‘বাংলাদেশও উপহার দিতে পারে স্পিন কোয়ার্টেট’

সর্বকালের সেরা অফ স্পিনারদের একজন এরাপল্লি প্রসন্ন। ষাট-সত্তরের দশকে ৪৯ টেস্টে নিয়েছিলেন ১৮৯ উইকেট। তবে পরিসংখ্যান তাকে বোঝাতে পারবে সামান্যই। বল হাতে ছিলেন সত্যিকারের জাদুকর। ফ্লাইট-লুপ, টার্ন আর চাতুর্যে খাবি খাওয়াতেন বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানদেরও। ভালো ব্যাটিং উইকেটেও তাকে সামলাতে হিমশিম খেতো ব্যাটসম্যানরা।

আরিফুল ইসলাম রনিআরিফুল ইসলাম রনিবেঙ্গালুরু থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 March 2016, 09:31 AM
Updated : 3 Oct 2016, 10:50 AM

১৯৬২ সালে দুটি টেস্ট খেলেই ৫ বছরের বিরতি নিয়েছিলেন প্রকৌশল ডিগ্রির জন্য। পরে ফিরে প্রসন্ন হয়ে উঠেছিল টাইগার পতৌদির ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা অস্ত্র। ভগবত চন্দ্রশেখর, বিষেণ সিং বেদি ও এস ভেঙ্কটরাঘবনের সঙ্গে মিলে গড়েছিলেন কিংবদন্তির স্পিন কোয়ার্টেট। পরে সম্পৃক্ত ছিলেন কোচিংয়ে। ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশনের বিরুদ্ধে সবসময়ই তিনি সোচ্চার। বেঙ্গালুরুতেই জন্ম ও বেড়ে ওঠা এই স্পিনার একান্ত সাক্ষাৎকার দিলেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে।

মাঠে আসবেন খেলা দেখতে?

এরাপল্লি প্রসন্ন: নাহ, সময় করে উঠতে পারব না।

ভারতের ম্যাচও না?

প্রসন্ন: চেষ্টা করব, কিন্তু আমার অন্য আরও অনেক কাজ আছে। দেখা যাক!

টি-টোয়েন্টি পছন্দ করেন না?

প্রসন্ন: এটা পছন্দ-অপছন্দের ব্যাপার না। খুব পছন্দ হয়ত করি না, তবে আবার নাক উঁচুও নই। খেলার আরেকটা সংস্করণ এসেছে, ভিন্ন একটা স্বাদ পাওয়া যাচ্ছে, খারাপ কী! সবচেয়ে বড় কথা লোকে পছন্দ করছে। ঝাঁক বেধে স্টেডিয়ামে আসছে, টিভির সামনে বসে থাকছে। বাচ্চারা আরও বেশি আগ্রহী হচ্ছে ক্রিকেটে। আইপিএল তো বটেই, আমাদের এখানে কর্নাটকা প্রিমিয়ার লিগও বেশ সফল।

তবে টি-টোয়েন্টিকে কতটুকু জায়গা দেব, কিভাবে দেখব, এটা গুরুত্বপূর্ণ। টি-টোয়েন্টিকেই ক্রিকেটের সবকিছু ধরে নিলে বিপদ। এখনও পর্যন্ত যেভাবে চলছে, খারাপ কিছু দেখি না।

কিন্তু টি-টোয়েন্টি তো আপনার মতো ধ্রুপদি স্পিনারদের উঠে আসায় বাধা দিচ্ছে! ফ্লাইট-লুপের চাতুর্য, বাতাসে ব্যাটসম্যানকে ঘোল খাওয়ানো, বুদ্ধির খেলায় হারানো, এসব তো প্রায় হারিয়েই গেছে।

প্রসন্ন: এখানে আমি একমত। তবে অনেকের মতো ঢালাওভাবে বলি না। টি-টোয়েন্টিতেও কিন্তু সবচেয়ে বেশি সফল স্পিনাররাই। আপনি পরিসংখ্যান দেখুন, স্পিনারদের চেয়ে বেশি ছক্কা হজম করেছে পেসারররা। ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণেও স্পিনারদের ভূমিকা বেশি। শুরুতে বল করছে স্পিনাররা, মাঝে বল করছে, শেষে করছে।

