- ভারতের ইন্দোরে মুমিনুল হক প্রথমবার টস করার পর পেরিয়ে গেছে দুই বছর। সাফল্য খরায় দীর্ঘ ক্লান্তিকর একটা যাত্রাই কেটেছে তার। শুরুটা করেছিলেন ইনিংস ব্যবধানের হার দিয়ে, চক্রপূরণ করে সেই জায়গাতেই আছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
- চেহারাতেই কখনও কখনও ফুটে ওঠে মনের ছবি। মুমিনুল হকের ক্ষেত্রে যেমন। ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনেও বাংলাদেশ অধিনায়ককে মনে হচ্ছিল বিধ্বস্ত। পরে তার কণ্ঠেও প্রকাশ হলো হতাশা। পাশাপাশি অনুরোধ করলেন, দলের নতুনদের নিয়ে আরেকটু ধৈর্য ধরতে।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ কিংবা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজেও রানের জন্য এতটা মরিয়া দেখা যায়নি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। মিরপুর টেস্টের চতুর্থ দিন শেষ বেলায় রানের জন্য যেন মরিয়া ছিলেন সবাই। নিচ্ছিলেন মস্ত বড় ঝুঁকি, এর মাশুল দিতে হয় উইকেট বিলিয়ে। বাংলাদেশের সেই ব্যাটিং বিস্মিত করেছে প্রায় সবাইকে। তবে তাদের ব্যাটিংয়ের ধরন নিয়ে প্রশ্নে অবাক বাংলাদেশ অধনায়ক মুমিনুল হক।
- টেস্ট ম্যাচে রান আউট এমনিতেই অনেক সময় মেনে নেওয়ার মতো নয়। আর সেটি যদি হয় ম্যাচ বাঁচানোর লড়াইয়ে থাকার সময় অযথা ঝুঁকিপূর্ণ সিঙ্গেল নিতে গিয়ে, তাহলে তা একরকম অপরাধের পর্যায়েই পড়ে যায়। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে এরকম রান আউটই হয়েছেন মুমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। ম্যাচ শেষে নিজের দায়টা নিলেন মুমিনুল, মুশফিকের আউটের দায় দিলেন ভাগ্যকে।
- নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলির আগুনে স্পেল, পরে সাজিদ খানের স্পিন। মিরপুর টেস্টের শেষ দিনে পাকিস্তানের দারুণ জয়ের নায়ক তারাই। তবে ভুলে গেলে চলবে না বাবর আজমকে! দুই ওভার হাত ঘুরিয়েই বলা যায় ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেটটি ম্যাচের প্রেক্ষাপটে মহামূল্য, বলছেন স্বয়ং বাবরও।
- ওয়ানডে থাকলে কাজটা হয়তো আরেকটু কঠিন হতো। পাকিস্তানের কৃতিত্ব অবশ্য তাতে একটুও কমছে না। বাংলাদেশে এসে একাধিক সংস্করণে সিরিজের সব ম্যাচে জেতা সহজ কোনো কাজ নয়। সেটাই করে দেখানো দল পেয়ে গর্বিত পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।
- প্রথম ইনিংসে ফলোঅন এড়াতে যথেষ্ট হয়নি সাকিব আল হাসানের লড়াই। দ্বিতীয় ইনিংসে ম্যাচ বাঁচাতে তিনিই আশা হয়ে টিকে আছেন। মিরপুর টেস্টে লড়াকু দুই ইনিংসের সৌজন্যে ৪ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করলেন বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার, সঙ্গে নিজের করে নিলেন আরেকটি বিশ্ব রেকর্ড। টেস্টে ৪ হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে ছাড়িয়ে গেলেন ইয়ান বোথামকে।
- কাগজ-কলমের হিসেব বলছে, আর কেবল ২৪ মিনিট কিংবা ৫.২ ওভার টিকে থাকলেই মিরপুর টেস্ট বাঁচিয়ে ফেলতে পারত বাংলাদেশ। আসলে অতটাও বাকি ছিল না। তবে যাই থাকুক, সেটা পারেনি বাংলাদেশ। বৃষ্টিতে প্রায় সাত সেশন ভেসে যাওয়ার পরও বিস্ময়করভাবে হেরে গেল বাংলাদেশ। সাজিদ খানের দারুণ বোলিংয়ে স্বাগতিকদের হোয়াইটওয়াশ করে ছাড়ল পাকিস্তান।
- চট্টগ্রাম টেস্টে দুই পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলির বোলিংয়ে চাপা পড়ে গিয়েছিল সাজিদ খানের অবদান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছিলেন এই অফ স্পিনার। মিরপুর টেস্ট সব আলো কেড়ে নিলেন তিনিই। ৮ উইকেট নিয়ে জায়গা করে নিলেন রেকর্ড বইয়ে।
- বাংলাদেশ কীভাবে ম্যাচ বাঁচাতে পারে? নাজমুল হোসেন শান্তর একটি শর্ত ছিল, পঞ্চম দিনে ভালো শুরু। সাকিব আল হাসান ও তাইজুল ইসলামের জুটিতে কিছু রান। কোনোটিই পারেনি বাংলাদেশ। সাজিদ খান ও শাহিন শাহ আফ্রিদির বোলিংয়ে পঞ্চম দিন স্রেফ আধ ঘণ্টায় গুটিয়ে গেছে স্বাগতিকদের প্রথম ইনিংস, পড়েছে ফলোঅনে।
- এত তাড়াহুড়ো পাকিস্তানও তো করেনি। ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বাবর আজমের দল শেষ দিকে টি-টোয়েন্টি ঘরানার ব্যাটিং করলেও অস্বাভাবিক লাগত না। তবুও তারা খেলে স্বাভাবিক ঢঙেই। আর যেখানে বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিল ধীর-স্থির-সাবধানী ব্যাটিং, সেখানে আগ্রাসী ক্রিকেটের নেশায় স্বাগতিকরা ছুঁড়ে আসেন একের পর এক উইকেট। তাদের আউটের ধরন মানতেই পারছেন না ‘টিম ডিরেক্টর’ খালেদ মাহমুদ।
- টেস্ট ম্যাচই তো, না কী! ধন্দে ফেলে দিল বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের ধরন। কখনও মনে হলো ওয়ানডে, কখনও টি-টোয়েন্টি, কখনও যেন স্লগ ওভার, কখনও আবার মনে হলো, একটি বলেই যেন নির্ভর করছে ম্যাচের ভাগ্য! স্রেফ ২৬ ওভারেই ব্যাটিংয়ের সব ঘরানার প্রদর্শনী মেলে ধরল বাংলাদেশ। যেটির ফল, ইনিংস এখন ধ্বংসস্তুপ।
- পাকিস্তানের ইনিংস ঘোষণার পর কাটিয়ে দিতে হতো স্রেফ ঘণ্টা দুয়েক। সেটাও প্রতিপক্ষের মূল বোলারদের না খেলে। এরপরও নিদারুণভাবে ব্যর্থ বাংলাদেশ। বৃষ্টির বাগড়ায় চার দিনেও যেখানে দুই দলের প্রথম ইনিংস শেষ হয়নি, সেখানে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছে হার। তবে নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বাস, ভুলগুলো শুধরে নিয়ে শেষ দিনে ম্যাচ বাঁচাতে পারবেন তারা।
