টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালের সবচেয়ে আলোচিত মুহূর্ত আপাতত সেটি। ১০ বলে তখন অস্ট্রেলিয়র প্রয়োজন ছিল ২০ রান। শাহিন শাহ আফ্রিদির বলে স্লগ করেন ওয়েড। ডিপ মিড উইকেটে দ্রুত গতিতে দৌড়ানোর চেষ্টায় বলের ফ্লাইট বুঝতে ভুল করে একটু বেশিই সামনে এগিয়ে যান হাসান। বল হাতে লাগাতে পারলেও তা ফসকে যায় তার মুঠো থেকে।
পরের তিন বলেই তিনটি ছক্কায় দারুণ জয়ে দলকে ফাইনালে তোলেন ওয়েড। হতাশায় নুয়ে পড়েন পাকিস্তানি ক্রিকেটাররা।
ম্যাচের পর পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ওয়েড তখন আউট হলেই ম্যাচের ফল অন্যরকম হতো। তবে ওয়েড ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে বললেন, তার ভাবনা এখানে অন্যরকম।
“হাতছাড়া হওয়া ক্যাচটি… আমি নিশ্চিত নই (টার্নিং পয়েন্ট কিনা)। সম্ভবত ১২-১৪ রান লাগত তখন (ক্যাচটি নিলে লাগত ৯ বলে ২০)। তবে আমার মতে, ম্যাচ তখন এমনিতেই আমাদের দিকে হেলে পড়তে শুরু করেছিল।”
“অবশ্যই আমি আউট হয়ে গেলে অনিশ্চিত হয়ে যেত পরিস্থিতি। তবে মার্কাস (স্টয়নিস) তখনও ক্রিজে এবং প্যাট (কামিন্স) নামছিল ব্যাটিংয়ে, যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসীই থাকতাম যে ওরা পারবে। কাজেই আমি বলব না যে ওই কারণেই (ক্যাচ মিস) আমরা জিতেছি।”
ওয়েড তখন আউট হলে স্ট্রাইকে থাকতে মার্কাস স্টয়নিস। চাপে থাকা অস্ট্রেলিয়া শেষ দিকে ঘুরে দাঁড়ায় তার দারুণ ব্যাটিংয়েই। ওই সময়টায় খেলছিলেন ৩১ বলে ৪০ রানে। বাইরে থাকা প্যাট কামিন্স, মিচেল স্টার্কদের ব্যাটের হাত মন্দ নয়। কিন্তু বাস্তবতা বলে, ওয়েড আউট হয়ে গেলে ৯ বলে ২০ রানের সমীকরণ মেলানো কঠিনই হতো।
ওয়েড যদিও শুধু শেষবেলায় নজর নিজে নারাজ। তার মতে, ম্যাচজুড়ে অনেক ঘটনাই হতে পারে ম্যাচের নিয়ামক।
“আমার মনে হয়, এমন একটা সময়ে ক্যাচটি মিস হয়েছে, বাকি রানগুলি করার মতো ভালো অবস্থানে আমরা ছিলাম। তিন-চার ওভার আগে এট ঘটলে হয়তো ম্যাচের ফলাফলে বেশি প্রভাব পড়তে পারত। ৮ বলে ১৩-১৪ রান তো হয়ই।”
“ম্যাচের শেষদিকের ঘটনায় বেশি মনোযোগ দিতেই পারেন। তবে এটি ছাড়াও ম্যাচে আরও অনেক ঘটনাপ্রবাহ ছিল, সেসবও ম্যাচের ভাগ্যে ভূমিকা রাখতে পারে। তবে আমার মনে হয় না ওই ক্যাচ মিস ম্যাচের ফলাফলে খুব বড় প্রভাব রেখেছে।”