- গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স ছিল যাচ্ছেতাই। এই সংস্করণে পারফরম্যান্সের গ্রাফে উন্নতির ছাপ নেই বিশ্বকাপের পরও। তবে সেখানে নেতৃত্বের কোনো দায় দেখেন না বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। বরং টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর নেতৃত্বে মুগ্ধতার কথাই জানালেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থার প্রধান।
- বড্ড দেরিতে যেন ঘুম ভাঙল মোহামেডান ক্রীড়া চক্রের। সব হারিয়ে টানা জয় দিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ শেষ করল ঐতিহ্যবাহী দলটি। ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি করলেন কুসল মেন্ডিস, ঝড় তুললেন মাহমুদউল্লাহ, দারুণ বোলিংয়ে পাঁচ উইকেট নিলেন নাজমুল ইসলাম অপু। তাদের নৈপুণ্যে লেজেন্ডস অব রূপগঞ্জকে হারিয়েও ভীষণ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ল মোহামেডান।
- ব্যাট হাতে সময়টা ভালো যাচ্ছে না মাহমুদউল্লাহর। লম্বা সময়ে ধরেই আসছে না তার বড় ইনিংস। তাই ওয়ানডে দলে তার জায়গা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ছন্দে থাকা আফিফ হোসেনকে এত নিচে না খেলিয়ে মাহমুদউল্লাহর জায়গায় ছয়ে খেলানো যায় কি না এ নিয়েও বেশ চর্চা হচ্ছে। তবে তামিম ইকবাল উড়িয়ে দিয়েছেন এই আলোচনা। তিনি বলেছেন, এখনও দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য মাহমুদউল্লাহ, সাতেই ঠিক আছেন আফিফ।
- শুরুতে বাংলাদেশের লক্ষ্য ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ রানের মাঝে একটি সংগ্রহ গড়ার। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সুযোগ এসেছিল সেটি ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহর বিদায়ে দুবার মোমেন্টাম হাতছাড়া হওয়ায় সেটি সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন লিটন দাস।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর পাকিস্তান সিরিজেও ব্যাট হাতে ব্যর্থতায় জায়গা হারিয়েছিলেন দলে। তবে মুশফিকুর রহিমের চোট শঙ্কায় সতর্কতার অংশ হিসেবে ফের দলে ডাক পেলেন নুরুল হাসান সোহান।
- টি-টোয়েন্টিতে পা রাখার পর পেরিয়ে গেছে ১৬টি বছর। শুরুতে খুব বেশি খেলার সুযোগ না মিললেও পরে বেড়েছে ম্যাচ সংখ্যা। সবশেষ বিশ্বকাপ ও এর আগে-পরে মিলিয়ে যেমন গত কয়েক মাসে বাংলাদেশ খেলেছে ২১টি ম্যাচ। তবুও তাদের কাছে এই সংস্করণ যেন বড্ড অচেনা। মাঠে নামলেই হারিয়ে যায় সুর, মেলে না তাল-লয়। সাফল্যের গানও তাই বাজে না। সব হতাশা এবার ঝেরে ফেলতে মরিয়া বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ এবং তা আফগানিস্তানের বিপক্ষে লড়াই দিয়েই।
- টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে ব্যাটিং সামর্থ্য দেখাতে পারে না বাংলাদেশ, নিতে পারে না কেবল দুইজন ফিল্ডার ৩০ গজের বাইরে থাকার সুবিধা-এই সংস্করণে দলটির অনেক ব্যর্থতার বড় কারণ এটিই। মাঝেমধ্যে উল্টো ধুঁকতেও দেখা যায় ব্যাটসম্যানদের। ‘পাওয়ারহীন’ এমন অসংখ্য পাওয়ার প্লের পরও আশা হারাচ্ছেন না মাহমুদউল্লাহ। শুরুতে দ্রুত রান তোলার সামর্থ্য তার দলের আছে বলেই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক।
- বাংলাদেশ অনুশীলন শেষে মাহমুদউল্লাহ যখন সংবাদ সম্মেলনে এলেন, তখনও উইকেটের ঘাস ছাঁটছেন মাঠকর্মীরা। তবে অধিনায়ক নিশ্চিত করে দিলেন, কিছু শেষ পর্যন্ত ঘাস থাকবেই। বিকালে আফগানিস্তান দল যখন অনুশীলনে এলো, দেখা গেল সত্যিই মিরপুরের চেনা ন্যাড়া উইকেট এটি নয়, সবুজের ছোঁয়া আছে বেশ।
- ম্যাচের আগের দিন নেট সেশন দেখে একাদশের একটা আভাস অনেক সময় পাওয়া যায়। মিরপুরে বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের অনুশীলনে মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও মুনিম শাহরিয়ার নেটে এলেন সবার আগে। দুজনই ব্যাট করলেন লম্বা সময় ধরে। যদিও প্রথমবার দলে এলেন, সহজাত আক্রমণাত্মক ব্যাটসম্যান মুনিমের খেলে একাদশে জায়গা পাওয়া অস্বাভাবিক হবে না। কিন্তু নাঈমের যা পারফরম্যান্স, তাতে প্রশ্ন রয়ে যায় অনেক। তার হয়ে যেন ব্যাট করলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, পথেই আছে নাঈম।
- একপাশে ক্রিস গেইল ছিলেন যেন স্রেফ দর্শক, আরেক প্রান্তে ২৩ বছর বয়সী এক ওপেনারের ব্যাটে ঝড়। বিপিএলে এবার এমন দৃশ্যই দেখা গেছে ফরচুন বরিশালের ম্যাচে। বিপিএল ও এর আগে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ মাতানো সেই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ারের সামনে আন্তর্জাতিক অভিষেকের হাতছানি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে তার খেলার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
- তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ৭৯ বলে বাউন্ডারি স্রেফ একটি, স্ট্রাইক রেট কেবল ৫৪.৪৩। মাহমুদউল্লাহর নামের পাশে যা বড্ড বেমানান। ব্যাটিংয়ে যেমন বিবর্ণ, ফিল্ডিংয়েও ছিলেন অনুজ্জ্বল। দৃষ্টিকটুভাবে ছেড়েছেন দুটি ক্যাচ। সময়টা ভালো কাটছে না তার। সেটি হয়তো প্রভাব ফেলল মেজাজেও। ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলায় একটু যেন চটেই গেলে অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
- উইকেট থেকে সরানো হলো কাভার। শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে কিছুক্ষণ নক করার পর দৌড়ে গা গরম করছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মাঠে ছিলেন দুই দলের আরও অনেকেই। আশা জেগেছিল দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ মাঠে গড়ানোর। কিন্তু বৃষ্টি পণ্ড করে দিল সব আয়োজন। বৃষ্টির লুকোচুরিতে শেষ পর্যন্ত ভেসে গেল মিনিস্টার ঢাকা ও কুমিল্লা ভিক্টোয়ান্সের ম্যাচও।
- ২২ গজে স্থিরতা, ড্রেসিং রুমের নির্ভরতা। এবারের বিপিএলে তামিম ইকবালকে এভাবেই দেখছেন মিনিস্টার ঢাকা অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তবে তিনি তো শুধু বিপিএল দলের নন, জাতীয় দলেরও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এমন ফর্মে থাকা একজনকে জাতীয় দলে না পাওয়ার ব্যাপারটিও তার ভাবনায় নাড়া দেওয়ার কথা। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য বললেন, তামিমের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তকে তিনি সম্মান করেন।
- আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান তামিম ইকবাল আবার পেলেন ভালো শুরু। বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও গড়ে দিলেন ভিত। সেটা কাজে লাগিয়ে ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ এনে দিলেন মাহমুদউল্লাহ। পরে বোলিংয়ে বাকিটা সারলেন আন্দ্রে রাসেল, কাইস আহমেদরা। সবার মিলিত চেষ্টায় বড় ব্যবধানে হারিয়ে বিপিএলে কুমিল্লার জয়রথ থামাল ঢাকা।
- ব্যাটে রান ছিল, কার্যকর ইনিংসও এসেছে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে যেমন ইনিংস প্রত্যাশিত, এবারের বিপিএলে তেমন ইনিংস দেখা যাচ্ছিল না। বারবার ফিরছিলেন কাজ অসমাপ্ত রেখে। অবশেষে পাওয়া গেল সেই মাহমুদউল্লাহকে, যিনি দলের হাল ধরেন, ইনিংস গড়েন এবং কাজ শেষ করে ফেরেন!