- গোটা প্রায় দুটি দিন ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। প্রথম তিন দিনে সম্ভাব্য ২৭০ ওভারের মধ্যে খেলা হয়েছে ৬৩.২ ওভার। এমন নিষ্প্রাণ ম্যাচেও প্রাণ ফিরিয়েছে পাকিস্তান। দুর্দান্ত বোলিংয়ে ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রও তারা তৈরি করে ফেলেছে। চতুর্থ দিনের নায়ক সাজিদ খানের কণ্ঠে আত্মবিশ্বাসী উচ্চারণ, শেষ দিনে বাংলাদেশের ১৩ উইকেট নিয়ে জিতেই মাঠ ছাড়বেন তারা।
- স্রেফ এক ওভার ভুগিয়েই সরে যেতে হলো শাহিন শাহ আফ্রিদিকে। কারণ, পেসারদের বোলিংয়ের জন্য যথেষ্ট আলো নেই। শেষ বেলায় বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের জন্য চ্যালেঞ্জ তাই ছিল কেবল সাজিদ খান ও নুমান আলির স্পিন। সেখানেও নিদারুণভাবে ব্যর্থ স্বাগতিকরা। বলতে গেলে, লড়াই করার চেষ্টাই করলেন না কেউ। যেন মেতে উঠলেন বাজে শট খেলা আর উইকেট বিলিয়ে আসার উৎসবে। তাতে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে ভীষণ বিপদে মুমিনুল হকের দল।
- দ্বিতীয় নতুন বলে তেমন কোনো প্রভাবই ফেলতে পারলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। আলগা বলে দ্রুত এগিয়ে গেল পাকিস্তান। ফিফটি করলেন মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফাওয়াদ আলম। শতরানের জুটিতে দলকে নিয়ে গেলেন তিনশ রানে।
- মিরপুর টেস্টে সহায়ক কন্ডিশনেও বিবর্ণ বোলিংয়ে সমালোচনার মুখে থাকা সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন দিলেন উন্নতির আভাস। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে লড়াইয়ের ছাপ রাখতে পারলেন এই দুই পেসার। দ্রুত ফিরিয়ে দিলেন আগের দিনের দুই থিতু ব্যাটসম্যান আজহার আলি ও বাবর আজমকে।
- ঘূর্ণিঝড় জোয়াদের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে ভেস্তে গেল বাংলাদেশ পাকিস্তান মিরপুর টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা।
- টস হারটা বাংলাদেশের জন্য হতে পারত আশীর্বাদ। পাকিস্তান আগে ব্যাটিং নেওয়ার পরপরই কন্ডিশন হয়ে গেল অনেকটা পেস সহায়ক। প্রথম দিন খেলা শুরুর আগে থেকেই আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। উইকেটে শুরুর আর্দ্রতা তো ছিলই। দ্বিতীয় দিনে আবহাওয়া পুরোপুরি স্যাঁতস্যাঁতে। কিন্তু কন্ডিশনকে পাশে পেলেই শুধু হয় না, কাজে লাগাতেও জানতে হয়! এখানেই পুরোপুরি ব্যর্থ বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ।
- অনুশীলন করে ইনডোর থেকে ফেরার পথে সেন্টার উইকেটের কাভারে পানি জমে থাকতে দেখে যেন লোভ সামলাতে পারলেন না সাকিব আল হাসান। সুইমিং পুলের মতো করে দুই হাত সামনে এনে দিলেন ডাইভ। গ্যালারিতে বৃষ্টির মধ্যে তখনও অপেক্ষায় থাকা শ খানেক দর্শক পেলেন আনন্দের উপলক্ষ। মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিনের বাকিটা সময় যে হয়ে থাকল কেবলই হতাশার।
- খেলা শুরুর একটু আগে থেকেই আকাশে কালো মেঘের আনাগোনা। প্রথম সেশনেই জ্বলে উঠল ফ্লাড লাইট। রোদ-মেঘের সেই লুকোচুরি চলল দিনজুড়েই। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সেও তেমনই আলো-আঁধারের খেলা। দুই সেশনের চিত্র দুইরকম। শেষ সেশনে খেলাই হলো না আলোকস্বল্পতায়।
- খেলার শুরুর সময় আকাশ খানিকটা মেঘলা। ম্যাচের প্রথম সকালের আর্দ্রতাও খানিকটা থাকার কথা উইকেটে। পেস বোলারদের সহায়তা যা থাকার, ওই সময়টাতেই থাকার কথা সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন ও সৈয়দ খালেদ আহমেদ তা কাজে লাগাতে পারলেন না একটুও। পাকিস্তান পেল ভালো শুরু। সেখান থেকে দারুণ বোলিংয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরালেন তাইজুল ইসলাম।
- জীবন কত দ্রুতই না বদলে যায়! মাস দেড়েক আগেও যদি বলা হতো, পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে টেস্ট খেলবেন মাহমুদুল হাসান জয়, তিনি নিজেও হয়তো হেসে খুন হতেন। সেই মাহমুদুল হাসছেন এখনও। সেটি স্বপ্ন পূরণ হওয়ার হাসি। টেস্ট ক্যাপ পাওয়ার উচ্ছ্বাস। এই শরৎ থেকে হেমন্ত পর্যন্ত প্রকৃতির যে বদল, তার চেয়েও বেশি বদলে গেল তার জগৎ।
- টস জিতেছেন বাবর আজম-ধারাভাষ্যকার আতহার আলি বলা মাত্র পাকিস্তান অধিনায়কের মুখ থেকে বেরিয়ে এলো, ‘থ্যাঙ্কস গড।’ উইকেট দেখেই তিনি বুঝে গিয়েছিলেন, এখানে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিং কতটা কঠিন হতে পারে। টস হারায় সেই কাজটা করতে হতে পারে বাংলাদেশের। স্বাভাবিকভাবেই তারা যত দ্রুত সম্ভব সফরকারীদের থামিয়ে দিতে চান। তাইজুল ইসলাম দ্রুত দুটি উইকেট নিলেও আজহার আলিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েছেন বাবর।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দিয়ে শুরু হওয়া দুর্দশা যেন কাটছেই না। মধ্যপ্রাচ্য থেকে দুঃসময়ের হাওয়া নাড়িয়ে দিচ্ছে দেশের মাঠও। যেখানে সহজে কোনো সিরিজ হারে না বাংলাদেশ, সেখানেই এখন দুই সংস্করণে হোয়াইটওয়াশড হওয়ার শঙ্কা। বিব্রতকর এই অভিজ্ঞতা এড়াতে তেতে থাকা বাংলাদেশের সামনে অপেক্ষায় সামর্থ্য, স্কিল ও দৃঢ়তার আরেকটি কঠিন পরীক্ষা।
