প্রথম সেমি-ফাইনালে আবু ধাবিতে বুধবার শেষ ৪ ওভারে নিউ জিল্যান্ডের দরকার ছিল ৫৭ রান। ড্যারিল মিচেল ও জেমস নিশামের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে এক ওভার বাকি থাকতেই তা ছুঁয়ে ফেলে কিউইরা। ৫ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো তারা পা রাখে এই সংস্করণের বিশ্বকাপের ফাইনালে।
ডেইলি মেইলে নিজের লেখা কলামে নাসের তুলে ধরেন ইংল্যান্ডের হারের কারণ। এই হারে তার মনে পড়ছে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের কথাও।
পাঁচ বছর আগে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওই ফাইনালে শেষের আগের ওভারে ক্রিস জর্ডান দেন কেবল ৮ রান। শেষ ওভারে স্টোকসের প্রথম চার বলে চারটি ছক্কা হাঁকিয়ে কঠিন সমীকরণ মেলান কার্লোস ব্র্যাথওয়েইট।
ইংলিশদের এবারের হতাশার ম্যাচে ১৭তম ওভারে জর্ডানকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মারেন নিশাম। ওভারটি থেকে আসে ২৩ রান।
নিশামের ১১ বলে ২৭ রানের ক্যামিও ইনিংসটি ঘুরিয়ে দেয় ম্যাচের মোড়। শেষ দুই ওভারে দরকার ছিল ২০ রান। শেষের আগের ওভারে ক্রিস ওকসকে দুটি ছক্কা ও একটি চার মেরে ম্যাচের ইতি টেনে দেন ৪৭ বলে ৭২ রান করা মিচেল।
চোটের কারণে টুর্নামেন্টের মাঝপথে ছিটকে যান ইংল্যান্ডের টাইমাল মিলস। এই পেসার থাকলে ম্যাচের ফল অন্যরকম হতে পারত বলেও মনে করেন ইংল্যান্ডের হয়ে ৯৬ টেস্ট খেলা নাসের।
সাম্প্রতিক সময়ে শেষ দিকে জর্ডানের বোলিং ভালো না হওয়ার একটি কারণও আন্দাজ করতে পারছেন নাসের। তবে ইংল্যান্ডের হারের কারণ জর্ডান, এভাবে না ভাবার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানালেন তিনি।
“আমি আগেও বলেছি, জর্ডানের ডেথ বোলিং গত এক বছরে তেমন ভালো হয়নি। এর কারণ হতে পারে ইয়র্কার বোলিংয়ের পরিকল্পনা থেকে ওয়েন মর্গ্যানের দূরে সরে যাওয়া।”
“এমন নয় যে জর্ডানের কারণেই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়েছে। আশা করি, লোকজন বিষয়টিকে এভাবে দেখবে না। কঠিন সময়ে বোলিংয়ের জন্য একজনকে এগিয়ে আসতেই হতো। এ দিন তার পরিকল্পনা ঠিকঠাক কাজ করেনি।”