আবু ধাবিতে বুধবার প্রথম সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলের জয়ে ছোট্ট কিন্তু কার্যকর এক ইনিংস খেলেন নিশাম। চার ওভারে ৫৭ রানের কঠিন সমীকরণের সামনে ১১ বলে তিন ছক্কা ও এক চারে ২৭ রানের ইনিংসে দলকে তিনি এনে দেন মোমেন্টাম। যেখান থেকে এক ওভার আগেই জয় নিশ্চিত করে নিউ জিল্যান্ড।
ষোড়শ ওভারের প্রথম বলে লিয়াম লিভিংস্টোনকে ছক্কায় ওড়ানোর চেষ্টায় গ্লেন ফিলিপস সীমানায় ধরা পড়লে ক্রিজে আসেন নিশাম। তখন প্রয়োজন ছিল ২৯ বলে ৬০ রান। লিভিংস্টোনের সেই ওভার থেকে আসে কেবল ৩ রান।
শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক ধরে রাখেন নিশাম। পরের ওভারের প্রথম বলে মিডউইকেটের ওপর দিয়ে ছক্কায় ওড়ান ক্রিস জর্ডানকে। ওই ওভারেই মারেন আরেকটি ছক্কা ও চার। ওভারটি থেকে আসে ২৩।
অষ্টাদশ ওভারে আদিল রশিদের প্রথম বল খেলেন ডট। পরেরটি ওড়ান ছক্কায়। পরের বলে নেন সিঙ্গেল। ইংলিশ লেগ স্পিনারকে ছক্কা হাঁকিয়ে তাকে স্ট্রাইক ফিরিয়ে দেন মিচেল। ওভার শেষ বলটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে গুগলি, ঠিক মতো খেলতে পারেননি নিশাম। কাভারে ক্যাচ মুঠোয় জমান ওয়েন মর্গ্যান।
ততক্ষণে ম্যাচের লাগাম পেয়ে যায় নিউ জিল্যানড্। শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন পড়ে ২০ রান। এক ওভারেই সেই সমীকরণ মিলিয়ে দেওয়া মিচেল জেতেন ম্যাচ সেরার পুরস্কার। তার মতেও নিশামের ইনিংসটি খুবই কার্যকর ছিল তাদের জন্য।
“টি-টোয়েন্টি মোমেন্টামের খেলা। আমরা জানতাম, আমাদের এক-দুটি বড় ওভার প্রয়োজন। নিশামের ইনিংস আমাদের খুব কাজে এসেছে। প্রথম বল থেকে সে যেভাবে চড়াও হয়েছে, অসাধারণ।”
নিউ জিল্যান্ড অধিনায়কের মতে, ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে নিশামের খুনে ইনিংসটি।
“নিশাম গিয়েই প্রথম বল থেকে মারতে শুরু করে। এটাই ম্যাচের মোমেন্টাম পাল্টে দেয়। এটাই আসলে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে।”
৪ ওভারে ৫৭ রান ডিফেন্ড করতে না পেরে ভীষণ হতাশ ওয়েন মর্গ্যান। ইংলিশ অধিনায়ক মনে করেন, নিশাম অমনভাবে চড়াও না হলে খেলার চিত্র ভিন্ন হতে পারত।
“দলের প্রয়োজনে চাপের সময় উঁচুমানের ক্যামিও ইনিংস খেলেছে নিশাম। প্রথম বল থেকে ছক্কা মারার এমন সামর্থ্য, অসাধারণ। পুরো কৃতিত্ব নিশামের।”