- দুজনের বোলিংয়ের পার্থক্য অনেক। তবে তাদের মনের মিল অনেক। পারস্পরিক বোঝাপড়া দারুণ। শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলির সেই রসায়নে ম্যাচের পর ম্যাচ পুড়ছে প্রতিপক্ষের টপ অর্ডার। বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারও ছারখার হয়েছে এই দুজনের আগুনে। এবার দুজন প্রস্তুত একসঙ্গে আরও একটি ম্যাচে জ্বলে উঠতে।
- চট্টগ্রাম টেস্ট দেখে মনে হয়েছে, বাংলাদেশের টপ অর্ডারকে আউট করার চেয়ে সহজ কাজ টেস্ট ক্রিকেটে কমই আছে। অনায়াসেই ধরা দিয়েছে উইকেট। তবে সেরা উইকেট শিকারীদের একজন, শাহিন শাহ আফ্রিদি অবশ্য আপত্তিই করছেন এতে। পাকিস্তানের ফাস্ট বোলালের মতে, কাজটি মোটেও সহজ ছিল না।
- দুই হাতে টেপ পেঁচানো এখনও। ক্ষত তাই মুছে যায়নি বলেই ধারণা করে নেওয়া যায়। তাসকিন আহমেদের বোলিং দেখে অবশ্য তা বোঝার উপায় নেই। মিরপুরে ইনডোরের পাশের নেটে আগুন ঝরালেন তিনি। নাজমুল হোসেন শান্তকে অস্বস্তিতে ফেললেন বারবার। তবে নেট আর ম্যাচের বাস্তবতা তো এক নয়। এজন্যই প্রশ্নটি উঠছে, মিরপুর টেস্টে খেলতে কতটা তৈরি তাসকিন।
- গত দেড় দশকে বাংলাদেশ অধিনায়কদের মধ্যে একটি চ্যালেঞ্জ অন্য যে কারো চেয়ে বেশি সামলাতে হয়েছে মুমিনুল হককে। আশি শতাংশ ম্যাচে তাকে একাদশ সাজাতে হয়েছে বাঁহাতি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ছাড়াই। অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার ফেরায় এবার দারুণ কিছুর সম্ভাবনা দেখছেন মুমিনুল। দলে শক্তি বাড়ায় ও সঠিক ভারসাম্য ফিরে পাওয়ায় পাকিস্তানের বিপক্ষে অধরা জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট অধিনায়ক।
- প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে মোহাম্মদ নাঈম শেখের যা রেকর্ড, তাতে টেস্ট দলের দৃষ্টি সীমানাতেও ছিলেন না বাঁহাতি এই ওপেনার। বিস্ময়করভাবে তার দলে আসা নিয়ে সমালোচনার মধ্যে একটা ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন। এবার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, কিসের ভিত্তিতে অভাবনীয় ডাক পেয়েছেন নাঈম।
- মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটকে অনেক সময়ই মজা করে ‘ধানক্ষেত’ বলা হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সেই কথা এবার উঠে এলো মুমিনুল হকের কণ্ঠে। উইকেটের আচরণ যেমনই হোক, সেটিকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করানোর সুযোগ দেখেন না বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। তার মতে, ধানক্ষেতে ম্যাচ হলেও খেলতে হবে ভালো।
- বাংলাদেশ-পাকিস্তান মিরপুর টেস্টের টিকিটের সর্বনিম্ন মূল্য ৫০ টাকা। মিরপুর ১০ নম্বরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের বুথে শুক্রবার থেকে শুরু টিকিট বিক্রি। টেস্ট ম্যাচটি শুরু শনিবার।
- নিজেকে নিয়ে ছিল ভয়। মনে চেপে বসেছিল শঙ্কা, না জানি কী হয়! শুধু নিজের বেদনায় বুঁদ থাকার উপায়ও নেই। দলের বিপর্যয়ের কষ্টও সঙ্গী হলো। হেলমেটে বলের আঘাতে মাঠ ছাড়ার পর সব মিলিয়ে মিশ্র একটা অনুভূতির ঢেউয়ে দোল খাচ্ছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। সময়ের সঙ্গে সব সামলে নিয়েছেন। চট্টগ্রাম টেস্টে অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান এখন তাকিয়ে মিরপুর টেস্টের চ্যালেঞ্জে।
- স্পিনারের বল সুইপ করতে চাইলেন সাকিব আল হাসান। ব্যাটে খেলতে পারলেন না, বল লাগল প্যাডে। তার হতাশার যে চিৎকার, শোনা গেল বেশ দূর থেকেও। পরে একজন পেসারের বলে করতে চাইলেন রিভার্স হিট, ব্যর্থ হয়ে সজোরে ব্যাট দিয়ে মারলেন নিজের প্যাডে। তবে এমন মুহূর্ত অবশ্য কমই এলো। নেটে যেভাবে চাইলেন, বেশির ভাগ শট সেভাবেই খেলতে পারলেন সাকিব। একার অনুশীলন দিয়ে শুরু হলো বাঁহাতি এই অলরাউন্ডারের টেস্টে ফেরার লড়াই।
- পারফরম্যান্স ও পারিপার্শ্বিকতা, কোনো দিক থেকেই টেস্ট দলের কাছাকাছি ছিলেন না মোহাম্মদ নাঈম শেখ। সেই তিনিই এখন বাংলাদেশের টেস্ট দলের সদস্য। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের দলে তার জায়গা পাওয়া জন্ম দিচ্ছে অনেক প্রশ্ন ও বিস্ময়ের। দল ঘোষণার পরদিন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীনের কাছ থেকে জানা গেল নাঈমকে নেওয়ার কারণ।
- চট্টগ্রামে প্রথম নতুন বলে কোনো ইনিংসেই উইকেট পায়নি বাংলাদেশ। দুবারই পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি দলকে এনে দেয় ভালো শুরু। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন ফিল্ডিং কোচ মিজানুর রহমান বাবুলের ধারণা, মিরপুর টেস্টে তাসকিন আহমেদ ফিরলে বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারবে নতুন বল। এই কোচ মুখিয়ে আছেন দুই গতিময় পেসার তাসকিন ও ইবাদত হোসেনের জুটি দেখতে।
- ব্যাটে নেই রান, টেকনিকের ঘাটতিও প্রকাশ্য। সব মিলিয়ে একাদশে জায়গা এমনিতেই নড়বড়ে হয়ে গিয়েছিল সাইফ হাসানের। সঙ্গে যোগ হলো টাইফয়েড। পাকিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে তাই খেলা হচ্ছে না এই ওপেনারের। মিরপুর টেস্টের আগে তাই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় প্রশ্ন, সাদমান ইসলামের উদ্বোধনী জুটি সঙ্গী কে?