তবে এটা ঠিক, ক্লাসিকাল স্পিনার উঠে আসছে না। আসবে কিভাবে? সবাই তো জোরে জোরে বোলিং করতে চায়! রান আটকানোই আসল কাজ হয়ে উঠেছে। এই যুগে বেশিরভাগ স্পিনারকেই আমার মিডিয়াম পেসার মনে হয়। এই জায়গাটায় ভারসাম্য সবচেয়ে জরুরি; তরুণ স্পিনাররা যাতে শুরুতেই টি-টোয়েন্টিতে মজে না ওঠে। সবাইকেই ধ্রুপদি স্পিনার হতে হবে, তা নয়। টি-টোয়েন্টির জন্য আলাদা করে স্পেশালিস্ট স্পিনারও থাকতে পারে। কিন্তু ক্লাসিকাল স্পিনার হয়ে উঠলে সব সংস্করণেই ভালো করবে।

মানে কি ধুমধাড়াক্কা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটেও ফ্লাইট-লুপের স্পিনাররা সফল হতে পারে? ধরে নেওয়া যাক, আপনি টি-টোয়েন্টি খেললে সফল হতেন?

প্রসন্ন
: ম্যান, আই ওয়াজ ব্লাডি গুড! দেখুন, দিনশেষে লড়াইটা ব্যাট-বলেরই। আমার যদি পর্যাপ্ত অস্ত্র থাকে, যদি সেই মাথা থাকে, তাহলে যত ভয়ঙ্কর ব্যাটসম্যানই হোক না কেন, আমি তাকে বশ করতে পারব। সত্যিকার অর্থে ফাঁদে ফেলতে পারলে সব ব্যাটসম্যানই চোখে অন্ধকার দেখবে। যদিও টি-টোয়েন্টিতে উইকেট ভীষণরকম নিষ্প্রাণ থাকে। তবে সত্যিকারের ভালো স্পিনাররা এর মাঝেও কোনো উপায় বের করে ফেলে।

টি-টোয়েন্টি খেললে আপনি কি রান বাঁচানোর বোলিং করতেন?

প্রসন্ন: আমি ভাবতে ভালোবাসবো যে অবশ্যই না! আমার হাতে সেই রসদ ছিল, আমি ব্যাটসম্যানকে সব সময় আক্রমণ করতাম। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যানরা যে মুডে থাকে, তাতে আরও বেশি উইকেট পেতাম।

এখানে অধিনায়কের ভূমিকা আমি দারুণ গুরুত্বপূর্ণ মনে করি। স্পিনারকে সেই স্বাধীনতাটা দিতে হবে অধিনায়কের, পাশে দাঁড়িয়ে ভরসা জোগাতে হবে।

অধিনায়কের প্রসঙ্গ যখন উঠল, স্পিনারদের জন্য তো অধিনায়ক সবসময়ই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার অধিনায়ক টাইগার পতৌদির (মনসুর আলি খান) সঙ্গে আপনার জুটি যেমন কিংবদন্তি হয়ে আছে!

প্রসন্ন: টাইগার অসাধারণ এক অধিনায়ক ছিল। আজকের প্রজন্ম শুধু লোকের মুখে শুনে বা পড়ে ধারণাও করতে পারবে না কতটা ভালো ছিল টাইগার। আমাকে বুঝত, তার চেয়েও ভালো বুঝত খেলাটা। টেকনিক্যাল জ্ঞান ছিল দুর্দান্ত। ব্যাটসম্যানকে কিছুক্ষণ দেখেই বুঝে ফেলত কিভাবে আউট করা যায়, সেভাবেই পরামর্শ দিত বোলারদের। অসাধারণ আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। কেউ রক্ষণাত্মক চিন্তাভাবনা করলে বাধ্য করত আক্রমণাত্মক ভাবতে।

নিজের বোলিংয়ে আমি নিজেই মাঠ সাজাতে পছন্দ করতাম। কিন্তু টাইগার প্রায়ই নানা আইডিয়া নিয়ে আসত। ব্যাটসম্যানকে আউট করার প্লট সে আমার চোখের সামনে স্পষ্ট করে তুলত। প্রায়ই আমার বোলিংয়ে পয়েন্ট-গালিতে ফিল্ডার রাখত না। বলত যে ব্যাটসম্যান আমাকে কাট খেলতে গেলে আউট হবে। আবার অনেক সময় কাভার-এক্সট্রা কাভারে বিশাল গ্যাপ রেখে দিত। চাইত ব্যাটসম্যান প্রলুব্ধ হোক। সব সময়ই যতজন সম্ভব ক্লোজ-ইন ফিল্ডার রাখত আমার জন্য। 

একজন স্পিনারের জন্য অধিনায়কের বিশ্বাস পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। টাইগার নিজেই সেই বিশ্বাসটা আমাকে দিয়েছিল। সে ছিল জিনিয়াস।

একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে আসি। এক সময় বাংলাদেশে কিছু কাজ করেছিলেন আপনি, মনে পড়ে?

