বুধবার ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৩ রানের চমৎকার এক ইনিংস খেলেন তামিম। তার দৃঢ়তায় ৭ উইকেটে ১৫৩ রান করা বাংলাদেশ জেতে ৮ রানে।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তামিম জানান, শতকের ভাবনা তার মাথাতে আসেইনি।
“আমি দলের ১৫০ রানের কথা চিন্তা করছিলাম। যদি এটা করতে পারি তাহলে আমাদের সুযোগ থাকবে। কারণ আমাদের স্পিনারদের বল খেলা কঠিন হবে ওদের জন্যে।”
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস তামিমেরই। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অপরাজিত ৮৮ রান করে সেই রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেই রেকর্ড ভাঙার খুব ভালো সুযোগ ছিল তার সামনে। কিন্তু শেষ ওভারে শেষ চার বলে স্ট্রাইক না পাওয়ায় সে চেষ্টা আর করতে পারেননি তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড সাকিব আল হাসানের অধিকারে। ২০১২ আসরে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৪ রান করেছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার। ১ রানের জন্য সাকিবের পেছনে থাকলেন তামিম।
রেকর্ড মাথায় না নিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মতো পুরো ২০ ওভার ক্রিজে থেকে দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেন তামিম। পঞ্চদশ ওভারে তিন বলের মধ্যে দুই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম ফিরে না গেলে হয়তো তিন অঙ্কের কথা ভাবতেন তামিম।
“দুই উইকেট চলে যাওয়ার পর (দেড়শ’ রানের লক্ষ্যে পৌছানো) একটু কঠিন মনে হচ্ছিল। তার আগের ওভারে আমি রিদমে আসছিলাম। দুটি বাউন্ডারি মেরেছিলাম। ওই সময়ে আমার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে আমাকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।”