- বাংলাদেশ যেমন ঘনবসতিপূর্ণ দেশ, বাংলাদেশ ক্রিকেট দলেরও এখন একই অবস্থা। পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের বাংলাদেশ স্কোয়াডে রাখা হয়েছে ২০ জনকে! আলোচনা-সমালোচনার ঝড়ও উঠেছে প্রবল। তবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়েছেন, শুধু এই টেস্ট নয়, নিউ জিল্যান্ড সফরকেও ভাবনায় রাখতে হয়েছে বলেই এত বড় স্কোয়াড।
- চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে হাসান আলি ও দ্বিতীয় ইনিংসে শাহিন শাহ আফ্রিদির তোপে এলোমেলো হয়ে যায় বাংলাদেশের ব্যাটিং। পাকিস্তানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়েছেন এই দুই পেসার। দুইজনেই আইসিসি টেস্ট বোলারদের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা স্থানে।
- চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসেই দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন লিটন কুমার দাস। সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ফিফটি। ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের ছাপ পড়ল তার র্যাঙ্কিংয়ে। আইসিসি টেস্ট ব্যাটসম্যানদের তালিকায় বড় লাফ দিলেন বাংলাদেশের কিপার-ব্যাটসম্যান।
- ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি, দলের বিপর্যয়ে নেমে আগুনে বোলিংয়ের বিপক্ষে কী অসাধারণ এক ইনিংস লিটন দাসের! তাইজুল ইসলামও কম যান না। ধ্রুপদী বাঁহাতি স্পিনের অনুপম প্রদর্শনী। পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেরা বোলিংয়ের কীর্তি। লিটন ও তাইজুল চট্টগ্রাম টেস্টকে ভুলবেন না কখনোই। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেট কি মনে রাখবে? বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে আলাদা কোনো জায়গা নিশ্চিতভাবেই থাকবে না এই টেস্টের।
- চট্টগ্রাম টেস্ট হারার দিনে পরের টেস্টের জন্য সুখবর পেল বাংলাদেশ দল। চোট কাটিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টে দলে ফিরলেন সাকিব আল হাসান ও তাসকিন আহমেদ। এই সংস্করণে দলে প্রথমবার ডাক পেলেন টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
- চট্টগ্রামে আগের টেস্টে সেঞ্চুরি করেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও মুমিনুল হক। এবার সেঞ্চুরি করলেন লিটন দাস, ইনিংসে ৭ উইকেট নিলেন তাইজুল ইসলাম। তবে দুই ম্যাচেই ফল একই-হার। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে বাংলাদেশের ক্রিকেটে এমন চিত্র দেখে আসা মুমিনুল মনে করেন, বিক্ষিপ্ত এসব ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সে ফলাফলের দিক থেকে বাংলাদেশের সত্যিকারের কোনো লাভ হয় না। টেস্ট অধিনায়কের মতে, দলীয় সাফল্যেই কেবল অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে এসব অবদান।
- যেখানে প্রয়োজন ভিত গড়া, সেখানেই শুরু হয় ভেঙে পড়া! চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসেই স্রেফ বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশের টপ অর্ডার। মুমিনুল হকের মতে, বাংলাদেশের সম্ভাবনাও মুখ থুবড়ে পড়েছে সেখানেই। তিনি নিজে ব্যাট করেছেন চার নম্বরে। তবে ব্যর্থতার দায় বাংলাদেশ অধিনায়ক সবচেয়ে বেশি দিচ্ছেন নিজেকেই।
- হেরে গেলেও চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট পছন্দ হয়েছে মুমিনুল হকের। বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, এমন উইকেটেই খেলতে চান তিনি। যেখানে ব্যাটসম্যানদের জন্য থাকবে সহায়তা।
- ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক বারবারই বললেন, চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট ছিল ব্যাটিং সহায়ক। সেই ২২ গজেও ঠিকই আগুন ঝরা বোলিং উপহার দেন শাহিন শাহ আফ্রিদি ও হাসান আলি। বাংলাদেশের দুই পেসার ইবাদত হোসেন চৌধুরি ও আবু জায়েদ চৌধুরি স্কিল ও কার্যকারিতায় ছিলেন না পাকিস্তানি পেসারদের সঙ্গে তুলনায় আসার মতোও। মুমিনুলের মতে, পেস আক্রমণে দুই দলের এই আকাশ-পাতাল ব্যবধান শুধু স্কিলে নয়, মানসিকতায়ও।
- দেশের বাইরে আগের সিরিজ মোটেও ভালো কাটেনি। চার ইনিংসে একবারও যেতে পারেননি ৪০ পর্যন্ত। সে কারণেই হয়তো বাংলাদেশ সফরের আগে মোহাম্মদ ইউসুফের শরণাপন্ন হন আবিদ আলি। পাকিস্তানের ব্যাটিং গ্রেটের সঙ্গে কাজ করেন লাহোরের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে (এনসিএ)। চট্টগ্রাম টেস্টে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতার পর আবিদ বললেন, তার এই পারফরম্যান্সের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করার আত্মবিশ্বাস ও ইউসুফের সঙ্গে ওই সেশনগুলোর।
- চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে যখন বাঁহাতি স্পিনের মুন্সিয়ানা মেলে ধরেন তাইজুল ইসলাম, তা মন কেড়ে নেয়ে প্রতিপক্ষ ড্রেসিং রুমে থাকা একজনের। পাকিস্তানের কোচ ও স্পিন গ্রেট সাকলায়েন মুশতাক মোহিত বাংলাদেশের বাঁহাতি স্পিনারের বোলিংয়ে। তবে তাইজুলের জন্য তার পরামর্শ, যোগ করতে হবে আরও বৈচিত্র।
- হারার আয়োজন আগের দিনই করে ফেলেছিল বাংলাদেশ। শেষ দিনে হারার আগে হলো একটু লড়াই। নিষ্প্রাণ ম্যাচে প্রাণের সঞ্চার হলো সামান্য। তবে স্রেফ ওইটুকুই। ম্যাচের ফল নিয়ে সংশয় জাগল না এক মুহূর্তের জন্যও। কোচ রাসেল ডমিঙ্গোর অভাবনীয় কিছুর আশা উড়ে গেল হাওয়ায়। সহজ জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল পাকিস্তান।
- অভাবনীয় কিছুর আশা নিয়ে নামলেও তেমন কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ। পঞ্চম ও শেষ দিনের প্রথম সেশনেই ম্যাচ শেষ করে দিয়েছে পাকিস্তান। ২০২ রানের লক্ষ্য কেবল দুই ওপেরকে হারিয়েই ছুঁয়ে ফেলেছে বাবর আজমের দল।
- ভালো পর্যায়ে থাকা একটি দলকে নতুন উচ্চতায় তুলে নেওয়া একরকম চ্যালেঞ্জ। তলানিতে থাকা দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করা আরেক চ্যালেঞ্জ। রাসেল ডমিঙ্গো এখন তা অনুভব করতে পারছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কোচের দায়িত্বে বেশ কিছু সাফল্য সঙ্গী হয়েছে তার। বাংলাদেশে এসে তার উপলব্ধি, দলটা জিততেই জানে না!