প্রসন্ন: হ্যাঁ, বোলিং অ্যাকশন শোধরানোর কাজ করেছিলাম। মোহাম্মদ রফিকের বোলিংয়ে সমস্যা ছিল। সম্ভবত নাঈমুরের সঙ্গেও কাজ করেছিলাম। বাংলাদেশে অনেক সম্ভাবনাময় স্পিনার দেখেছিলাম। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছিল, রফিকের অ্যাকশন শুধরে দেওয়ার পর সে অনেক বেশি সাফল্য পেয়েছিল। ওর সঙ্গে কাজ করার পর আমি ফলো করতাম ওর খেলা। ভালো লাগত উইকেট পেতে দেখলে।

বাংলাদেশের এখনকার স্পিনারদের দেখেছেন?

প্রসন্ন: সাকিবের নাম অনেক শুনে কিছু দেখেছি। ভালোই বোলিং করে। আইপিএলে তো অনেক ফ্ল্যাট বোলিং করে, হয়ত করতে বাধ্য হয়। আন্তর্জাতিক ম্যাচ কিছু কিছু দেখেছি। বেশ ভালো। তবে গত কিছুদিনে মনে হয়েছে, সাকিবকে সমর্থন দেওয়ার মত আরেকজন ভালো স্পিনার দরকার বাংলাদেশের। মাঝের ওভারগুলোতে আমার মতে, দুই জন স্পিনার অবশ্যই থাকতে হবে। ভালো দুইজন স্পিনার থাকা মানে মাঝের ওভারগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উত্থানকে কিভাবে দেখছেন?

প্রসন্ন: বিশ্ব ক্রিকেটের জন্য দারুণ, উপমহাদেশের ক্রিকেটের জন্যও। ইট ওয়াজ লং ডিউ। আমি অনেক আগেই বলেছি, ভারত ছাড়া উপমহাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত বাংলাদেশে। ওখানে ক্রিকেটের সেই জায়গাটা আছে। দেরিতে হলেও ওরা বিশ্ব ক্রিকেটে একটা জায়গা পেতে শুরু করেছে, এটা দেখে ভালো লাগে। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুবই খুশি, মন থেকেই বলছি।

টাইগার পতৌদির আক্রমণাত্মক নেতৃত্বের কথা বলছিলেন। তার সঙ্গে তুলনার প্রশ্নই আসে না, তবে মাশরাফিও বেশ আক্রমণাত্মক অধিনায়ক। কেমন লেগেছে?

প্রসন্ন: টাইগারের সঙ্গে কারও তুলনা করি না। আর মাশরাফিকে ভালোই মনে হয়েছে। বেশ ইতিবাচক, খুব শার্প। মাঠে পরিস্থিতি বেশ ভালো পড়তে পারে এবং সেভাবেই সাড়া দেয়।

ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন নিয়ে আপনি সবসময়ই সোচ্চার ছিলেন, অনেক কাজও করেছেন। বাংলাদেশের দুজন বোলার নিষিদ্ধ হওয়ার খবর নিশ্চয়ই জেনেছেন?

প্রসন্ন: শুনেছি, অতটা বিস্তারিত জানি না। আসলে ইদানিং এত হচ্ছে এসব, আলাদা করে জানার আগ্রহ পাই না। আমি সব সময়ই বলেছি গোড়া থেকে শোধরানোর কথা। ন্যাশনাল ক্রিকেট একাডেমিতে কোচ থাকার সময় আমি অনূর্ধ্ব-১৫, ১৭ বছর বয়সী ছেলেদের কারও অ্যাকশন সামান্য কিছু দেখলেই সাথে সাথে শুধরে দিতাম। এভাবেই হওয়া উচিত। বাংলাদেশ শুধু নয়, সব দেশেরই উচিত একদম বয়সভিত্তিক পর্যায় থেকে এসব শোধরানো। নইলে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও নাজুক হবে।

অফ স্পিনার আর বাঁহাতি অর্থোডক্স স্পিনারদের অ্যাকশনেই বেশি সমস্যা ধরা পড়ছে!

প্রসন্ন: সেটাই তো হওয়ার কথা। লেগ স্পিনার বা চায়নাম্যান বোলারদের পক্ষে চাক করা সম্ভব না। অ্যাকশনের কারণেই সম্ভব না। অফ স্পিনারদের ক্ষেত্রে খুবই সম্ভব। এখন বেশি হচ্ছে, কারণ অফ স্পিনারদের ভূ্মিকা এখন বদলে গেছে। তাদেরকে রান আটকানোর কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। জোরে জোরে বোলিং করতে গিয়েই এত বিপত্তি।

আপনার প্রজন্মের পরে সেরা অফ স্পিনার কাকে বলবেন?

