বিশ্বকাপ সেরা একাদশে ভারতের কেউ নেই, অধিনায়ক বাবর

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে রান করেছেন বাবর আজম। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক দেখিয়েছেন তার নেতৃত্বগুণও। যদিও শেষ পর্যন্ত ফাইনালে খেলা হয়নি তার দল পাকিস্তানের। তবে আইসিসির বিশ্বকাপ সেরা একাদশের অধিনায়ক হয়েছেন তিনিই।

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Nov 2021, 08:53 AM
Updated : 15 Nov 2021, 10:46 AM

ধারাভাষ্যকার, সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও সাংবাদিকদের নিয়ে গড়া নির্বাচক প্যানেলের মাধ্যমে ২০ ওভারের বৈশ্বিক আসরের সেরা একাদশ সাজানো হয়েছে। যেখানে রাখা হয়নি ভারতের কাউকে।

দুবাইয়ে রোববার অস্ট্রেলিয়া-নিউ জিল্যান্ডের মধ্যকার ফাইনাল দিয়ে পর্দা নেমেছে প্রতিযোগিতাটির সপ্তম আসরের। কিউইদের ৮ উইকেটে হারিয়ে এই সংস্করণের প্রথম বৈশ্বিক শিরোপা ঘরে তুলেছে অস্ট্রেলিয়া।

এরপরই ঘোষিত আইসিসির সেরা একাদশে সর্বোচ্চ তিন জন জায়গা পেয়েছেন চ্যাম্পিয়ন দল অস্ট্রেলিয়া থেকে। ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কার আছেন দুইজন করে। রানার্স-আপ দল নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তান থেকে রাখা হয়েছে একজন করে।

৭ ইনিংসে ৪৮.১৬ গড় ও ১৪৬.৭০ স্ট্রাইক রেটে আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৮৯ রান করেছেন ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনারের ফিফটি তিনটি। যার একটি করেছেন ফাইনালে। ব্যাট হাতে দারুণ পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে টুর্নামেন্ট সেরা ক্রিকেটারও হন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

উদ্বোধনী জুটিতে ওয়ার্নারের সঙ্গী জস বাটলার। একাদশে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বও তার। এবারের বিশ্বকাপে একমাত্র সেঞ্চুরিটি এসেছে ইংলিশ এই ক্রিকেটারের ব্যাট থেকে, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ৬ ইনিংসে ৮৯.৬৬ গড়ে রান করেছেন ২৬৯, স্ট্রাইক রেট ১৫১.১২।

সীমিত ওভারের বিশ্বকাপে এবারই প্রথমবারের মতো বাবরের নেতৃত্বে ভারতকে হারায় পাকিস্তান। সুপার টুয়েলভের সব ম্যাচ জিতে তার দল জায়গা করে নেয় সেমি-ফাইনালে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে বাদ পড়তে হয় শিরোপার লড়াই থেকে।

দল প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারলেও বাবর করেছেন উজ্জ্বল পারফরম্যান্স। ১২৬.২৫ স্ট্রাইক রেট ও ৬০.৬০ গড়ে ৬ ইনিংসে তার রান ৩০৩, ফিফটি চারটি। পাকিস্তানের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে তিনশ রান করলেন তিনি।

মিডল অর্ডারে রাখা হয়েছে শ্রীলঙ্কার চারিথ আসালাঙ্কা, দক্ষিণ আফ্রিকার এইডেন মারক্রাম ও ইংল্যান্ডের মইন আলিকে। মারক্রাম ও মইন অফ স্পিনে বেশ কার্যকর।

লেগ স্পিনার হিসেবে আছেন ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ও অ্যাডাম জ্যাম্পা। লঙ্কান লেগ স্পিনিং অলরাউন্ডার সর্বোচ্চ ১৬ উইকেট নিয়ে গড়েন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়ার রেকর্ড। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেন হ্যাটট্রিকও, এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরের এই কীর্তি গড়া চার বোলারের একজন তিনি। ব্যাট হাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সামর্থ্য দেখান হাসারাঙ্গা।

টুর্নামেন্টের যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি জ্যাম্পা। অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা এনে দেওয়ার পথে বড় অবদান রেখেছেন এই লেগ স্পিনার। ৭ ইনিংসে ওভারপ্রতি ৫.৮১ রান দিয়ে নিয়েছেন ১৩ উইকেট।

১৩ উইকেট নেওয়া নিউ জিল্যান্ডের ট্রেন্ট বোল্ট আছেন প্রত্যাশিতভাবেই। তার সঙ্গে আছেন অস্ট্রেলিয়ার জশ হেইজেলউড ও দক্ষিণ আফ্রিকার আনরিক নরকিয়া। 

আইসিসি বিশ্বকাপ সেরা একাদশ (ব্যাটিং অর্ডার অনুযাযী):

১. ডেভিড ওয়ার্নার (অস্ট্রেলিয়া)- ৪৮.১৬ গড়ে ২৮৯ রান।

২. জস বাটলার (উইকেটরক্ষক, ইংল্যান্ড)- ৮৯.৬৬ গড়ে ২৬৯ রান, ৫ ডিসমিসাল।

৩. বাবর আজম (অধিনায়ক, পাকিস্তান)- ৬০.৬০ গড়ে ৩০৩ রান।

৪. চারিথ আসালাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)- ৪৬.২০ গড়ে ২৩১ রান।

৫. এইডেন মারক্রাম (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ৫৪ গড়ে ১৬২ রান।

৬. মইন আলি (ইংল্যান্ড)- ১৩১.৪২ স্ট্রাইক রেটে ৯২ রান, ১১ গড়ে ৭ উইকেট।

৭. ভানিন্দু হাসারাঙ্গা (শ্রীলঙ্কা)- ৯.৭৫ গড়ে ১৬ উইকেট।

৮. অ্যাডাম জ্যাম্পা (অস্ট্রেলিয়া)- ১২.০৭ গড়ে ১৩ উইকেট।

৯. জশ হেইজেলউড (অস্ট্রেলিয়া)- ১৫.৯০ গড়ে ১১ উইকেট।

১০. ট্রেন্ট বোল্ট (নিউ জিল্যান্ড)- ১৩.৩০ গড়ে ১৩ উইকেট।

১১. আনরিক নরকিয়া (দক্ষিণ আফ্রিকা)- ১১.৫৫ গড়ে ৯ উইকেট।

দ্বাদশ ক্রিকেটার: শাহিন শাহ আফ্রিদি (পাকিস্তান)- ২৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেট।