শনিবার মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেট কোচিং স্কুলের বিপক্ষে ব্রাদার্স ইউনিয়নের হয়ে ১৩৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন শাহরিয়ার।
লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের আগের ৫টি শতক ছিল বাংলাদেশের হয়ে। বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে ওয়ানডেতে করেছেন ৪টি শতক। আর ২০০৫ সালে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের হয়ে ইংল্যান্ড সফরে চেষ্টার-লি-স্ট্রিটে ডারহামের বিপক্ষে হার্মিসন-অনিয়ন্সদের বিপক্ষে ১৩৩ বলে করেছিলেন ১৪৭।
২০০৭ বিশ্বকাপের ঠিক আগে অ্যান্টিগায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বারমুডার বিপক্ষে করেছিলেন ১০৪। এই সংস্করণে এটি হয়ে ছিল শাহরিয়ারের সবশেষ শতক। অবশেষে শনিবার আবার পেলেন সেই পুরোনো স্বাদ।
পঞ্চাশের পরও এগিয়েছেন একই গতিতে। ৯০ স্পর্শ করার পর পাত্তা দেননি স্নায়ুর চাপকে। রাজিন সালেহকে মেরেছেন ছক্কা। বাঁহাতি স্পিনার শাওন গাজীকে বাউন্ডারি মেরে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন ১৩২ বলে।
এর পর অবশ্য হাত খুলেছেন। মেরেছেন আরও চারটি ছক্কা। শেষ ওভারে বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদকে টানা দুটি ছক্কা মেরে পরের বলে ধরা পড়েছেন মেহরাব হোসেনের হাতে। ১৪ চার ও ৫ ছক্কায় ১৪৭ বলে ১৩৪।
আগের ম্যাচটিতেই শাহরিয়ার অপরাজিত ছিলেন ৮৪ রানে। এবারের ঢাকা লিগ শুরু করেছিলেন ব্রাদার্সের অধিনায়ক হিসেবে। প্রথম মাচে ২৩ বলে ৪ করার পর আর পরের ম্যাচ থেকে ছিলেন না নেতৃত্বে।
টানা তিন ম্যাচে আউট হয়েছেন থিতু হয়েও, ২৬, ৩৫ ও ২৩। পরের টানা দুই ম্যাচে পেলেন বড় রান।