- ১০ রানের মধ্যে প্রতিপক্ষের ৪ উইকেট তুলে নিয়েও ম্যাচ হেরে যাওয়া মেনে নিতে কষ্ট হচ্ছে সাকিব আল হাসানের। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক দায় দিলেন নিজেদের বোলিংকে। প্রতিপক্ষকে কৃতিত্ব দিতেও অবশ্য কার্পণ্য নেই তার। মাহমুদউল্লাহ, শুভাগত হোম ও আন্দ্রে রাসেলের প্রাপ্য প্রশংসাও করলেন সাকিব।
- তিন ওভারেই নেই চার উইকেট! মাঝারি লক্ষ্যও খুব কঠিন হয়ে গেল এমন শুরুর পর। কিন্তু টপ অর্ডার বিধ্বস্ত হলেও মাথা নোয়ালেন না মাহমুদউল্লাহ ও শুভাগত হোম। দারুণ জুটিতে দুজন উদ্ধা করলেন দলকে। চেনা ঝড়ো ব্যাটিংয়ে আন্দ্রে রাসেল শেষ করলেন কাজ। ফরচুন বরিশালকে প্রথম হারের স্বাদ দিয়ে মিনিস্টার ঢাকা পেল প্রথম জয়ের দেখা।
- রানের খেলা বলে পরিচিত টি-টোয়েন্টি বরাবরই তার স্বাভাবিক গতি হারায় মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। এবারও বিপিএল শুরুর আগে নানা শঙ্কার ওড়াউড়ি উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ নিয়ে। ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ধারণা, উইকেট এবার ভালো হবে। মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য ভালো উইকেট না পাওয়ার মানসিক প্রস্ততি নিয়ে রেখেছেন।
- একই দলে মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা, প্লেয়ার্স ড্রাফটের পর কত হইচই। তবে মাঠের ক্রিকেটে এই ত্রয়ীকে এখনই একসঙ্গে দেখা যাচ্ছে না। চোটের কারণে বিপিএলের শুরুর ম্যাচগুলিতে খেলতে পারবেন না মাশরাফি। তিনজনের সম্পর্কের রসায়ন তো আছেই, তবে মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর বেশি আক্ষেপ বোলার মাশরাফিকে হারিয়ে।
- বাংলাদেশের সফলতম ওয়ানডে অধিনায়ক ও বিপিএলের সফলতম অধিনায়ক এই দলে। আছেন এখনকার ওয়ানডে অধিনায়কও। দলে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আছেন আরও কজন। তবে শেষ পর্যন্ত মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল বা অন্য কেউ নন, বিপিএলে মিনিস্টার ঢাকার নেতৃত্ব পেলেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- শুরুতে বিপর্যয়ে পড়া দলকে পথে রাখতে দারুণ এক ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ। মার্শাল আইয়ুবের সঙ্গে তার শতরানের জুটিতে কোনোরকম লড়াইয়ের পুঁজি পেল বিসিবি উত্তরাঞ্চল। পরে বল হাতেও আলো ছড়ালেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। কিন্তু রান তাড়ায় ইমরুল কায়েসের দুর্দান্ত ইনিংসে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ল ইসলামী ব্যাংক পূর্বাঞ্চল।
- একজন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক, আরেকজন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক। তৃতীয়জন এখন জাতীয় দল থেকে যোজন যোজন দূরে। তবে ‘অধিনায়ক’ শব্দটি বললে দেশের ক্রিকেটে সবার আগে চোখে ভাসে তার ছবি। অধিনায়কত্ব দিয়েই নিজেকে তিনি নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়। মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজা, দেশের ক্রিকেটের তিন মহারথী এবার বিপিএলে একই দলে। এখন কৌতূহল, দলের নেতৃত্ব দেবেন কে!
