মাইলফলক ছুঁতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমি-ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে রিজওয়ানের দরকার ছিল ৩৪ রান। দুবাইয়ে বৃহস্পতিবার ম্যাচটির দ্বাদশ ওভারে জ্যাম্পাকে ছক্কা মেরে কাঙ্ক্ষিত ঠিকানায় পৌঁছান এই ওপেনার।
তিনি অবশ্য আউট হতে পারতেন শূন্য রানেই। মিড অফ থেকে অনেকটা পেছনে দৌড়ে কঠিন ক্যাচটা নিতে পারেননি ডেভিড ওয়ার্নার। আরও একবার জীবন পান তিনি ২০ রানে।
সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগান ২৯ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যান। ফিফটি পূর্ণ করেন ৪১ বলে। আউট হন ৬৭ রান করে। ৫২ বলের ইনিংসে চারটি ছক্কার সঙ্গে চার তিনটি।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডটি আগেই গড়েছেন রিজওয়ান। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিংয়ের ৭৪৮ রান ছিল আগের রেকর্ড।
বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে রিজওয়ান গড়েন আরেকটি রেকর্ড। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এক পঞ্জিকাবর্ষে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ডে ছাড়িয়ে যান ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহাতারকা ক্রিস গেইলকে।
এই বছর আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২০ ইনিংসে রিজওয়ানের রান হলো ১ হাজার ৩৩। গড় ৮৬.০৮ আর স্ট্রাইক রেট ১৩৬.৪৫। ১০টি ফিফটির পাশে সেঞ্চুরি একটি।
চলতি বছর হাজার রান ছোঁয়ার হাতছানি আছে রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটির সঙ্গী বাবর আজমের সামনেও। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৯ রান করার পর ২০ ইনিংসে পাকিস্তান অধিনায়কের রান এখন ৮২৬।
স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে এই বছর ৩৯ ইনিংসে রিজওয়ানের রান এখন ১ হাজার ৭৪৩। ২০১৫ সালে ১ হাজার ৬৬৫ রান করে রেকর্ডটা গড়েছিলেন গেইল।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ইনিংসটির পর স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে গেইলকে ছাড়িয়ে গেছেন বাবরও। ৩৭ ইনিংসে তার রান ১ হাজার ৬৬৬। ২০১৬ সালে এক হাজার ৬১৪ রান করে রেকর্ডের তালিকায় চারে আছেন ভারতের বিরাট কোহলি।