- ৬ ম্যাচের ছোট্ট ক্যারিয়ার। এর মধ্যেই তুমুল আলোচিত সাইফ হাসান। তবে সেই আলোচনায় আশার ছবি খুব একটা নেই। আছে সমালোচনা, বেশির ভাগই তার টেকনিক নিয়ে। বলা ভালো, টেকনিকের ঘাটতি নিয়ে। রাসেল ডমিঙ্গোর মতে অবশ্য, সামর্থ্যের ছাপ কিছুটা রাখতে পেরেছেন সাইফ। তবে ঘাটতিগুলোও যে প্রকাশ্য হয়েছে, তা অকপটে বললেন বাংলাদেশ কোচ।
- শেষ দিনে পাকিস্তানের প্রয়োজন কেবল ৯৩ রান। দুই ওপেনার ফিফটি করে অপরাজিত। ম্যাচ পরিষ্কারভাবেই তাদের দিকে হেলে। তবে এখনই আশা ছাড়ছেন না রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ কোচ তাকিয়ে আছেন অভাবনীয় কিছুর দিকে।
- স্রেফ একটি শট হয়তো একটি দিন বা একটি ম্যাচের নিয়ামক হয় না। তবে দিনের বা ম্যাচের ভাগ্য গড়ায় অনেক সময় তা হয়ে ওঠে বড় প্রভাবক। নুরুল হাসান সোহানের শট যেমন! তার শটটি যেন এক ঝটকায় ম্যাচ থেকে ছিটকে দিয়েছে বাংলাদেশকে। তা দেখে হতাশ বাংলাদেশ কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও। তবে তার বিশ্বাস, এমন ভুল আর করবেন না সোহান।
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম চক্রে প্রাপ্তি ছিল কেবল একটি ড্র। দেশের মাটিতে ডুবতে হয়েছিল খর্ব শক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোয়াইওয়াশ হওয়ার হতাশায়। এত সব আঁধারের মধ্যে রাসেল ডমিঙ্গোর চোখে আলোর রেখা লিটন কুমার দাসের ব্যাটিং। এই কিপার-ব্যাটসম্যানের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশ কোচ এতটাই খুশি যে, আগামী এক বছরের মধ্যে তাকে চার কিংবা পাঁচে খেলানোর কথা ভাবছেন।
- একটি বলের লাইন পড়তে গড়বড়। একটু দুর্ভাগ্যের থাবা। এক মুহূর্তের খামখেয়ালিপনা। চতুর্থ দিনের ওই তিনটি মুহূর্তেই যেন লেখা হয়ে গেল চট্টগ্রাম টেস্টের চূড়ান্ত ভাগ্য। টুকরো তিনটি ছবিতে এক সুতোয় গাঁথা হয়ে গেল বাংলাদেশের ব্যাটিং ব্যর্থতা। হতাশার দিনে বোলিংও নিষ্প্রভ ভীষণরকম। সবকিছু মিলিয়ে পরাজয় এখন দাঁড়িয়ে দুয়ারে।
- হেলমেটে বল লাগার পর মাঠ ছেড়ে যাওয়া ইয়াসির আলি চৌধুরি রক্ষা পেলেন খারাপ কিছুর শঙ্কা থেকে। সিটি স্ক্যানে কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি তার। ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যানের অবস্থা ‘স্থিতিশীল’ বলেও বিবৃতিতে জানিয়েছে বিসিবি।
- প্রথম সেশনের প্রতিরোধ দ্বিতীয় সেশনে হয়ে গেল যেন বালির বাঁধ। নুরুল হাসান সোহানের আত্মঘাতী শটের পর হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ইনিংসের বাকিটা। লাঞ্চের পর ৪ রানের মধ্যে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
- দিনের প্রথম বলে বাউন্ডারি, তৃতীয় বলে স্টাম্পের ডিগবাজি। এরপর দারুণ কিছু শট এবং ফাঁকে স্টাম্পিংয়ের সুযোগ হাতছাড়া। হেলমেটে বল লাগার পর ইয়াসির আলি চৌধুরির মাঠ ছাড়া। লিটন কুমার দাসের লড়াই। সব মিলিয়ে প্রথম সেশনেই অনেক ঘটনার ঘনঘটা।
- ঘরের মাঠে অভিষেক ম্যাচ রাঙিয়ে তোলার আয়োজন করছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি। এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি দারুণ ব্যাটিংয়ে। কিন্তু তাকে থামতে হলো শাহিন শাহ আফ্রিদির শর্ট বলে। হেলমেটে বল লাগায় মাঠ ছাড়ার পর স্ক্যান করতে নেওয়া হচ্ছে এই ব্যাটসম্যানকে। তার কনকাশন বদলি হিসেবে নেওয়া হয়েছে নুরুল হাসান সোহানকে।
- লাঞ্চের পর ব্যাটিংয়ে দিক হারানো বাংলাদেশ বোলিংয়েও ভালো করতে পারেনি। ৩৩ ওভারে ভাঙতে পারেনি পাকিস্তানের শুরুর জুটি। অর্ধেকর বেশি কাজ সেরে ফেলেছেন আবিদ আলি ও আব্দুল্লাহ শফিক। দুই ব্যাটসম্যানই অপরাজিত পঞ্চাশ ছুঁয়ে। পঞ্চম দিনে অভাবনীয় কিছু ছাড়া বাংলাদেশের জয় প্রায় অসাধ্য।
- প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ভাগেও ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। তাইজুল ইসলামের নৈপুণ্যে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে যদিও লিড পেয়েছে তারাই। তবে দলটি ইনজামাম-উল-হকের চোখে একদমই সাধারণ মানের। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক তো সরাসরি বলে দিলেন, ব্যাটিং-বোলিং কোনোটাই তেমন ভালো নয় বাংলাদেশ দলের।
- সব ঠিক থাকলে চট্টগ্রাম টেস্টের পুরোটা সময় দলের সঙ্গেই থাকতেন ভার্নন ফিল্যান্ডার। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তার ঠেকাতে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করায় আগেভাগেই দক্ষিণ আফ্রিকায় ফিরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের এই বোলিং পরামর্শক।
- প্রথম চার ব্যাটসম্যানের বিদায় হয়ে গেছে ঝটপট। প্রতিপক্ষের বোলাররাও তেতে আছে। সেই দলের জন্য পুরো একটি দিন ব্যাট করা ভীষণ কঠিন। সেটিও আবার চতুর্থ দিনের উইকেটে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের সেই চ্যালেঞ্জেই জয়ী দেখতে চান সোহেল ইসলাম। দলের স্পিন বোলিং কোচের বিশ্বাস, সারাদিন ব্যাট করতে পারলেই ফল আসবে পক্ষে।
- মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটে রাজা। মিরপুরের বাইরে গেলেই অপেক্ষা সাজা। বেশির ভাগ সময়ই বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণের বাস্তবতা এটি। প্রতিকূল উইকেটে প্রাণের সঞ্চার করার গবেষণা তাই বেশ কয়েক মাস ধরেই চলছিল বাংলাদেশের স্পিনারদের নিয়ে। স্পিন কোচ সোহেল ইসলাম বললেন, দীর্ঘদিনের সেই চেষ্টার ফল চট্টগ্রামের ২২ গজে তাইজুলের ৭ উইকেট।
- উইকেটে স্পিনারদের জন্য সহায়তা ক্রমেই বাড়ছে। রান তোলা হয়ে যাচ্ছে কঠিন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে উইকেটে বাড়বে চিড়। দুরূহ পরিস্থিতিতে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাটিংয়ের কথা মাথায় রেখে, বাংলাদেশকে যত কম রানে সম্ভব থামানোর পরিকল্পনা আঁটছে পাকিস্তান।
