর্বাসন)। ফিজিও বায়েজিদ ভাই, ব্রেট (হ্যারপ, ট্রেনার) কি বলে শুনতে হবে, বিসিবি কি বলে…তারপর দেখা যাবে।

এমনিতে ইংল্যান্ডে খেলার জন্য অনেকে মুখিয়ে থাকে। আপনার সেই রোমাঞ্চ কতটা?

মুস্তাফিজ: সাসেক্সে গেলে তো ভালোই হবে। ক্রিকেটের প্রথম তো ইংল্যান্ড। ওখানে গেলে ভালো লাগারই কথা। ওখানে যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করব সেরাটা দেওয়ার।

বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তো একবার ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন ২০১৩ সালে। মনে আছে সেই অভিজ্ঞতা?

মুস্তাফিজ: অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে ইংল্যান্ডে গিয়েছিলাম। একটা ম্যাচ খেলার (ত্রিদেশীয় যুব সিরিজে পাকিস্তানের বিপক্ষে লাফবরোতে) পর ইনজুরিতে পড়লাম। চলে আসতে হয়েছে।

সামনে হয়ত বিগ ব্যাশ, সিপিএল ও অন্যান্য টি-টোয়েন্টি লিগগুলোতেও আপনাকে নিয়ে কাড়াকাড়ি পড়বে। কিভাবে সব সামলাবেন, ভেবেছেন?

মুস্তাফিজ: আমি এরকম বেশি কিছু ভাবি না। আমার যে জায়গায় সুযোগ আসে, আমি চেষ্টা করি নিজের সেরাটা দেওয়ার। বাদ বাকি ওপরওয়ালার ইচ্ছা।

আইপিএল থেকে ফেরার পর সেভাবে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হননি। একটু বলবেন সেই সময়টার কথা? প্রথম বার একা বিদেশে যাওয়া, খেলার অভিজ্ঞতা…

মুস্তাফিজ: আইপিএলে একা ছিলাম। এখানে যেমন দেশের সবাই আমরা ভাইয়ের মতোই। পার্থক্য বুঝি না। আমি দলে সবার ছোট বলে সবাই আদর করে। খুব ভালো লাগে আমার। ওখানেও সবাই যত্ন করত। প্রথম দুই-একদিন খারাপ লেগেছে একা একা। পরে দেখলাম সবাই আমার সঙ্গে কথা বলছে, হাসিখুশি। পরে ভালোই চলেছে।

বাড়ি তো আপনাকে খুব টানে। ঈদের ছুটিতে যাচ্ছেন, নিশ্চয়ই খুব ভালো লাগছে?

মুস্তাফিজ: গতবার ঈদের সময় চট্টগাম ছিলাম। খুব কষ্টে কেটেছে। এবার ঈদে বাড়িতে যাব। বাবা-মা, ভাইদের সবাইকে পাব। ভালো লাগারই কথা।

উপহার দিতে বা নিতে পছন্দ করেন?

মুস্তাফিজ: আমার নিজের কোনো পছন্দ নেই। যাদেরকে উপহার দিতে হয়, সবাইকে টাকা দিয়েছি। নিজেদের পছন্দ মত কিনে নেবে। নিজের জন্য কিছু কিনিনি।

ঈদে পরিকল্পনা আছে কিছু?

মুস্তাফিজ: বাড়িতেই থাকব। ঘোরাঘুরির পরিকল্পনা নেই।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসা যাক, আপনার জুতোর সাইজ তো বিশাল। বাংলাদেশে আপনারই সবচেয়ে বড়?

মুস্তাফিজ: আমার জুতোর সাইজ ১২। বাংলাদেশ দলে সবচেয়ে বড় জুতোর সাইজ আমারই। মাশরাফি ভাইয়ের ১১।

ক্রিকেটের যে বুটগুলো আমরা পরি, নরম্যালি পাকিস্তানি কিছু ভালো জুতো পাওয়া যায় সবসময়। আর এগুলি অর্ডার দিয়ে আনতে হয়। আমারটা স্পন্সরকে ফোন দিলে পাঠিয়ে দেয়।

আড্ডায় পাকিস্তানের মোহাম্মদ ইরফানের জুতোর কথা বলছিলেন…

মুস্তাফিজ: ইরফানের জুতো পায়ে দিয়ে দেখেছিলাম। বিশাল বড়। ওর জুতোর সাইজ ১৫। এক হাতের মত লম্বা! আমি পা ঢুকিয়ে দেখলাম অনেক বড় হয়! আমি ভেবেছিলাম আমার জুতোর সাইজই হয়ত সবচেয়ে বড়। ওরটা দেখে বুঝলাম আমারটা কত ছোট!