- গুঞ্জনের সূত্রপাত মাস তিনেক আগে। সময়ের সঙ্গে তা ডালাপালা ছড়ায় নানাদিকে। বিপিএল ড্রাফট শেষে সেই ডালপালাগুলি ছেটে দেওয়ার চেষ্টা করলেন তামিম ইকবাল। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে একই দলে জায়গা পাওয়ার পর বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক বললেন, টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের সঙ্গে তার সম্পর্ক শীতল নয়। একই সুর মাহমুদউল্লাহর কণ্ঠেও।
- ড্রাফটের আগেই দেশের ৬ ক্রিকেটার ও বিদেশি অনেককে নিশ্চিত করে ফেলেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি। ড্রাফটে তারা আরও গুছিয়ে নিয়েছে দল। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তামিম ইকবাল ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে চমক দিয়েছে ঢাকা। ড্রাফটের আগেই কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স দলে নেয় বিদেশি তিন বড় ক্রিকেটারকে। সাকিব আল হাসান ও ক্রিস গেইলকে ড্রাফটের আগেই নেওয়া ফরচুন বরিশাল দল আরও সমৃদ্ধ করেছে ড্রাফটে।
- আলো ঝলমলে কিছু সংখ্যা। কিন্তু সেই আলোর গভীরে আঁধার। রেকর্ড ফুটিয়ে তুলছে উজ্জ্বল কিছু পরিসংখ্যান। কিন্তু সেসবের আড়ালে কেবলই অমানিশা। ২০২১ সালে হাতছানি ছিল অনেক অর্জন ও প্রাপ্তির, প্রতি বছরের মতোই সুযোগ ছিল সামনে এগিয়ে চলার। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট এ বছর ছিল উল্টো রথের যাত্রী।
- গত ১১ জুলাই, হারারে টেস্টের শেষ দিনে মাঠে নামার সময় সতীর্থদের কাছ থেকে ‘গার্ড অব অনার’ পান মাহমুদউল্লাহ। টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার কথা তিনি ড্রেসিং রুমে সতীর্থদের জানান বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। টিভি ধারাভাষ্যকাররাও পরে জানিয়ে দেন অবসরের কথা। কিন্তু এরপর এটি নিয়ে চলতে থাকে নানা লুকোচুরি, ছড়াতে থাকে ধোঁয়াশা। অবশেষে সেই টেস্ট শেষ হওয়ার চার মাসের বেশি সময় পর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হলো টেস্ট থেকে তার অবসর।
- পাকিস্তানের বিপক্ষে দলের বাজে পারফরম্যান্সের সিরিজে ব্যাট হাতে কিছুটা অবদান রাখার পুরস্কার পেয়েছেন আফিফ হোসেন। আইসিসি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি হয়েছে বাংলাদেশের এই ক্রিকেটারের। পিছিয়েছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ ও অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- সিরিজ শুরুর আগের দিন থেকে শুরু করে শেষ দিন পর্যন্ত মাহমুদউল্লাহ বেশ কবার নানা প্রশ্নে বলেছেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট জানে’, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট বলতে পারবে।’ অধিনায়ক হিসেবে যদিও তিনি নিজেও টিম ম্যানেজমেন্টের অংশ হওয়ার কথা। তবু তার কথায় ধরে নেওয়া যায়, এই সিরিজে তিনি তা ছিলেন না। তাহলে যারা ছিলেন, তাদের ভূমিকা কি? নতুন পথচলার শুরুতেও কেন বারবার বেজে উঠেছে পুরনো বেতালা সুর!
- সিরিজ হারার পর একটি জয় পাওয়া আদতে কোনো সান্ত্বনা হয়তো নয়। তবে ভবিষ্যতের জন্য আত্মবিশ্বাসের রসদ হতে পারত। ড্রেসিংরুমের আবহ বদলে দিতে পারত। প্রায় ধরা দিয়েও শেষ পর্যন্ত হারিয়ে গেল সেই জয়। ম্যাচের পর মাহমুদউল্লাহ জানালেন হতাশা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, অনেক চেষ্টাতেও কাজ হচ্ছে না।
- শেষ বলের বাউন্ডারিতে ফয়সালা হলো ম্যাচের। তবে ঠিক আগের বলেই ‘ডেড বল’ না হলে ম্যাচ শেষ হতে পারত সেখানেই এবং জয়ী দলের নামও বদলে যেত। ৫ উইকেটে হারার বদলে ১ রানে জিতত বাংলাদেশ। নাটকীয়তার নানা ধাপের পর জিতেছে পাকিস্তানই। তবে ম্যাচের পর ‘ডেড বল’ নিয়ে বিতর্ক আর টেনে নিতে চাইলেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ১৯ রান, হাতে ৮ উইকেট। একটি ওভার আবার করবেন অনিয়মিত কোনো বোলার। ম্যাচ তাই তখন অনেকটাই পাকিস্তানের মুঠোয়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ যেভাবে ম্যাচ জমিয়ে তুলেছিল, তাতে মুগ্ধ পাকিস্তান কোচ সাকলায়েন মুশতাক।
- বোলিং হাতে চোট। মাঠের বাইরেই থাকতে পারতেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু দলের প্রয়োজন বুঝে ডান হাতে টেপ পেঁচিয়ে মাঠে ফিরলেন এই পেসার। করলেন আরও দুটি ওভার। চোট পাওয়ার পরও তার খেলা চালিয়ে যাওয়া ছুঁয়ে গেছে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে।
- নিস্তরঙ্গ ম্যাচ হঠাৎই জমজমাট শেষ দিকে। ক্রিকেট তার সমস্ত উত্তেজনা, অনিশ্চয়তা আর নাটকীয়তা নিয়ে হাজির হলো ম্যাচের শেষ ওভারে। তিনটি উইকেট, ৯০ মিটার লম্বা ছক্কা, কালক্ষেপণের পাল্টাপাল্টিতে তুমুল জমে উঠল লড়াই। কিন্তু সব রোমাঞ্চের শেষে বাংলাদেশের প্রাপ্তি আবারও হতাশা। শেষ বলে দুই রানের সমীকরণে বাউন্ডারি মেরে পাকিস্তানকে জিতিয়ে দিলেন মোহাম্মদ নওয়াজ।
- ছোট্ট পুঁজি নিয়ে লড়াই জমানোই কঠিন। সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারলে তবু পাকিস্তানকে বেগ দেওয়া যেত কিছু। কিন্তু সেসবও পারেনি বাংলাদেশ। হাত থেকে পড়ে যায় সহজ দুটি ক্যাচ। ম্যাচ শেষে সেসবের কোনো ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- পিচ ব্যাটিংয়ের জন্য খারাপ নয়। উইকেট হাতে ছিল যথেষ্ট। আগের ম্যাচের আত্মবিশ্বাসও ছিল সঙ্গী। সব মিলিয়ে ঝড় তোলার মঞ্চ ছিল প্রস্তুত। উল্টো ওই সময়টায়ই বাংলাদেশ গেল মিইয়ে! ভালো স্কোর গড়ার সম্ভাবনাও গেল মিলিয়ে। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও বললেন, ম্যাচ থেকে বাংলাদেশ পিছিয়ে যায় ওই সময়টায়।
- পাকিস্তানের বিপক্ষে হারা প্রথম ম্যাচে আরেকটি হতাশাও সঙ্গী হয়েছে বাংলাদেশের। মন্থর ওভার রেটের কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহদের।
- সাইফ হাসানকে নিয়ে সাদা পোশাকের শঙ্কা এখন সংক্রমিত রঙিনেও। তার টেকনিক কি টিকে থাকার মতো? মাহমুদউল্লাহ যদিও সাইফের টেকনিক ভালো বলেই মনে করেন। এই ওপেনার ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বলেই আশা বাংলাদেশ অধিনায়কের।
- পাওয়ার প্লের বাজে ব্যাটিংয়ের মতো ভোগাচ্ছে শেষের বোলিংও। শেষে গিয়ে লাইন, লেংথ কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছেন না বাংলাদেশের বোলাররা। এর মাশুল দিতে হচ্ছে ম্যাচ হেরে। ডেথের বোলিং নিশ্চিতভাবেই দুর্ভাবনার ব্যাপার। তবুও বোলারদের সামনে ঢাল হয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করলেন মাহমুদউল্লাহ। পাকিস্তানের বিপক্ষে আশা জাগিয়েও হেরে যাওয়ার পর বললেন, শেষের দিকে এমন বোলিং কখনও কখনও হতেই পারে।
- দলে ফেরার ম্যাচে বোলিং পেলেন আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। তবে তার জন্য সেটি সম্ভবত হয়ে দাঁড়াল নির্মম এক রসিকতা। পাকিস্তানের তখন প্রয়োজন যে ১ ওভারে মোটে ২ রান! তিনি একাদশে ছিলেন বিশেষজ্ঞ স্পিনার হিসেবে। এই মুহূর্তে জাতীয় দলে ও আশেপাশে থাকা একমাত্র লেগ স্পিনার তিনি। তবুও তাকে আরও আগে বোলিংয়ে আনা যায়নি। কারণ, দুজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যে ক্রিজে ছিলেন!