- দিনের শুরুটা বাংলাদেশের জন্য ছিল অভাবনীয় আনন্দে ভরা। শেষটা এলো সেই চেনা বিষাদ নিয়ে। আবারও টপ অর্ডারের ব্যর্থতা। আরেকটি ব্যাটিং বিপর্যয়। আরেকবার ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে দাঁড়ানোর লড়াই। তাইজুল ইসলাম ও অন্য বোলারদের সৌজন্যে পাওয়া উচ্ছ্বাস মিলিয়ে গেল হতাশাজনক ব্যাটিংয়ে।
- আপনার হয়তো মনে নেই, সবশেষ টেস্টেই ৫ উইকেট আছে তাইজুল ইসলামের। কারণ, আপনার হয়তো মনেই নেই, সবশেষ টেস্ট তিনি কবে খেলেছেন! তাইজুলদের তাই ম্যাচপ্রতি পারফরম্যান্স দিয়েই জানান দিতে হয় নিজেদের উপস্থিতি। যেমন তিনি জানালেন আরেকবার।
- দিনের শুরুতে সামনে ছিল যেন ‘দুর্গম গিরি কান্তার মরু।’ তাইজুল ইসলামের বাঁ হাতে চড়ে বাংলাদেশ তা দোর্দণ্ড প্রতাপে পার হয়ে গেল দুই সেশনেই। কোনো উইকেট না হারিয়ে ১৪৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা পাকিস্তান এ দিন সব উইকেট হারিয়ে যোগ করতে পারল না আর ১৪৫ রানও। তাইজুলের রেকর্ড গড়া বোলিংয়ে বাংলাদেশ পেল লিড।
- উইকেটে সহায়তা খুব বেশি নেই। তবে লাইন-লেংথ, ফ্লাইট আর গতি বৈচিত্র তো নিজের হাতে। অভিজ্ঞতা আর স্কিলের ঝুলি থেকে যেন সবই বের করলেন তাইজুল ইসলাম। এই বাঁহাতি স্পিনারের অসাধারণ বোলিংয়ে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরল বাংলাদেশ।
- ব্যাটিং ও বোলিংয়ে চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় দিন ভীষণ বাজে কেটেছে বাংলাদেশের। প্রথম দিনের ২৫৪ রানের সঙ্গে আর ৭৭ রান যোগ করেই শেষ ৬ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। প্রথম ইনিংসে তাদের ৩৩০ রানে থামিয়ে পাকিস্তান দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বিনা উইকেটে ১৪৫ রানে। সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে আছেন আবিদ আলি। ৫২ রানে খেলছেন অভিষিক্ত আব্দুল্লাহ শফিক। ছবি: সুমন বাবু
- ব্যাটিংয়ের জন্য চট্টগ্রাম টেস্টের উইকেট এখনও ভালো। তবে এরই মধ্যে মিলতে শুরু করেছে স্পিনারদের জন্য সহায়তা। পাকিস্তানের দুই ওপেনারের সাবলীল ব্যাটিং দেখে অবশ্য সেটা বোঝা গেছে কমই। আবিদ আলি জানালেন, ধৈর্য্যের পরীক্ষায় জিতে এমন ব্যাটিং করেছেন তারা।
- কী ভীষণ কঠিন পরিস্থিতেই না ছিলেন লিটন দাস। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি সুযোগ হাতছাড়া করে রীতিমত খলনায়ক হয়ে গিয়েছিলেন। ব্যাটেও ছিল না রান। সব মিলিয়ে কাটছিল ভীষণ অস্বস্তিকর সময়। দুঃসময়ের প্রহর পেরিয়ে দারুণ সেঞ্চুরির পর লিটনের উপলব্ধি, পূরণ হয়েছে বড় চাওয়া, পেরিয়ে এসেছেন কঠিন সময়।
- ম্যাচের পরিস্থিতিতে আশার ছবি খুব একটা নেই বাংলাদেশের জন্য। তবে ম্যাচের ফেলে আসা পথ থেকে প্রেরণার উপকরণ খুঁজে নিচ্ছেন লিটন দাস। বাংলাদেশ যেভাবে বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগিয়েও গুটিয়ে গেছে এক সেশনে, পাকিস্তানের ইনিংসও সেভাবে ভেঙে পড়তে পারে!
- ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স বলেছিলেন স্টান্সে একটু বদল আনার কথা। লিটন দাস সেটি উল্লেখ করে কৃতিত্ব দিলেন বিকেএসপির কোচদেরও। তবে মাঠে কাজটা তো স্বয়ং লিটনকেই করতে হয়েছে! পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর এই ব্যাটসম্যান বললেন, অনেক ঘাম ও শ্রমের ফসল এই ইনিংস।
- ৫৭ ওভার বোলিংয়ে কেবল একটি সুযোগই তৈরি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত করা, বল প্যাডে লাগা এবং ইমপ্যাক্ট-লাইন, সবই ছিল ঠিকঠাক। আম্পায়ার আউট না দেওয়ার পর প্রয়োজন ছিল রিভিউ নেওয়া। সেটিই করতে পারেনি বাংলাদেশ। দিনের খেলা শেষে লিটন দাস জানালেন রিভিউ না নেওয়ার কারণ।
- উইকেটে বোলারদের জন্য নেই প্রায় কিছুই। বোলারদের অস্ত্র ভাণ্ডারেও নেই এই উইকেটের জন্য কিছু। না আছে ধার, না আছে ব্যাটসম্যানদের ভড়কে দেওয়ার বৈচিত্র। সবকিছুর যোগফল, হতাশার পর হতাশা। প্রথম সেশনে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশের ব্যাটিং। পরের দুই সেশনে সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারলেন না বোলাররা।
- নতুন বল আর দিনের শুরুতে খানিকটা আর্দ্র উইকেট। চ্যালেঞ্জ বলতে ছিল এটুকুই। এরপরই অপেক্ষায় সম্ভাব্য ব্যাটিং স্বর্গ। কিন্তু শুরুর এক ঘণ্টার সেই প্রতিকূল পথটুকু পেরিয়ে সম্ভাবনার পরের ধাপে যাওয়া হলো না বাংলাদেশের। হাসান আলি ও পাকিস্তানের অন্য পেসারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রথম সেশনেই শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস।
- হাতছানি ছিল দুটি মাইলফলকের। খুব কাছে গিয়েও ধরা দিল না একটিও। উল্টো সঙ্গী হলো অনাকাঙ্ক্ষিত এক রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশিবার ‘নার্ভাস নাইন্টিজ’-এ আটকা পড়ার রেকর্ড এখন মুশফিকুর রহিমের।
- আগের দিন স্বপ্নের মতো দুটি সেশন কাটনো বাংলাদেশের জন্য ভীষণ হতাশার হয়ে থাকল দ্বিতীয় দিন। ব্যাটিংয়ে প্রথম সেশনেই হারাল শেষ ৬ উইকেট। বোলিংয়ে দুই সেশন মিলিয়েও নেওয়া গেল না একটি উইকেট। স্বাগতিকদের হতাশায় ডুবিয়ে দিনটা নিজেদের করে নিল পাকিস্তান।
- দিনের শুরুটা হয় দুঃস্বপ্নের মতো, তবে শেষটা হয়েছে যেন স্বপ্নময়। লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন দারুণ কেটেছে বাংলাদেশের। ৪৯ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর আর কোনো উইকেট না হারিয়ে শেষ করেছে দিন, রান ২৫৩। প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিতে ১১৩ রানে খেলছেন লিটন, ৮২ রানে অপরাজিত মুশফিক। পঞ্চম উইকেটে তাদের অবিচ্ছিন্ন জুটি ২০৪ রানের। ছবি: সুমন বাবু।
- দলের বিপর্যয়ে নেমে দুর্দান্ত সেঞ্চুরির পর লিটন কুমার দাসের চর্চা চারপাশে। সেই স্তুতির জোয়ারে অন্য সবকিছুই প্রায় ভেসে যাওয়ার জোগাড়। তবে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স মনে করিয়ে দিলেন, মুশফিকুর রহিমের ইনিংসটিও মহামূল্য!
