বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে বৃহস্পতিবার পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনাল খেলা দেখার সময় আইসিআরসি বাংলাদেশের কমিউনিকেশন ডেলিগেট মাইকেল কিফলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, প্রথম আসরে অভাবনীয় সাড়া পেয়েছেন তারা।
“আমরা খুব ভালো সাড়া পেয়েছি। গণমাধ্যম গুরুত্ব দিয়ে টুর্নামেন্ট কাভার করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। আমরা এই টুর্নামেন্ট অব্যাহত রাখবো।”
মাইকেল কিফলে জানান, তাদের লক্ষ্য অনেকটাই পূরণ হয়েছে। শারীরিক প্রতিবন্ধী ক্রিকেটাররা অনেক বেশি আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছে। তারা যে কারোর মতোই সক্ষম, তার প্রমাণ দিয়েছেন।
“ক্রিকেটের মতো একটি কঠিন আর জনপ্রিয় খেলাও শারীরিক প্রতিবন্ধীরা খেলেছেন। সামাজিক অ্যাওয়ারনেস বাড়ানোর যে লক্ষ্য আমাদের ছিল আমার মনে হয় তা অনেকটাই পূরণ হয়েছে।”
এবারের আসরে পাঁচটি দেশ থেকে পাঁচটি দল খেলেছে। স্বাগতিক বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তানের একটি করে দল টুর্নামেন্টে অংশ নেয়। মাইকেল কিফলে জানান, ২০১৬ সালের আসরে আরও বেশি দল অংশ নিতে পারে।
“এটা একটা বহুজাতিক টুর্নামেন্ট। আশা করছি, আগামী বছরগুলোতে আরও অনেকগুলো দল অংশ নেবে। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, আগামী আসরে ওরা অংশ নেবে। তবে আমি আরও বেশি দল আশা করছি।”
আন্তর্জাতিক রেডক্রসের সঙ্গে এ টুর্নামেন্ট আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) ও বিসিবি।
দেশের প্রথম অনলাইন সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এই টুর্নামেন্টের মিডিয়া পার্টনার।