- কণ্ঠের সেই তেজ নেই। কথায় নেই আত্মবিশ্বাসের ছাপ। শরীরী ভাষা নয় চনমনে। বিশ্বকাপের আগে ও বিশ্বকাপ চলার সময় যিনি টগবগ করে ফুটছিলেন, সেই মাহমুদউল্লাহ এখন যেন ভীষণ ম্রিয়মান। ঠিক বাংলাদেশ ক্রিকেটের মতোই! তবু চলছে সামনে তাকানোর চেষ্টা। তবুও তোলা হচ্ছে নতুন দিনের সুর।
- এমনিতে টি-টোয়েন্টি ম্যাচের আগে উইকেট ততটা আগ্রহের কেন্দ্রে থাকে না। কম-বেশি ব্যাটিং সহায়কই হয় সাধারণত। তবে ভেন্যু যখন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়াম, উইকেট তখন বাড়তি কৌতূহলের উৎস বরাবরই। বাংলাদেশ-পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগেও যথারীতি আলোচনার অনেকটা জুড়ে আছে উইকেট।
- ঘরোয়া ক্রিকেটে বড় দৈর্ঘ্যের উপযোগী ব্যাটসম্যান হিসেবেই মনে করা হয় সাইফ হাসানকে। পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে তার দলে ডাক পাওয়াটা তাই চমক জাগানিয়া। তবে ২০ ওভারের ক্রিকেটেও ডানহাতি এই ওপেনারের ভালো করার সামর্থ্য আছে বলে মনে করছেন মাহমুদউল্লাহ। সিরিজটিকে সাইফের জন্য বড় সুযোগ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্তর ওপরও আস্থা রাখছেন তিনি।
- নতুন চেহারার দল নিয়ে নতুন পথচলা শুরুর কথা এই সিরিজ দিয়ে। কিন্তু বারবার ফিরে এলো পুরনো একজনের নাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ শুরুর আগের দিন মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে ঘুরেফিরে উচ্চারিত হলো মুশফিকুর রহিমের দলের না থাকার প্রসঙ্গ। বাংলাদেশ অধিনায়ক প্রতিবারই এড়িয়ে গেলেন এই প্রসঙ্গ। একটি কথায় অবশ্য না বলেও যেন বললেন অনেক কথা।
- চারপাশ থেকে ছুটে আসছিল যখন সমালোচনার তীর, বাংলাদেশ দল তখন পেয়ে গেছে বড় এক বর্ম। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরও স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাশে দাঁড়িয়েছেন ক্রিকেটারদের। প্রধানমন্ত্রীর কথায় উজ্জীবিত অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলছেন, তারা প্রতিদান দেওয়ার চেষ্টা করবেন মাঠে শতভাগের বেশি উজাড় করে দিয়ে।
- দুয়েকটা বিরল উদাহরণ বাদ দিলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রাপ্তি কী? চট করে মনে পড়ার মতো তেমন কিছু নেই। অসাধারণ কোনো ইনিংস বা দুর্দান্ত কোনো বোলিং, কিছুই নেই। বিপরীতে বরং তিন বিভাগেই আছে ব্যর্থতায় মোড়া অনেক কিছু। এর মধ্যে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে দলের ব্যাটিং।
- বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সূত্রটা ধরতে পেরেছে কি?- অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দুটি জয়ের পর এমন প্রশ্নে বিরক্ত হতে দেখা গেছে ক্রিকেটারদের। কণ্ঠে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ছিল স্পষ্ট। তবে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ স্বীকার করে নিলেন, এখনও টি-টোয়েন্টিতে পায়ের নিচে মাটি খুঁজছেন তারা।
- ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে নেই রান, বোলিংয়ে নেই ততটা ধার, ফিল্ডিংয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ছুটেছে ক্যাচ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিন বিভাগে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের সারমর্ম এই। কেন তিন বিভাগে এমন ব্যর্থতা, কারণ অনুসন্ধান। যাদের সবচেয়ে ভালো জানা থাকার কথা, তাদের একজন, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, তিনিও নিজেও খুঁজছেন উত্তর।
- হতাশার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে এবার ক্রিকেটারদের দেশে ফেরার পালা। দুই ভাগ হয়ে দুবাই থেকে ঢাকায় ফিরবে বাংলাদেশ দল। তবে এই দুই ভাগে সঙ্গে ফিরছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস ও তাসকিন আহমেদ।
- এমনিতে অন্তর্মুখী হিসেবেই পরিচিতি মাহমুদউল্লাহর। মাঠের ভেতরে-বাইরে আবেগের বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় কমই। সেই তিনিই পাপুয়া নিউ গিনিকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে বইয়ে দেন কথার ঝড়। তা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয় তুমুল। সময়ের সঙ্গে ভিন্ন উপলব্ধি হয় মাহমুদউল্লাহর নিজেরও। হতাশায় মোড়ানো বিশ্বকাপ অভিযান শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, সেদিনের সেই ক্ষোভের উত্তাল ঢেউয়ের পেছনে ছিল আবেগের স্রোত।
- দলের পারফরম্যান্স যাচ্ছেতাই, নিজের পারফরম্যান্সও খুব ভালো নয়। দল-নেতৃত্ব-ব্যাটিং, সব মিলিয়ে হতাশায় মাখা এক বিশ্বকাপ শেষ হলো মাহমুদউল্লাহর। প্রশ্ন উঠছে তার ভবিষ্যৎ নিয়ে। বিশ্ব আসর দিয়ে বিদায়ের ঘটনাও কম নেই। তবে তিনি নিজে জানালেন, টি-টোয়েন্টিকে বিদায় বলার কথা ভাবছেন না এখনই।
