অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার নিজেদের কৌশলের বিষয়ে বলতে গিয়ে উদাহরণ টানলেন সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচের কথা। রান রেট বাড়িয়ে নিতে সেদিন যেভাবে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তারা, ফাইনালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও খেলতে চায় সেভাবেই।
সুপার টুয়েলভে গ্রুপ-১ এ পাঁচ ম্যাচের চারটিতে জিতে গ্রুপ রানার্স-আপ হয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
সেমি-ফাইনালে ওঠার পথে খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজটা তারা সেরেছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচে। ওই ম্যাচে মাহমুদউল্লাহর দলকে মাত্র ৭৩ রানে গুটিয়ে দিয়ে স্রেফ ৬.২ ওভারে তা পেরিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ৮ উইকেটের জয়ে রান রেট অনেকটাই বাড়িয়ে নেয় ল্যাঙ্গারের দল। চার ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার সমান ৮ পয়েন্ট পেলেও তাই রান রেটে পিছিয়ে থেকে ছিটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
ফাইনালের আগে নিউ জিল্যান্ডের সংবাদমাধ্যমকে ল্যাঙ্গার বলেন, শিরোপা জিততে হলে ভয়ডরহীন ক্রিকেটের কোনো বিকল্প নেই। সে লক্ষ্যে তিনি অনুপ্রেরণা নিতে চান বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচটি থেকে।
"আমি বলতে চাচ্ছি, এটাকেই (বাংলাদেশের বিপক্ষে দল যেভাবে খেলেছে) ভয়ডরহীন ক্রিকেট বলা হয়। আর আমরা যদি এই টুর্নামেন্ট জিততে চাই, তাহলে বাংলাদেশের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছি সেভাবেই খেলতে হবে আমাদের।"
"তাই আগে বা পরে ব্যাটিং যেটাই করি, ভয়ডরহীন বা আক্রমণাত্মক ব্যাটিংটা গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে।"
টুর্নামেন্টের একমাত্র অপরাজিত দল হিসেবে সেমি-ফাইনালে উঠেছিল পাকিস্তান। তাদের বিপক্ষে এমন জয়ে স্বাভাবিকভাবেই আত্নবিশ্বাস বেড়ে গেছে পাঁচবারের ওয়ানডে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ল্যাঙ্গার বললেন, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে নেওয়ার বিশ্বাস আছে দলের সবার মধ্যে।
"আমাদের মধ্যে এই আত্মবিশ্বাস থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে আগে ব্যাট করি বা বোলিং, যে কোনো পরিস্থিতি থেকে আমরা জিততে পারি। (ফাইনালে) খেলোয়াড়দের এই মানসিকতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে যাচ্ছে। পরিসংখ্যানকে অস্বীকার করা যায় না, কিন্তু আমাদের (জয়ের) মানসিকতা দরকার।"
"দলের সবাই শান্ত আছে। তারা খুব ভালোভাবে প্রস্তুত। তাদের মধ্যে সত্যিকারের আত্মবিশ্বাস রয়েছে এবং এখন দলের আবহটা দারুণ।"
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে রোববার টি-টোয়েন্টিতে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম শিরোপা জেতার জন্য লড়বে দল দুটি। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত আটটায়।