প্রতি বছরের মতোই বিজয় দিবসে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে ক্রিকেটাঙ্গনের দুই শহীদকে।
Published : 17 Dec 2015, 12:57 AM
গত বছরের মতো এবারও বিজয় দিবস ক্রিকেট পরিণত হয়েছিল সাবেক ক্রিকেটারদের মিলন মেলায়। মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে শহীদ মুশতাক একাদশকে ৭ উইকেটে হারিয়েছে শহীদ জুয়েল একাদশ।
মুক্তিযুদ্ধ-পূর্ব বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন ছিলেন আবদুল হালিম চৌধুরী (জুয়েল)। ছিলেন দারুণ মারকুটে ব্যাটসম্যান। দেশের ডাকে মুক্তিযুদ্ধে ব্যাট ফেলে হাতে তুলে নিয়েছিলেন রাইফেল। গেরিলা ট্রেনিং নিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বিখ্যাত ক্র্যাক প্লাটুনের অন্যতম সদস্য। ২২ গজে ব্যাট হাতে বোলারদের ত্রাস, যুদ্ধের ময়দানে অস্ত্র হাতে হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানি বাহিনীর ত্রাস। পরে শহীদ হয়েছিলেন বন্দি অবস্থায়।
আর ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে শহীদ হয়েছিলেন ক্রীড়া সংগঠক মুশতাক আহমেদ। এই দুই শহীদের প্রতি সম্মান জানাতে প্রতি বছরই ১৬ ডিসেম্বর আয়োজন করা হয় বিজয় দিবস ক্রিকেট, যেখানে মুখোমুখি হয় শহীদ জুয়েল ও শহীদ মুশতাক একাদশ।
এই ম্যাচে মাঠের ক্রিকেট মুখ্য ছিল না কখনোই। শহীদ-স্মরণই ছিল মূল লক্ষ্য। গত বছর থেকে সেটি পেয়েছে নতুন এক মাত্রা। বছরের পর বছর বর্তমান ক্রিকেটারদেরই খেলার রীতি ছিল এই ম্যাচে। গত বছর থেকে পরিসর বদলে মাঠে নামছেন সাবেক ক্রিকেটাররা।
মাঠের ক্রিকেটে শহীদ মুশতাক একাদশ ২০ ওভারে তুলেছিল ৭ উইকেটে ১২০ রান। শহীদ জুয়েল একাদশ ৩ উইকেট হারিয়ে জিতে যায় ১৮.৫ ওভারে। ৪৭ বলে ৬৬ রান করে অপরাজিত ছিলেন সাবেক জাতীয় অধিনায়ক, এখনকার জাতীয় নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু। মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন তার বাবা শামসুল আবেদিন।
বরাবরের মতোই মাঠে থেকে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণ করেছেন শহীদ জুয়েলের বোন সুরাইয়া খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
শহীদ মুশতাক একাদশ: ২০ ওভারে ১৩১/৭ (ফারুক আহমেদ ০, নাইমুর রহমান ২১, এহসানুল হক ৩১, সানোয়ার হোসেন ১৪, হাসানুজ্জামান ১, খালেদ মাহমুদ ৬, নিয়ামুর রশিদ ১, রফিকুল ইসলাম ১৪*, এনামুল হক ২১*; আলমগির কবির ১/২৭, শফিউদ্দিন আহমেদ ১/১০, মোহাম্মদ রফিক ০/২১, মাহমুদুল হাসান (বিকাশ রঞ্জণ) ১/৩০, সাইফুল্লাহ খান ৪/১৬, আতহার আলি খান ০/২২)।
শহীদ জুয়েল একাদশ: ১৮.৫ ওভারে ১৩২/৩ (আতহার ১, হাবিবুল বাশার ১৯, মিনহাজুল আবেদিন ৬৬*, আকরাম খান ১৬, জাভেম ওমর বেলিম ২২*; হাসিবুল হোসেন ০/১৮, নিয়ামুর ১/১৪, সাইফুল ইসলাম ১/১৭, আনোয়ার হোসেন ০/২৭, মাহমুদ ১/১২, নাইমুর ০/২৮, সানোয়ার ০/১৫)।