- এতো সহজ ক্যাচ হাতছাড়া হলো, দেখেও যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না মাহমুদউল্লাহর। দেশের সেরা ফিল্ডার হিসেবে বিবেচিত আফিফ হোসেনকে ইশারায় জিজ্ঞেস করলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, কি হয়েছিল? ফিল্ডারের মাথা নাড়ানো আর বল থ্রো করার ধরন দেখেই বুঝে নিলেন, হাতছাড়া হয়েছে আরেকটা সুযোগ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যা বাংলাদেশের সবচেয়ে নিয়মিত চিত্রের একটি। ম্যাচের পর ম্যাচ ধরে একই ভুল হতে থাকায় ক্যাচিং দলের জন্য উদ্বেগের বলে স্বীকার করে নিলেন মাহমুদউল্লাহ।
- শেষ ৭ বলে প্রয়োজন ১৩। একটা বাউন্ডারিতে সমীকরণ হয়ে যেত সহজ। এক প্রান্ত আগলে রাখা লিটন দাস সেই চেষ্টাই করলেন। ডোয়াইন ব্রাভোকে লং অনের ওপর দিয়ে মারতে চাইলেন ছক্কা। কিন্তু সীমানায় এমন কিছুর অপেক্ষাতেই ছিলেন জেসন হোল্ডার। ৬ ফুট ৭ ইঞ্চি লম্বা ক্রিকেটার একটু লাফিয়ে মুঠোয় জমালেন ক্যাচ। বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর মতে, এই আউট ম্যাচের বড় টার্নিং পয়েন্ট।
- দুটি সহজ ক্যাচ হাতছাড়া। দুই ব্যাটসম্যানের বেঁচে যাওয়া। তাদের ব্যাটেই বাংলাদেশের সম্ভাবনার মৃত্যু। যা ছিল ম্যাচের চিত্র, ম্যাচ শেষে তা ফুটে উঠল বাংলাদেশ অধিনায়কের কণ্ঠেও। মাহমুদউল্লাহর মতে, সুযোগ হাতছাড়া করেই শ্রীলঙ্কার কাছে দলের হার।
- অনেক দিন থেকে রান নেই দুজনের কারও ব্যাটে। তবে দুজনের ওপর ভরসার কমতিও নেই দলের ভেতরে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বললেন, লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমের সামর্থ্যে প্রবল আস্থা তার ও দলের সবার।
- বাংলাদেশের জয় আর ম্যাচের সেরা সাকিব আল হাসান। গত ১৪ বছরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে নিয়মিত ঘটনা বুঝি এটিই। বিশ্ব আসরে তো এটা হয়ে দাঁড়িয়েছে অবধারিত। বৈশ্বিক আসরে বাংলাদেশের সবশেষ ৬ জয়ের প্রতিটিতেই ম্যান অব দা ম্যাচ সাকিব! বাংলাদেশের বহু জয়ের নায়ক, এবার বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ওঠার নায়ককে আরও একবার স্তুতিতে ভাসালেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- সাকিব আল হাসান ২৮ বলে ২০। দুই ছক্কা ও এক চার মেরেও মুশফিকুর রহিম ৩৬ বলে ৩৮। এক ছক্কা ও এক চারে মাহমুদউল্লাহ ২২ বলে ২৩। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো উইকেটে, যে কোনো প্রেক্ষাপটেই এই সংখ্যাগুলো বেমানান। দল হারার পর তাদের দিকে আঙুল ওঠাও স্বাভাবিক। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ অবশ্য অভিমানের সুরে বললেন, ইচ্ছে করে তো আর তারা অমন ব্যাটিং করেননি!
- ‘সেরা’ নির্ধারণ করা কঠিন। বিবেচনায় নিতে হয় তখন অনেক কিছু। তবে সময়ের সেরা কিংবা সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ একজনকে বেছে নেওয়া খুব কঠিন নয়। সহজেই দেখতে পাওয়া যায়। এই যেমন আফিফ হোসেন। সাম্প্রতিক সময়ে দলের সবচেয়ে সাবলিল ব্যাটসম্যান নিঃসন্দেহে তিনিই। অথচ তাকেই নামতে হচ্ছে ছয় নম্বরে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ যদিও মনে করেন, তরুণ এই ক্রিকেটারের ব্যাটিং পজিশন একদম ঠিক আছে!
- হতাশা, ব্যর্থতা, না পারা, এরকম আরও অনেক শব্দমালা বারবার শোনা গেল মাহমুদউল্লাহর সংবাদ সম্মেলনে। মানসিকভাবে তাকে মনে হলো বিধ্বস্ত, সেই ছাপ তার চেহারায়ও। তবে দলের শঙ্কা-সম্ভাবনার কথা উঠতেই তিনি যেন একটু চাঙা। বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলা নিয়ে দুর্ভাবনা হচ্ছে না তার।
- নবম ওভারে মুশফিকুর রহিমের জোড়া ছক্কায় আসে ১৮ রান। কেটে যায় চাপ। পরের দুই ওভারেও সচল ছিল রানের চাকা। ওভার প্রতি প্রয়োজন ছিল আটের একটু বেশি। ক্রিজে দুইজন সেট ব্যাটসম্যান, পরের ব্যাটিং লাইনআপটাও বেশ লম্বা। তবুও অহেতুক ঝুঁকি নিলেন দুই ব্যাটসম্যান, এর মাশুল দিলেন উইকেট বিলিয়ে। ১৩ বলের মধ্যে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ওই আউটই অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর কাছে ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট।
- কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা বুঝি একেই বলে। সংবাদ সম্মেলনে দলের হারের কারণ আর হতাশা নিয়ে কথা বলছিলেন মাহমুদউল্লাহ। এসময়ই উচ্চস্বরে শোনা গেল গান। কাছেই স্কটল্যান্ডের ড্রেসিং রুম, তাদের আনন্দ উৎসব ভেসে এলো বাংলাদেশ অধিনায়কের সংবাদ সম্মেলনেও। বেশ কিছুক্ষণ চুপ করে রইলেন মাহমুদউল্লাহ। তার দীর্ঘশ্বাস যেন ভারী হয়ে উঠল আরও।
- চেষ্টা করে কী আর ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল বা কাইরন পোলার্ড হওয়া যায়! জিম-টিম করে, ফিটনেস ট্রেনিং করে পেশির জোর হয়তো কিছু বাড়ানো যায়। শরীর পোক্ত করা যায়। শটের পরিধি বিস্তৃত করা যায়। নিজেকে সমৃদ্ধও করা যায়। কিন্তু গেইল-রাসেল হতে গেলে তো সহজাত সামর্থ্য, প্রকৃতিগত শারীরিক সুবিধাও লাগে। অধ্যবসায়ে বরং কেন উইলিয়ামসন হওয়া যেতে পারে। বাংলাদেশ দল এখন সেই চেষ্টাই করছে!
