ধারণা করা হয়েছিল, ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামের উইকেটে বাউন্স আছে, অনেক রান হবে।ভুল ভাঙতে মোটেও সময় লাগেনি টস হেরে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের। তামিম জানান, কয়েক ওভারের মধ্যেই তারা বুঝতে পারেন যেমনটা বলা হয়েছিল উইকেট তেমনটা নয়।
“আমরা যখন এখানে এসেছি, তখন আমাদের বলা হয়েছিল যে, এখানে উইকেট খুব সুন্দর হবে। আমি আর সৌম্য যখন ব্যাটিং করলাম দুই-তিন ওভারের মধ্যে বুঝতে পেরেছিলাম উইকেট ততটা সহজ না।”
একটু মন্থর আর দুই গতির উইকেটে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেওয়ার দায়িত্ব নিয়েছিলেন তামিম।
“ওই সময়ে চিন্তা ছিল যে, দুজনের মধ্যে একজন যদি সেট হয়ে যাই তাহলে বড় ইনিংস খেলতে হবে। আমাদের যে দলের পরিকল্পনা তাতে টপ অর্ডারের যে কোনো একজন যদি বড় ইনিংস খেলে তাহলে কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়।”
একবার জীবন পেয়েও সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি সৌম্য। অন্য প্রান্তে দ্রুত ফিরে যান ছন্দে থাকা সাব্বির রহমান, মাহমুদউল্লাহ। রানে ফেরার লড়াইয়ে থাকা সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম আবার ব্যর্থ। নাসির হোসেন-মাশরাফি বিন মুর্তজাও পারেননি সেভাবে সঙ্গ দিতে। তাই কোনো ভাবেই নিজে আউট হয়ে দলকে চাপে ফেলতে চাননি তামিম।
“আমার পরিকল্পনা ছিল উইকেটে টিকে থাকা। কারণ, উইকেট আমি ভালো বুঝছিলাম অন্যদের থেকে। আমি আউট হয়ে গেলে দলের ওপর চাপ অনেক বেড়ে যেত। তাই আমি থেকে দলকে দেড়শ’ রান পর্যন্ত নিয়ে যেতে চেয়েছিলাম।