হায়দারের উজ্জ্বল ভবিষ্যত দেখছেন মাশরাফি-সাকিব

এবারের বিপিএলে আবু হায়দার রনির বোলিংয়ে মুগ্ধ মাশরাফি বিন মুর্তজা ও সাকিব আল হাসান। তবে দুজনই সতর্ক তরুণ বাঁহাতি পেসারকে নিয়ে অতি উচ্ছ্বাস নিয়ে।

ক্রীড়া প্রতিবেদকবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 Dec 2015, 02:22 PM
Updated : 12 Dec 2015, 03:32 PM

বিপিএলের তৃতীয় আসরে শনিবার পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি আবু হায়দার। ১৯ বছর বয়সী পেসার ১১ ম্যাচে নিয়েছেন ২১ উইকেট। নজর কেড়েছেন গতিময়, আগ্রাসী বোলিংয়ে। দারুণ সব ইয়র্কার ও সুইংয়ে রেখেছেন নিজের সামর্থ্যের ছাপ। নিজের সেরাটা জমা রেখেছিলেন যেন প্রথম কোয়ালিফায়ারের জন্য। ১৯ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট।

টুর্নামেন্ট জুড়ে সংবাদ সম্মেলনে বেশ কবারই আবু হায়দারকে নিয়ে কথা বলেছেন মাশরাফিকে। কোয়ালিফায়ারের পারফরম্যান্সের পর আবারও নিজের মুগ্ধতার কথা জানালেন কুমিল্লা অধিনায়ক।

“আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্য টুর্নামেন্টগুলোর চেয়ে বিপিএলে একটু বেশি চাপ থাকে। তারপরও যেভাবে বোলিং করেছে, আমার মনে হয় খুবই সম্ভাবনাময় ও। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যত বলা যায় ওকে।”

শনিবারের প্রতিপক্ষ রংপুরের অধিনায়ক ও বাংলাদেশ ওয়ানডে দলে মাশরাফির ডেপুটি সাকিবের কণ্ঠেও শোনা গেল একই কথা।

“এই টুর্নামেন্টে ও যেভাবে নিজেকে প্রমাণ করছে, অবশ্যই সে এমন একজন যাকে নিয়ে আমরা ভবিষ্যত চিন্তা করতে পারি। বিশেষ করে বাংলাদেশ দলের জন্যে। যেভাবে ও কঠিন পরিস্থিতে বোলিং করেছে…খুবই ভালো।”

সাকিবের মতে, আরও অনেক তরুণের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারেন আবু হায়দার।

“যেভাবে ও নিজেকে দেখাতে পেরেছে, সেটা তরুণ বোলার কিংবা ব্যাটসম্যানদের অনুপ্রাণিত করবে। যাকে আমরা এত বেশি চিনতাম না আগে, সে এভাবে এসে পারফর্ম করতে পেরেছে। এটা অন্যদের অনুপ্রাণিত করছে।”

তবে এখনই আবার উচ্ছ্বাসে ভেসে যেতে নারাজ সাকিব।

“মাত্রই শুরু হলো ওর। আমি আসলে এক-দেড় বছর কাউকে দেখার আগে মন্তব্য করতে চাই না।”

সতর্কতাটা আরেকট খোলাসা করে বললেন মাশরাফি।

“ক্লাব বা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট আর আন্তজাতিক ক্রিকেটের পার্থক্য অনেক। অনেক সময় এসেই পারফর্ম করা সহজ, অনেক সময় কঠিন। ভবিষ্যতেই বোঝা যাবে। তবে এই মুহূর্তে বাংলাদেশ দলের কথা চিন্তা করলে ওকে ‘গ্রেট ফিউচার’ বলা যায়।”