- বিশ্বকাপ শুরুর আগের দিন মাঠে ঢুকে চোখ ছানাবড়া অনেকের। এই মাঠে উইকেট কোথায়! মাঠের সবুজ গালিচা থেকে মাঝের ২২ গজকে আলাদা করাই কঠিন। সেন্টার উইকেটে পুঁতে রাখা স্টাম্প আর পরিচর্যায় ব্যস্ত মাঠকর্মীদের দেখে অবশ্য শেষ পর্যন্ত উইকেট চেনা গেল। পাশাপাশি বিস্ময়ও জাগল তুমুল। ম্যাচের আগের দিনও উইকেটে এত ঘাস!
- মুখে এক চিলতে হাসি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন কক্ষে ঢুকলেন মাহমুদউল্লাহ। পরের সময়টায় যেন ছুটল হাসির ফোয়ারা। কখনও স্মিত হাসি, কখনও চওড়া। সব প্রশ্ন অবশ্যই হাসির খোরাক জোগানোর মতো ছিল না। কথার ‘হাফ ভলির’ পাশাপাশি বাউন্সার-ইয়র্কারও ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ অধিনায়ক ফুরফুরে মেজাজেই সামলে নিলেন সব। কণ্ঠে প্রত্যয় নিয়ে শোনালেন এবারের বিশ্বকাপে শেকল ভাঙার গান।
- টপ অর্ডারে অন্যদের ব্যাটে যখন মারাত্মক খরা তখনও রান আসছে মোহাম্মদ নাঈম শেখের ব্যাটে। বড় ইনিংস খেলতে না পারলেও সবশেষ সাত ইনিংসে ছয়বারই গেছেন দুই অঙ্কে। কিন্তু গোল পাকাচ্ছে তার স্ট্রাইক রেট। প্রতি ম্যাচেই ডট যাচ্ছে অনেক বল। তবে এ নিয়ে ভাবছেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়কের মতে, নাঈম ভালোই করছে আর কিছু বল তো ডট হতেই পারে।
- বাতাসে ছিল বারুদের ঝাঁঝ। স্কটল্যান্ডের কোচ শেন বার্জারের মন্তব্য ছড়িয়েছিল উত্তেজনার রেশ। তবে সেই আগুনে ঘি না ঢেলে মাহমুদউল্লাহ ছিটিয়ে দিলেন শান্তির জল। ছড়িয়ে দিলেন সম্মানের বার্তা। তবে এটুকু জানাতেও ভুললেন না, মাঠে নেমে ‘হার্ড’ ক্রিকেটই খেলবে দল।
- হালকা একটু স্ট্রেচিংয়ের পর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে গোল হয়ে দাঁড়ালেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। গোল বৃত্ত গড়ে চলল অনুশীলন পূর্ব আলোচনা। সেখানে দেখা গেল সাকিব আল হাসানকে। ওমান ক্রিকেট একাডেমি মাঠে পরে রানিং, আরেক দফা স্ট্রেচিং ও ফিল্ডিং অনুশীলনেও থাকলেন এই অলরাউন্ডার।
- একাদশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন খেলোয়াড়কে সবশেষ প্রস্তুতি ম্যাচেও পাচ্ছে না বাংলাদেশ। পিঠের ব্যথার জন্য আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিনকে। আইপিএল থেকে ফেরার পর প্রথমবারের মতো খেলছেন বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।
- লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) দ্বিতীয় আসরের প্লেয়ার্স ড্রাফটে আছেন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহসহ বাংলাদেশের আট ক্রিকেটার। তাদের সঙ্গে আছেন ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, ক্রিস লিনের মতো এই সংস্করণের বড় তারকারা।
- পিঠের ব্যথা এখনও সারেনি মাহমুদউল্লাহর। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অধিনায়কের খেলা নিয়ে শঙ্কা দেখছেন না হাবিবুল বাশার। দলের সঙ্গে থাকা এই নির্বাচক জানিয়েছেন, মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে কোনো ঝুঁকি নিবেন না তারা। পুরোপুরি সেরে ওঠার সুযোগ দিতে প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে একাদশের বাইরে রাখা হতে পারে অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডারকে।
- মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এখন কেবল ঐতিহ্য আর বড় দলের তকমাটুকুই আছে। সাফল্য নেই বছরের পর বছর ধরে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে শিরোপার স্বাদ পায়নি তারা গত এক দশকেও। ট্রফির খোঁজে মরিয়া ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবার তাই তারার মেলা বসাচ্ছে ক্লাবে। লিগ শুরুর সময় নিয়ে নিশ্চয়তা না থাকলেও তারকায় ঠাসা দল সাজিয়ে রাখছে তারা।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে সবশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচে হার, স্বাভাবিকভাবেই হতাশ মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটিং, বোলিং দুই বিভাগেই কিছু ঘাটতি চোখে পড়েছে বাংলাদেশ অধিনায়কের। তবে তার বিশ্বাস, সমস্যাগুলো কাটিয়ে বিশ্বকাপে জয়ের পথে ফিরবে দল।
- জয় তো অনেক ধরনেরই হয়। সব জয়ের উচ্ছ্বাস-তৃপ্তি একরকম নয়। বাংলাদেশের এই জয়টিই যেমন। উইকেট টার্নিং ও মন্থর বটে, কিন্তু ভয়ঙ্কর তো আর নয়! নিজেদের চেনা আঙিনায় ৯৪ রান তাড়া করতেও যদি ধুঁকতে হয়, অপেক্ষা করতে হয় শেষ ওভার পর্যন্ত, অনেক প্রশ্নও তখন ভীড় করতে শুরু করে। ম্যাচ জিতে সিরিজ জয়ের স্বস্তিও পেল বাংলাদেশ। কিন্তু শান্তি মনে হয় খুব একটা পেল না।
- অস্ট্রেলিয়াকে ৬২ রানে, নিউ জিল্যান্ডকে ৬০ রানে গুটিয়ে দিয়ে কী বিব্রতকর স্বাদই না দিয়েছে বাংলাদেশ। এবার নিজেদের মাঠে নিজেরাই সেই দুঃস্বপ্নের শিকার। তবে হতাশার এই ঘোর দ্রুত কাটিয়ে পরের ম্যাচেই জয়ে ফিরতে চান অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- এমনিতে পাদপ্রদীপের আলোয় খুব একটা আসেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে বরাবরই তার ভূমিকা পার্শ্বনায়কের। তবে সময়টা এখন তার। তিনিই নায়ক! নিউ জিল্যান্ড সিরিজের প্রথম ম্যাচ জয়ের পর তিনি হয়ে গেছেন বাংলাদেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এখন অপেক্ষায় তিনি দেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলার স্বাদ পাওয়ার।
- চলতি সিরিজেই মাশরাফি বিন মুর্তজাকে ছাড়িয়ে টি-টোয়েন্টিতে হয়েছেন দেশের সফলতম অধিনায়ক। এবার তার সামনে অনন্য এক অর্জনের হাতছানি। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে টস করতে নামলেই বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে এই সংস্করণে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি হয়ে যাবে মাহমুদউল্লাহর।
- নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চলতি সিরিজের তিন ম্যাচ এখনও বাকি। সামনে আছে বিশ্বকাপ। আরও টি-টোয়েন্টি ম্যাচ আছে বিশ্ব আসরের পরও। তবে এবছর এখনই হয়ে গেছে এই সংস্করণে বাংলাদেশের সেরা বছর!
- তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে দ্বিতীয় বলেই ছক্কা হজম করলেন সাকিব আল হাসান। সঙ্গে সঙ্গে ড্রেসিং রুমের দিকে ইশারা করলেন রুমাল আনার জন্য। স্পষ্টতই শিশিরের জন্য সমস্যা হচ্ছিল বাঁহাতি এই স্পিনারের। বাংলাদেশের বোলারদের জন্য যা ছিল বড় সমস্যা, সেটাই নিউ জিল্যান্ডের জন্য আশীর্বাদ। ফ্লাড লাইটের আলোয় ব্যাটিং হয়ে গেল তুলনামূলক সহজ। এমন উইকেটে ১৪০ রানের পুঁজি নিয়েও জেতায় বোলারদের প্রশংসায় ভাসালেন স্বাগতিক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- ম্যাচের পর ম্যাচ ২-৩ ওভারেই শেষ উদ্বোধনী জুটির দৌড়। সেখানে এবার লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ নাঈম শেখের জুটিতে ৯ ওভারেও উইকেট নেই! উত্তেজনাপূর্ণ ম্যাচে বাংলাদেশের জয়ের পর অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ বলছেন, শুরুর জুটিতেই গড়া হয়েছে দলের জয়ের ভিত।
- উইকেট বোলিং সহায়ক। প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন আপ এই কন্ডিশনে একদমই নড়বড়ে। সবকিছুই বাংলাদেশের পক্ষে। পারিপার্শ্বিকতা সহায়ক হলেও মূল কাজটা তো নিজেদেরই করতে হয়! বাংলাদেশের বোলাররা তা করতে পেরেছেন দেখে উচ্ছ্বসিত মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক বেশি খুশি, ম্যাচের পর ম্যাচ বোলাররা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারায়।
- টেস্ট ক্রিকেট থেকে মাহমুদউল্লাহর অবসর এখন যেন পরিণত হয়েছে রহস্যময় এক অধ্যায়ে, যেটির জট খুলছে না কোনোভাবেই। এটি নিয়ে ধোঁয়াশা আরও গাঢ় হয়েছে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানের নতুন বক্তব্যের পর। তিনি বলছেন, মাহমুদউল্লাহর টেস্ট অবসরের ব্যাপারটি এখনও ‘পেন্ডিং’ আছে।
- সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্ব পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ঘটনাক্রমে পাওয়া সেই দায়িত্বের পথ ধরেই তিনি এখন দেশের সফলতম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এই অলরাউন্ডার ছাড়িয়ে গেলেন মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
- ম্যাচের আগের দিন বিকেলের দৃশ্য। মাঠে ঢুকেই নিউ জিল্যান্ডের কয়েকজন ক্রিকেটার সরাসরি চলে যান পিচের কাছে। চটের কাভার উঁচিয়ে দেখতে শুরু করেন উইকেট। আঙুল দিয়ে টিপে পরখ করেও দেখেন দু-একজন। এসব দেখে মাঠের বাইরে থেকে তড়িঘড়ি করে ছুটে যান মাঠকর্মীরা। উইকেট দেখারও তো একটা নিয়ম আছে! কিউইরা বুঝতে পেরে সরে যান দ্রুত। পরে অবশ্য প্রথা মেনেই মাঠকর্মীরা কাভার পুরোপুরি সরিয়ে উইকেট দেখার সুযোগ করে দেন কিউইদের।
- টম ল্যাথাম মনেই করতে পারছিলেন না, শেষ কবে টি-টোয়েন্টি খেলেছেন। সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্নকারীই পরে মনে করিয়ে দিলেন, ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিও তিনি সবশেষ খেলেছেন আড়াই বছরের বেশি আগে! অথচ এই ল্যাথামই এখন অধিনায়ক। স্রেফ এতেই ফুটে ওঠে, এই সফরকে নিউ জিল্যান্ড কীভাবে নিয়েছে। বাংলাদেশের বাস্তবতা ভিন্ন। সম্ভাব্য সেরা দল নিয়ে তারা ঝাঁপিয়ে পড়তে প্রস্তুত জয়ের মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে।
- বিশ্বকাপ দল ঘোষণা নিয়ে কোচের সঙ্গে একমত মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়কেরও চাওয়া ছিল, নিউ জিল্যান্ড সিরিজের আগেই ঘোষণা করা হোক বিশ্বকাপ দল। সেই চাওয়া পূরণ না হলেও অবশ্য সমস্যার খুব বেশি কিছু দেখছেন না অধিনায়ক। দল তৈরিই আছে, জানিয়ে দিলেন তিনি।
- কিপিংয়ের দায়িত্ব মুশফিকুর রহিম ও নুরুল হাসান সোহানের ভাগাভাগি করা নিয়ে দলে কোনো অস্থিরতা তৈরি হয়নি বলেই দাবি করলেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, দুই কিপারই ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন এই সিদ্ধান্ত।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে খুব সুখকর কিছু এখনও পায়নি বাংলাদেশ। তবে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করার আশায় বুক বাঁধছেন মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক এই স্বপ্ন দেখার সাহস পাচ্ছেন দলের বেশ কজন অলরাউন্ডার ও বোলিং শক্তির ভরসায়।
- জিম্বাবুয়েতে ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ব ছিল বেশি। কিন্তু মিরপুরে চিত্রটা হবে উল্টো, আগেই অনুমান করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। বোলারদের বলেছিলেন, শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে তাদেরই জেতাতে হবে। অধিনায়ককে হতাশ করেননি বোলাররা। মন্থর, নিচু টার্নিং উইকেটে গড়ে দিয়েছেন ব্যবধান। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ।
- হাতের তালুর মতো চেনা মাঠ। এই কন্ডিশনে কার্যকর হওয়ার মতো দারুণ সব ক্রিকেটার আছে দলে। এরপরও সফরকারী দলগুলোকে চ্যালেঞ্জ জানাতে না পারার কোনো কারণ দেখেন না মাহমুদউল্লাহ। বাংলাদেশ টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক জানালেন, দেশের মাটিতে প্রতিটি সিরিজে একটাই লক্ষ্য থাকে- জয়।
- অস্ট্রেলিয়াকে সর্বনিম্ন রানে গুটিয়ে দিয়ে বড় জয়ের পর মাহমুদউল্লাহ স্মরণ করলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। শোকের মাসে জয় উৎসর্গ করলেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারকে।
- সিরিজের চার ম্যাচের মধ্যে ব্যাটিংয়ের জন্য কঠিনতম উইকেট চতুর্থ ম্যাচেই ছিল বলে মনে করেন মাহমুদউল্লাহ। এটিকে অবশ্য হারের অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন না বাংলাদেশ অধিনায়ক। দায় দিচ্ছেন তিনি দলের ব্যাটিংকে।
- মাহমুদউল্লাহর চাওয়া ছিল উইকেট। এজন্যই তিনি বল তুলে দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানের হাতে। কিন্তু হলো উল্টো। ওভারে ৫ ছক্কার চমক উপহার দিলেন ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান। ম্যাচের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক বললেন, ওই ওভারেই ঘুরে যায় ম্যাচের মোড়।
- মাঠে বাঁধনহারা উদযাপন দেখা গেছে, ড্রেসিং রুমে হই-হল্লা হয়েছে। অনেক দিন ধরেই দলের বিজয় সঙ্গী হয়ে ওঠা ‘আমরা করব জয়’ গাওয়া হয়েছে গলা ফাটিয়ে। পরস্পরের পিঠ চাপড়ানো ও আনন্দে অবগাহনও হয়েছে বেশ। এবার সামনে তাকানোর পালা। বাংলাদেশ দলের লক্ষ্য এখন দুটি, ব্যাটিংয়ে উন্নতি আর সেই পথ ধরে আরেকটি জয়ে সিরিজে ৪-০তে এগিয়ে যাওয়া।
- র্যাঙ্কিংয়ে অবস্থান ভালো নয়, রেকর্ড খুব সমৃদ্ধ নয়। দলে নেই খুব বেশি ম্যাচ উইনার। এই দল তাহলে জিতবে কিভাবে? অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ সমাধান দেখলেন দলীয় ঐক্যে আর ভরসা রাখলেন বিশ্বাসের টোটকায়। এই দুইয়ে ভর করেই রচিত হলো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের ইতিহাস।
- ৪ ওভারে প্রয়োজন ৩৮। ক্রিজে একজন থিতু ব্যাটসম্যান, হাতে ৭ উইকেট। ম্যাচে তখন একটু এগিয়ে অস্ট্রেলিয়াই। কিন্তু বাংলাদেশের ছিলেন একজন মুস্তাফিজুর রহমান। তার দুটি জাদুকরী ওভার ঘুরিয়ে দিল মোড়। অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে সিরিজ জয়ের পর বাঁহাতি এই পেসারের প্রশংসায় মাতলেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- ইনিংসের শেষ তিন বলে হ্যাটট্রিক, প্রত্যাশার চেয়ে একটু কম পুঁজি। বোলিং ইনিংসে মাঠে নামার সময় দলকে কিভাবে উজ্জীবিত করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ? বাংলাদেশ অধিনায়ক জানালেন, এই ভার এ দিন তিনি দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসানকে।
- উইকেট মন্থর, বোলারদের জন্য সুবিধা প্রবল। ছোট পুঁজি নিয়েও তাই দারুণ লড়াই করছিল অস্ট্রেলিয়া। এক পর্যায়ে ৯ রানের মধ্যে তিন উইকেট নিয়ে বাংলাদেশকে চেপে ধরেছিল তারা। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ জানালেন, সেই সময় উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছিল বাংলাদেশের ড্রেসিং রুমে।
- পাঁচ ম্যাচে চার জয়, এতটা ভালো সময় টি-টোয়েন্টিতে খুব একটা কাটেনি বাংলাদেশের। জিম্বাবুয়েতে সিরিজ জিতে আসার পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচে জয়। অবদান রাখছেন অনেকেই। সবার মাঝে সাকিব আল হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমানের অবদানকে বড় করে দেখছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ।
- টি-টোয়েন্টিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম জয়। সেটাও কেবল ১৩১ রানের পুঁজি নিয়ে। নিশ্চিয়ই আনন্দে ভাসছে বাংলাদেশ, খুশিতে উড়ছেন মাহমুদউল্লাহ? অধিনায়ক বললেন, তেমন কিছু নয়। এটা স্রেফ আরেকটা জয়। পিঠাপিঠি ম্যাচ বলে, খুব দ্রুত প্রথম ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে নেওয়াই বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে তার কাছে।
- লড়াইটা ক্রিকেটের, কিন্তু এতদিন সেখানে ক্রিকেটই ছিল প্রায় উধাও। জৈব সুরক্ষা বলয়, নানা বিধি-নিষেধ, নিয়ম-কানুনের কড়াকড়ি, সিরিজের আবহজুড়ে ছিল স্রেফ এসবই। অবশেষে আলো পড়তে যাচ্ছে ব্যাট-বলের লড়াইয়ে। মাঠের ক্রিকেট যে শুরু হলো বলে! বাংলাদেশ নামছে বিশ্বকাপ প্রস্তুতি আর সিরিজ জয়ের লক্ষ্য নিয়ে।
- সিরিজ শুরুর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে খুব ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। হাসিমুখে নানা প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন। টুকটাক মজাও করছিলেন। উইকেটের প্রসঙ্গে তার হাসি চওড়া হলো আরও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে বাংলাদেশ কেমন উইকেট চায়, সেই প্রসঙ্গে দেশের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হাসতে হাসতে বললেন, “এটা বলে দিলে তো সবই বলে দিলাম…।”
- সাঁতরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা বললেন তরুণী?
- প্রথম টোল দিয়ে বাইক নিয়ে পদ্মা সেতু পার হলেন যিনি
- পুলিশের সামনে শিক্ষকের গলায় জুতার মালা: চলছে প্রতিবাদ
- পদ্মা সেতু দিয়ে গাবতলীর বাস কবে চলবে?
- প্রাথমিকে ছুটি ২৮ জুন থেকে, মাধ্যমিকে ৩ জুলাই
- উৎসবের মাহেন্দ্রক্ষণে মেয়ের সঙ্গে ফ্রেমবন্দি প্রধানমন্ত্রী
- দৌড়েই পদ্মা সেতুতে উঠে পড়লেন তারা
- পাকিস্তানের শেহজাদের অদ্ভুত দাবি
- টোল দিয়ে পদ্মা সেতুর প্রথম যাত্রী শেখ হাসিনা
- রোববার থেকে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচল
- ইউক্রেইনজুড়ে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
- পুলিশি অভিযানের মধ্যে ঢাকায় ১০ তলা থেকে পড়ে প্রকৌশলীর মৃত্যু
- পগবার ভাইকে দলে টানল মোহনবাগান
- ৯০ লঞ্চ পদ্মা পাড়ে, ঢাকার সদরঘাট শূন্য
- মেয়ার্সের সেঞ্চুরিতে বিপাকে বাংলাদেশ