২২ গজে মিচেলের বীরত্ব, গ্যালারিতে স্বাক্ষী রাগবি তারকা বাবা

ড্যারিল মিচেল তখন উইকেটে লড়ে যাচ্ছেন নিউ জিল্যান্ডকে জয়ের পথে এগিয়ে নিতে। টিভি ক্যামেরায় তখন গ্যালারিতে দেখা গেল আরেক মিচেলকে। তিনিও ক্রীড়া জগতেরই তারকা এবং নিজের জগতে দারুণ পরিচিত মুখ। নিউ জিল্যান্ডের সাবেক রাগবি ইউনিয়ন তারকা এবং এখন ইংল্যান্ড রাগবি দলের ডিফেন্স কোচ, জন মিচেল। তবে এ দিন গ্যালারিতে তার একটিই পরিচয়, ড্যারিল মিচেলের বাবা!

স্পোর্টস ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 Nov 2021, 04:44 AM
Updated : 11 Nov 2021, 04:44 AM

বিশ্বকাপ সেমি-ফাইনালে ছেলের খেলা দেখতে সংযুক্ত আরব আমিরাতে উড়ে যান জন মিচেল। ভাগ্য বটে তার! আবু ধাবির গ্যালারিতে বসে দেখেন, ছেলের বীরোচিত পারফরম্যান্সে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে তার দেশ।

খেলোয়াড়ি জীবনে জন মিচেলের রাগবি ক্যারিয়ার বছর দশেকের। রাজ্য দলে তিনি ছিলেন নিয়মিত মুখ। নিউ জিল্যান্ডের হয়ে রাগবি টেস্ট খেলতে না পারলেও তবে খেলেছেন অনানুষ্ঠানিক ম্যাচে। তবে নিজের খেলোয়াড়ি জীবনকে ছাপিয়ে যান তিনি কোচ হিসেবে। দুই যুগের বেশি দীর্ঘ কোচিং ক্যারিয়ারে তিনি রাগবি জগতের সেরা কোচদের একজন।

আয়ারল্যান্ড ও ইংল্যান্ড দলের ফরোয়ার্ড কোচ ছিলেন তিনি, নিউ জিল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রের ছিলেন প্রধান কোচ। এছাড়াও আরও অনেক দলকে কোচিং করিয়ে গত তিন বছর ধরে আছেন ইংল্যান্ডের ডিফেন্স কোচের দায়িত্বে।

তার ছেলে ড্যারিলও এক সময় রাগবি খেলত। তবে তার স্বপ্ন ছিল ক্রিকেট ঘিরেই। দেশের হয়ে খেলার সেই স্বপ্ন সত্যিও হয়।

যদিও জাতীয় দলে ঢুকতে অনেকটা সময় লেগে যায় তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে অনেক পোড় খেয়ে, অনেক চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে তবেই নিউ জিল্যান্ড দলে জায়গা হয়। তবে দলে যাওয়া-আসার মধ্যে ছিলেন। খেলার সুযোগ মিলেছে কম। অবশেষে এই বছর থেকে নিজের ছাপ রাখতে শুরু করেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সেঞ্চুরি করেন, বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেন ওয়ানডেতে।

এরপর ওপেনার না হয়েও এই বিশ্বকাপে নিয়মিত ওপেন করছেন দলের প্রয়োজনে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ বলে ৭২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে তুলেছেন বিশ্বকাপের ফাইনালে।

দলকে ফাইনালে তোলার আনন্দ তো আছেই। মা-বাবার সামনে এমন পারফরম্যান্স দেখাতে পেরেও ৩০ বছর বয়সী মিচেল ছিলেন উচ্ছ্বসিত।

“এটা দারুণ যে বাবা এখানে ছিল। কোভিড পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের যা অবস্থা, ইংল্যান্ড থেকে উড়ে আসা, সবকিছু অনেক সময়ই চ্যালেঞ্জিং। তার পরও গ্যালারিতে তাকে দেখতে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। সুরক্ষা-বলয়ে থাকায় তার সঙ্গে দেখা করতে পারব না, তবে ফোনে তো কথা হবেই। আমি জানি, তিনি আনন্দে ভাসছেন।”