প্রসন্ন:
সাকলায়েন মুশতাক ছিল দারুণ। কিছু দিনের জন্য সেই ছিল বিশ্বসেরা। অল টাইম গ্রেট হতে পারত। কিন্তু সর্বনাশ হলো দুসরায়। বেশি বেশি দুসরা করতে চাইত। তাতে নিজের সহজাত অফ স্পিনিং লেংথটা হারিয়ে ফেলত। পরে একটু বেশি খাটো লেংথে বোলিং করত। ধার হারিয়ে গেল। ওর জন্য খারাপ লাগে। অসাধারণ স্পিনার ছিল।

মুত্তিয়া মুরালিধরন?

প্রসন্ন: ওকে আমি এই দলে ধরতেই রাজি নই। সে তো প্রথাগত অফ স্পিনার নয়! আইসিসি নিয়ম বদলে সীমা বাড়িয়ে দিল বলেই না মুরালি বোলিং করতে পারল, আরও অনেক বোলারও। আমার তাতে আপত্তি নেই, আইসিসি অনুমতি দিয়েছে, সে বোলিং করেছে। তবে আমি তাকে প্রথাগতদের দলে ধরছি না।

এই সময়ের ভারতীয় স্পিনারদের কেমন দেখেন?

প্রসন্ন: খুবই হতাশাজনক। ভারতীয় স্পিন আজ দিশাহারা। ভারতীয় স্পিনারদের খুবই বিভ্রান্তিকর মনে হয় আমার। রান আটকাবে, না উইকেট নেওয়ার জন্য বোলিং করবে, কিছুই বুঝে উঠতে পারে না। স্পিনারদের জন্য প্রয়োজন বিশাল হৃদয় অধিনায়ক। এখন সে রকম অধিনায়কও নেই।

কেন, রবিচন্দ্রন অশ্বিন?

প্রসন্ন: অশ্বিনকে নিয়ে এক সময় হতাশ হয়ে পড়েছিলঅম। রান বাঁচানোর বোলিং শুরু করেছিল। অধিনায়কদেরও দায় ছিল। গত কিছু দিনে অবশ্য পরিবর্তন দেখছি। এটা ভালো লাগছে। এভাবে ধরে রাখতে পারলে ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। তবে আমার মতে এখন এক নম্বর অফ স্পিনার নাথান লায়ন। অশ্বিনকে দুইয়ে রাখব।

অশ্বিনের বেশিরভাগ সাফল্য দেশের মাটিতে স্পিনিং উইকেটে। লায়ন অস্ট্রেলিয়াতেও দারুণ বোলিং করে উইকেট নিচ্ছে। আমি, বেদি, চন্দ্র যখন এক সঙ্গে খেলতাম, দেশের বাইরেও আমাদের সাফল্য দেশের মতোই ছিল প্রায়। এটাই হওয়া উচিত। অশ্বিন খুব ভালো করছে সন্দেহ নেই। তবে অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ড কিংবা পাকিস্তানে সাফল্য পেলে, তখন বিচার করা যাবে।

বেদি-চন্দ্রশেখরের প্রসঙ্গ যখন তুললেন, সঙ্গে ভেঙ্কটকেও জুড়ে দিচ্ছি, কিংবদন্তির স্পিন কোয়ার্টেট নিয়ে গল্প শুরু করলে তো সারা দিনেও শেষ হবার নয়। কিন্তু এই যুগে বা সামনে, ক্রিকেট কি আর কখনও স্পিন কোয়ার্টেট দেখবে?

প্রসন্ন: কেন নয়? অবশ্যই সম্ভব। প্রয়োজন শুধু মানসিকতার বদল। স্পিনারদেরও আক্রমণাত্মক অপশন হিসেবে দেখতে হবে। ফাস্ট বোলাররা যেমন প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিতে পারে, আক্রমণাত্মক স্পিনারও পারে গুঁড়িয়ে দিতে। কিন্তু সেভাবে ভাবতে হবে, স্পিনারদের প্রমোট করতে হবে। আমার তো মনে হয়, বাংলাদেশও পারে স্পিন কোয়ার্টেট উপহার দিতে।

বাংলাদেশ দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেট ভক্তদের জন্য কোনো বার্তা?

প্রসন্ন: দলকে বলব, ক্রিকেট উপভোগ করতে। জয়-হার আসবেই, কিন্তু উপভোগ করাটাই আসল। ভক্তদের বলব দলের পাশে থাকতে। ক্রিকেট দারুণ আনন্দময় একটি খেলা, সেটির সত্যিকার স্বাদ নিতে।