- তুমুল প্রতিভাবান, কিন্তু চরম অধরাবাহিক। বাংলাদেশের ক্রিকেটে লিটন দাসের পরিচয় এক লাইনে বলতে গেলে এমনই। নিজের জাত তিনি নানা সময় দেখিয়েছেন। তবে সেই দিনগুলি এত লম্বা বিরতির পর আসে যে অনেকেই তা ভুলে যান। তেমন একটি দিন এলো আবার। যে দিনের শেষে বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ অ্যাশওয়েল প্রিন্স বললেন, লিটনের জাত নিয়ে আর কারও সংশয় থাকার কথা নয়।
- লিটন দাস তাহলে হাসতেও পারেন! যদিও এক চিলতে, কিছুক্ষণ তবু ঝুলে রইল তার মুখে। একটু আগেই একটা সিঙ্গেল নিতে শেষ মুহূর্তে এমনভাবে ঝাঁপালেন, যেন ওই এক রানেই বেঁচে থাকা, না পারলেই মরন। এরপর মাঠেই পড়ে রইলেন কিছুক্ষণ। ব্যথা পেলেন না তো? হয়তো সুখের মতো কোনো ব্যথা। উঠে দাঁড়াতেই দেখা গেল ঠোঁটের কোণে সেই হাসির ঝিলিক।
- প্রথম সেশনে ৫৮ মিনিটের মধ্যেই আউট প্রথম চার ব্যাটসম্যান। এমন ধসের পর প্রায়ই আর ম্যাচে ফিরতে পারে না বাংলাদেশ। এবার পারল তারা। যাদের ব্যাটে স্বাগতিকরা বাজে শুরুর পরও প্রথম দিনটা নিজেদের করে নিল, সেই লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিমের খেলায় মুগ্ধ পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি।
- একজন খেলছেন সেঞ্চুরি পেরিয়ে, আরেকজন কাছেই দাঁড়িয়ে। বিশেষজ্ঞ একজন ব্যাটসম্যান এখনও বাইরে। ব্যাটিংটা ভালোই পারেন এমন দুই জন অপেক্ষায়। তাই আর একশ রানের ভেতর বাংলাদেশকে গুটিয়ে দেওয়া সহজ নয়। তবে সঠিক জায়গায় বোলিং করে প্রতিপক্ষকে সাড়ে তিনশর আগে আটকানোর ব্যাপারে আশাবাদী পাকিস্তানের পেসার হাসান আলি।
- দিনের খেলা শেষ হতেই বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুম থেকে বেরিয়ে সবাই দাঁড়িয়ে সিড়িতে আর পথে। লিটন কুমার দাস ও মুশফিকুর রহিমকে বরণ করে নেওয়ার অপেক্ষা। তবে শুভেচ্ছা-অভিনন্দন মাঠেই যথেষ্ট পেয়ে গেলেন তারা। পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের মুগ্ধতা প্রকাশ পেল করতালিতে। হাসান আলি গিয়ে আলিঙ্গনে জড়ালেন লিটনকে। প্রতিপক্ষের কাছ থেকে এমন বাহবা আর সম্মান আদায় করে নেওয়াই বলে দেয়, এটা বিশেষ কিছু!
- ১৪ রান করতে পারা মানে পায়ের নিচে একটু জমিন পাওয়া। শুরুটা ঠিকঠাক করতে পারা। স্নায়ু একটু থিতু হওয়া। সামনে এগোনোর ভিত পাওয়া। কিন্তু বাংলাদেশের টপ অর্ডার এটিকেই বানিয়ে ফেলল চূড়ান্ত সীমানা! প্রথম তিন ব্যাটসম্যানই আউট হলেন ১৪ রান করে। তাতে লাঞ্চের আগেই নড়বড়ে বাংলাদেশ।
- ড্রেসিং রুমের ঠিক সামনে মাঠে একটা বৃত্ত। গোল হয়ে দাঁড়িয়ে ক্রিকেটাররা। সেটির মাঝখানে একজনের স্বপ্নপূরণ। বহু দিন ধরে বহু পথ ঘুরে যে মুহূর্তটির প্রতীক্ষায় ছিলেন ইয়াসির আলি চৌধুরি, সেই ক্ষণ অবশেষে এলো। অবসান হলো তার দীর্ঘ অপেক্ষার।
- টি-টোয়েন্টিতে টানা ব্যর্থতায় অস্বস্তিকর এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রাম টেস্ট ব্যাটিংয়ে নেমে দ্রুত ৪ উইকেট হারিয়ে মনে হচ্ছিল সংস্করণ বদলালেও ব্যর্থতার চক্রেই বন্দি তারা। তবে দুইশ রানের অসাধারণ জুটিতে পাকিস্তানের বিপক্ষ প্রথম ইনিংসে পথ দেখালেন লিটন দাস ও মুশফিকুর রহিম। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি ছুঁয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে লিটন। সেঞ্চুরি থেক বেশি দূরে নেই বাংলাদেশের অসংখ্য বিপদের ত্রাতা মুশফিক। দারুণ ব্যাটে টানা দুটি উইকেটশূন্য সেশনে স্বাগতিকরা কাটাল দারুণ দিন।
- টেস্টের আগের দিনই ১২ জনের দল জানিয়ে দিয়েছে পাকিস্তান। সেখান থেকে একাদশ বুঝতেও খুব সমস্যা হয় না। এমনকি উইকেট দেখার অপেক্ষাও তারা করেনি এ দিন। বাংলাদেশ সেখানে উল্টো টেস্টের আগের সন্ধ্যায় স্কোয়াডে যোগ করেছে আরও দুজনকে। স্রেফ এক টেস্টেই এখন দলে ১৭ জনের বিশাল বহর! নিজেদের শক্তি ও পরিকল্পনা নিয়ে পাকিস্তানের স্বচ্ছতা আর বাংলাদেশের ধোঁয়াশায় থাকা যেমন ফুটে উঠছে এতে, তেমনি তুলে ধরছে দুই দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতি, ভাবনা ও আরও অনেক বাস্তবতাও।
