বোলিংয়ে কাপালি, ব্যাটিংয়ে শামসুর, গাজীর সহজ জয়

ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে জয়ের ভিত্তি গড়ে দিলেন অধিনায়ক অলক কাপালি। বাকি কাজটুকু ব্যাট হাতে সারলেন আরেক সিনিয়র ক্রিকেটার শামসুর রহমান। কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমিকে উড়িয়ে দিল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 May 2016, 11:17 AM
Updated : 14 May 2016, 12:46 PM

ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে কলাবাগান একাডেমিকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে গাজী গ্রুপ। বিকেএসপিতে কলাবাগানের ১৮৬ রান গাজী টপকে যায় ৫৮ বল বাকি রেখে। ষষ্ঠ ম্যাচে গাজীর এটি চতুর্থ জয়, কলাবাগান একাডেমি হেরেছে সব ম্যাচ।

লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে প্রথমবার ৫ উইকেট পেয়েছেন কাপালি। দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ৫ রান দূরে থমকে যেতে হয়েছে শামসুরকে।

যদিও শামসুর ৯৫ রানে মিড উইকেট দিয়ে ছক্কা মেরেছিলেন আব্দুল হালিমকে। কিন্তু ছক্কার আগে দুদলের রান ছিল সমান, আর এই বলটি হালিম করেন ফ্রন্ট ফুট নো বল। নো বলের ১ রানেই জিতে যায় গাজী। নিয়ম অনুযায়ী বিবেচনার বাইরে থাকে অপরাজিত শামসুরের ছক্কা!

কলাবাগান একাডেমির শুরুটা খারাপ ছিল না। ৪১ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন ইরফান শুক্কুর ও মায়শুকুর রহমান। তিনে নেমে ৩৩ বলে ৪৪ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান যতিন সাক্সেনা।

রান পেয়েছেন চারে নামা অধিনায়ক মাহমুদুল হাসানও (৪১)। তবে প্রথম চারজনের কেউ খেলতে পারেনি বড় ইনিংস। কাপালির লেগ স্পিনের সামনে পরেও দাঁড়াতে পারেননি কেউ।

কাপালিকে প্রথম ওভারেই চার ও ছক্কায় স্বাগত জানিয়েছিলেন সাক্সেনা। পরের ওভারে সেই সাক্সেনাকে কট বিহাইন্ড করেই শিকার শুরু করেন কাপালি। নিজের শেষ ২ ওভারে নেন ৩ উইকেট।

থিতু হওয়া দুই ব্যাটসম্যান মাহমুদুল (৪১) ও নুরুজ্জামানকে (২৫) কাপালি ফিরিয়েছেন ১ ওভারেই। কলাবাগানের লড়াই করার মতো স্কোর গড়ার সম্ভাবনার শেষ ওখানেই। পরে মোহাম্মদ আরাফাতকেও ফিরিয়েছেন কাপালি। ১০ ওভারে ৪৪ রানে ৫ উইকেট। লিস্ট ‘এ’ ম্যাচে আগের সেরা ছিল তার ২৩ রানে ৪ উইকেট।

দুইশর কম রানের পুঁজি নিয়ে চ্যালেঞ্জ করাও কঠিন। তিনটি অর্ধশতক জুটিতেই অনায়াসেই জিতে যায় গাজী গ্রুপ।

এনামুল হক ও শামসুরের উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ৫১ রান। ৩ চার ও ১ ছক্কায় ২৯ করেছেন এনামুল ৩৪ বলে।

দ্বিতীয় উইকেটে মেহেদি হাসানের সঙ্গে শামসুরের জুটি ৬৭ রানের। আর অবিচ্ছিন্ন তৃতীয় উইকেটে সাঈদ আনোয়ার জুনিয়রের সঙ্গে জুটি ৬৯ রানের।

শামসুর খেলেছেন একদমই ঠাণ্ডা মাথায়। অর্ধশতক স্পর্শ করেন ৯৬ বলে। এরপর হঠাৎই খেলতে থাকেন ঝড়ের গতিতে। দলের জয়ের জন্য যখন চাই ৪৩ রান, শামসুরের সেঞ্চুরির জন্যই চাই তখন ঠিক ৪৩।

ডানহাতি ওপেনার চেষ্টা করেছেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পেরে ওঠেননি। সাক্সেনার টানা তিন বলে মেরেছেন দুই ছক্কা ও চার, মেহেদি হাসান মিরাজকে টানা দুটি চার ও ছক্কা। ওই ৪৩ রানের ৩৮ করেছেন শামসুর। ১২০ বলে অপরাজিত থেকে যান ৯৫ রান করে।

জয় একরকম নিশ্চিত করে দেওয়া বোলিংয়ের জন্য অবশ্য ম্যাচ সেরা কাপালিই।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

কলাবাগান একাডেমি: ৪৭.৩ ওভারে ১৮৬ (শুক্কুর ২১, মায়শুকুর ২০, সাক্সেনা ৪৪, মাহমুদুল ৪১, মিরাজ ২, তাপস ১, নুরুজ্জামান ২৫, আরাফাত ৩, বিশ্বনাথ ১২*, হালিম ৪, আবু জায়েদ ৭; শরিফ ০/৩১, মেহেদি ০/১৮, সাঈদ আনোয়ার ২/২৭, কাপালি ৫/৪৪, মইনুল ১/২৭, মুস্তাফিজ ২/২৩, আশিকুজ্জামান ০/৬)।

গাজী গ্রুপ: ৪০.২ ওভারে ১৮৭/২ (এনামুল ২৯, শামসুর ৯৫*, মেহেদি ৩৯, সাঈদ আনোয়ার ১৮*; বিশ্বনাথ ০/১৭, মিরাজ ১/৩১, আবু জায়েদ ০/২৪, হালিম ০/২৮, সাক্সেনা ১/৪২, তাপস ০/১১, মাহমুদুল ০/২৮, নুরুজ্জামান ০/৪)।

ফল: গাজী গ্রুপ ৮ উইকেটে জয়ী

ম্যান অব দা ম্যাচ: অলক কাপালি