টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক ওয়েড। ১৭ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে তিনিই ম্যাচের সেরা।
অথচ ব্যাট হাতে সময়টা তার ভালো যাচ্ছিল না মোটেও। বিশ্বকাপের আগে বাংলাদেশ সফরে অধিনায়ক হিসেবে এসে দলের মতোই নিজে ব্যর্থ হন চরমভাবে। বিশ্বকাপে দুই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে একটিতে অপরাজিত থাকলেও আরেকটিতে ভালো করেননি। সেমি-ফাইনাল ম্যাচের আগে সব মিলিয়ে এ বছর ১৭ টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে ফিফটি করতে পারেননি একটিও।
ক্যারিয়ারে অনেকবার দলে আসা-যাওয়া করতে হওয়ায় তিনি আগেও নানা সময়ে বলেছেন, প্রতিটি ম্যাচকেই নিজের শেষ ম্যাচ ধরে খেলেন। তার পরও সিরিজ বা টুর্নামেন্টের শুরুতে একটু নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু সেমি-ফাইনাল ম্যাচ হারলে দলের বিদায়। নিজের ফর্মও ভালো না। সব মিলিয়ে এই ম্যাচে নিজের শেষ প্রায় দেখেই বলেছিলেন ওয়েড।
জয়ের হাসি নিয়ে ম্যাচের পর এই কিপার-ব্যাটসম্যান শোনালেন তার ম্যাচের আগের শঙ্কার কথা।
“স্রেফ ক্যারিয়ার শেষের দুয়ারে দাঁড়ানো নয়, বলা যায়, নিশ্চিতভাবেই শেষ হয়ে যেত। খানিকটা নার্ভাস হয়েই আমি এই ম্যাচে মাঠে নামি। জানতাম যে, অস্ট্রেলিয়াকে প্রতিনিধিত্ব করার হয়তো এটিই শেষ সুযোগ।”
“আমি স্রেফ ভালো করতে চেয়েছি এবং প্রবলভাবে চেয়েছি আমাদের জয়, যেন পুরোটা জয়ের সুযোগ আমরা পাই। ড্রেসিংরুমে অসাধারণ সব ছেলে আমাদের, যাদের সঙ্গে অনেক অনেক লম্বা সময় ধরে খেলছি।”
দারুণ ইনিংস খেলে ক্যারিয়ার আরেক ম্যাচের জন্য বেঁচে গেছে বলেই যে আরও লম্বা হবে, এটিও নিশ্চিত ধরে বসে নেই ওয়েড। বিশ্বকাপের ফাইনালের পর যদি সুযোগ না পান, সেটিও তিনি মেনে নেবেন।
“আমার মনে হয়েছিল, ফাইনালের চেয়ে সেমি-ফাইনালেই সম্ভবত স্নায়ুর চাপ বেশি। ফাইনাল মানে তো এই মঞ্চে আমরা আছি, হারানোর খুব বেশি কিছু নেই। আমরা সেখানে গিয়ে সেরাটা ঢেলে দেওয়ার চেষ্টা করব।”
“এটিও আমার শেষ ম্যাচ হতে পারে। আগেও যেমনটি বলেছি, এই বাস্তবতায় আমি মানিয়ে নিয়েছি। এটিই যদি শেষ হয়, তবে হোক। আর, যতদিন তারা আমার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবে এবং আশা করি আমরা কিছু ম্যাচ জিতব, ততদিন আমি আছি।”