- এই বছর লিটন কুমার দাস ভুলে যেতে চাইবেন। বছরটা তিনি ধরে রাখতেও চাইবেন! এ বছর তিনি দেখিয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স। সবচেয়ে বাজে বছরও তার এটিই! আলো-আঁধারের এই খেলা গোলমেলে ঠেকছে তো? সত্যি আসলে দুটি বাস্তবতাই। সাদা পোশাকে এবার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ চূড়ায় পা রেখেছেন লিটন। এবারই তলানিতে আছড়ে পড়েছেন রঙিন পোশাকে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে।
- টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসর কেটেছিল ভীষণ হতাশায়। প্রাপ্তি বলতে ছিল কেবল একটি ড্র। তলানিতে থেকে শেষ করা বাংলাদেশের নজর এবার উন্নতিতে। অধিনায়ক মুমিনুল হক জানালেন, অন্তত ছয় কিংবা সাতে থেকে দ্বিতীয় আসর শেষ করতে চান তারা।
- ম্যাচের আগের দিন উইকেট না দেখেই এক অধিনায়ক বলে দিলেন, ‘টিপিকাল বাংলাদেশ’ উইকেট হবে। আরেক অধিনায়ক, এই মাঠে ব্যাট হাতে নামলেই যিনি রানের জোয়ার বইয়ে দেন, তিনি উইকেট দেখে রায় দিলেন দারুণ ব্যাটিং সহায়ক হিসেবে। বাবর আজম নাকি মুমিনুল হক, জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামের উইকেট শেষ পর্যন্ত সত্যি প্রমাণ করবে কার কথা?
- চোট সমস্যায় দলে নেই এক ঝাঁক ক্রিকেটার। সবার অভাবই অনুভূত হবে। তবে সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালের শূন্যতাই হয়ত বেশি ভোগাবে বাংলাদেশকে। অভিজ্ঞ এই দুই ক্রিকেটারের অনুপস্থিতিতে নিজের ও মুশফিকুর রহিমের বাড়তি দায়িত্ব নিয়ে খেলতে হবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- লোকের মুখে ফুটছে খই। সমালোচনায় মুখর চারপাশ। ধেয়ে আসা সেই কথার ঝড় থেকে নিজেদের সামলাতে মুমিনুল হকের আপাতত দাওয়াই দুটি। কান বন্ধ রেখে বাইরের কথা ভেতরে প্রবেশ করতে না দেওয়া। আর নিজেদের আসল কাজে আরও মনোযোগী হওয়া, মাঠের ক্রিকেটেই নিজেদের নিবদ্ধ রাখা।
- পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগের সন্ধ্যায় বাংলাদেশের স্কোয়াড ১৫ জন থেকে বেড়ে হয়ে গেল ১৭। হুট করেই দলে নেওয়া হলো সৈয়দ খালেদ আহমেদ ও শহিদুল ইসলামকে। প্রস্তুতিতে সহায়তার জন্য এই দুই পেসার দলের সঙ্গেই ছিলেন জৈব-সুরক্ষা বলয়ে। চট্টগ্রামে অনুশীলনও করেছেন দলের সঙ্গে। তাদেরকে এবার যোগ করা হলো মূল স্কোয়াডে।
- টেস্ট ম্যাচ শুরুর সকালে উইকেট দেখে একাদশ ঠিক করা হয় অনেক দলে। পাকিস্তান সেখানে উল্টো। বাংলাদেশের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্ট শুরুর আগের দিনই উইকেট না দেখে তারা ঘোষণা করে দিল ১২ জনের দল। একাদশের সম্ভাব্য ছবিও ফুটে উঠল তাতে।
- বয়সভিত্তিক ক্রিকেট, ঘরোয়া ক্রিকেট ও বাংলাদেশ ইমার্জিং দলে মূলত তিন নম্বর পজিশনেই ব্যাট করেন মাহমুদুল হাসান জয়। সেই তরুণের টেস্ট অভিষেক হয়ে যেতে পারে ওপেনার হিসেবে। এই ভূমিকায় রেখেই তাকে দলে নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক।
- দলের অনুশীলন দুপুর দেড়টায়। মুশফিকুর রহিম মাঠে হাজির দুপুর ১২টায়। হালকা একটু গা গরম করে তিনি নেমে গেলেন নেটে। তিন আর্ম থ্রোয়ারকে নিয়ে আধ ঘণ্টা চলল তার ব্যাটিং অনুশীলন। এরপর মিনিট দুয়েক জিরিয়ে নিয়ে আবার ১৫ মিনিটের মতো হালকা নক আর সুইপ শট ঝালাই করে নিলেন। সকালে মাঠে আসা পাকিস্তানের অনুশীলন তখনও শেষ হয়নি। মোহাম্মদ রিজওয়ান, ফাওয়াদ আলমরা বারবার ফিরে তাকাচ্ছিলেন মুশফিকের দিকে।
- বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু রাখাটাই কষ্টকর হয়ে গেছে: প্রধানমন্ত্রী
- শাস্তি পেল বাংলাদেশ দল
- হোমিও থেকে হেনোলাক্সের ব্যবসাতেই কোটিপতি নুরুল আমিন
- অনেক রদবদলের ওয়ানডে দলে অধিনায়ক ধাওয়ান
- ইতিহাস গড়ে বিশ্বকাপে ইন্দোনেশিয়া
- শ্রীলঙ্কা ‘দেউলিয়া’ হয়ে গেছে: রনিল বিক্রমাসিংহে
- লাইসেন্স ছাড়া মোটরসাইকেল নিবন্ধন আর নয়
- ‘নেইমারকে দলে চাইবে না কোন কোচ?’
- প্রতারকের খপ্পরে পড়ে হজে যাওয়া হচ্ছে না ৩০০ জনের
- সঙ্কট আসতে পারে, প্রস্তুত থাকতে হবে: কাদের
- নূপুর শর্মার ‘শিরশ্ছেদের উসকানি’, আজমীর শরীফের খাদেম গ্রেপ্তার
- এবার লঞ্চে মোটরবাইক তোলা নিষিদ্ধ
- ধর্ম শিক্ষা ছিল, আছে, থাকবে: দীপু মনি
- টিভি সূচি (বুধবার, ০৬ জুলাই ২০২২)
- দেম্বেলে আর আমাদের খেলোয়াড় নয়: লাপোর্তা