কিউইদের বিপক্ষে তুমুল লড়াইয়ের অপেক্ষায় অস্ট্রেলিয়া

ক্রিকেটের আঙিনায় সাফল্যের বিচারে নিশ্চিতভাবেই নিউ জিল্যান্ডের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে রাখতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে। তবে লড়াইটা যখন মুখোমুখি তখন আর পুরনো পরিসংখ্যান খুব একটা গুরুত্ব বহন করে না। সেখানে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স বিবেচনায় দল দুটির কোনোটিকে এগিয়ে রাখার উপায়ই নেই। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ তাই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জমজমাট এক লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন।

ক্রীড়া প্রতিবেদকদুবাই থেকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 13 Nov 2021, 07:18 PM
Updated : 13 Nov 2021, 07:27 PM

শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের আগে আসরে দুই দল হেরেছে কেবল একটি করে ম্যাচ। অস্ট্রেলিয়া যাদের বিপক্ষে হেরেছিল সেই ইংল্যান্ডকে সেমি-ফাইনালে থামিয়েছে নিউ জিল্যান্ড। আর কেন উইলিয়ামসনের দলকে হারানো পাকিস্তানকে শেষ চার থেকে বিদায় করেছে অস্ট্রেলিয়া।

তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশের লড়াইয়ের ইতিহাস কয়েক যুগের। সেখানে রোববারের ফাইনাল যোগ করবে নতুন একটি অধ্যায়। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচটি খেলতে উন্মুখ অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক ফিঞ্চ।

“ক্রিকেটে দুই দলের অসাধারণ ঐতিহ্য আছে। স্রেফ ক্রিকেটে নয়, প্রতিবেশী হিসেবে সব পর্যায়েই রয়েছে। চমৎকার একটা সম্পর্ক আছে। আমরা নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রায়ই খেলি। যে সংস্করণেই খেলা হোক, সব সময়ই তুমুল লড়াই হয়।”

“নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা খুবই রোমাঞ্চকর। তাদের অসাধারণ একটি দল আছে আর চমৎকারভাবে এর নেতৃত্ব দিচ্ছে কেন উইলিয়ামসন।…আমার মনে হয়, দুই দল প্রায় একই সমতায়। অসাধারণ একটি ম্যাচ হবে।”

এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে কোনো শিরোপা জিততে না পারলেও বরাবরই এই সব টুর্নামেন্টে ভালো করে নিউ জিল্যান্ড। ওয়ানডেতে সবশেষ চার আসরে অন্তত সেমি-ফাইনালে খেলেছে তারা, গত দুই আসরে হয়েছে রানার্সআপ। ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছেই হেরেছিল তারা।

গতবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ চার থেকে বিদায় নেওয়া নিউ জিল্যান্ড এবার প্রথমবারের মতো উঠেছে প্রতিযোগিতাটির ফাইনালে। গত জুনে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতেছে ভারতকে হারিয়ে। তিন সংস্করণেই দারুণ ধারাবাহিক নিউ জিল্যান্ডকে নিয়ে সতর্ক ফিঞ্চ।

“নিউ জিল্যান্ড গত ছয় বছরে প্রতিটি আইসিসি ইভেন্টের ফাইনালে খেলছে (২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছাড়া)। তিন সংস্করণেই অসাধারণ এক দল। এমন একটি দল তারা, যাদের কখনও হালকাভাবে নেওয়া যাবে না…ওদের বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান আছে, অভিজ্ঞতা আছে।”

“ওদের ড্যারিল মিচেলের মতো ব্যাটসম্যান আছে, যে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। বিস্ফোরক ও উঁচু মানের ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল আছে এবং টপ অর্ডারে আছে উইলিয়ামসনের মতো একজন। ব্যাটিং ও বোলিং দুই বিভাগেই ওদের অনেক ম্যাচ উইনার আছে। ইশ সোধি ও মিচেল স্যান্টনার আগেও নিজেদের সামর্থ্য দেখিয়েছে।”

নিউ জিল্যান্ডের নতুন বলের দুই পেসার ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদিকে সামলানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ ফিঞ্চদের সামনে। অস্ট্রেলিয়া অধিনায়কের মতে, পাওয়ার প্লেতে ব্যাটিং-বোলিং দুই বিভাগেই নিউ জিল্যান্ড এমন অনেক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবে।

“আমার মনে হয়, ব্যাটিং ও বোলিং দুই ক্ষেত্রেই পাওয়ার প্লেতে টুর্নামেন্টে ওরাই সবচেয়ে ভালো করা দল। তাই এটা খুব চ্যালেঞ্জিং হবে।”

“ট্রেন্ট বোল্টের বাঁহাতি সুইং বোলিং সামলানো অবশ্যই চ্যালেঞ্জিং হবে। টিম সাউদি আছে…সে অফ দা সিম ডেলিভারিও দেয় যেগুলো কিছুটা স্লাইড করে। তবে নেটে আমি এখন ভালো ব্যাটিং করছি, ভালো অনুভূতি নিয়েই আগামীকালকের ম্যাচে যাচ্ছি।”

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইটি শুরু হবে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।