বৈশ্বিক আসরে আবারও যখন মুখোমুখি দল দুটি, ঘুরে-ফিরে আসছে ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপের রোমাঞ্চকর ফাইনাল। যেখানে মূল ম্যাচ ‘টাই’ হওয়ার পর সুপার ওভারেও দুই দল ছিল সমতায়। শেষ পর্যন্ত বাউন্ডারির সংখ্যায় এগিয়ে থেকে প্রথমবারের মতো এই সংস্করণের বিশ্বকাপে শিরোপার স্বাদ পায় ইংল্যান্ড।
এরপর আর ওয়ানডেতে দেখা হয়নি দুই দলের। টি-টোয়েন্টিতে সবশেষ যখন দেখা হয়েছিল তাদের। সেখানেও ছড়িয়েছিল রোমাঞ্চ। বিশ্বকাপের ওই বছরেই অকল্যান্ডের সেই লড়াইয়েও মূল ম্যাচ হয়েছিল ‘টাই’। সুপার ওভারে জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল ইংলিশরা।
২০ ওভারের সংস্করণে মুখোমুখি লড়াইয়ের মোট হিসাবেও এগিয়ে ইংল্যান্ড। ২১ ম্যাচের মধ্যে ইংলিশদের জয় ১২টি, কিউইরা জিতেছে সাতটি।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টুয়েলভে প্রথম চার ম্যাচে জয়ের পর ইংল্যান্ড হারে শেষটিতে। এক নম্বর গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হয়ে তারা পা রাখে সেমি-ফাইনালে। অন্যদিকে, আসরে নিউ জিল্যান্ড শুরুতেই হেরে বসে; তবে পরের চারটি টানা জিতে দুই নম্বর গ্রুপের রানার্সআপ হয় কেন উইলিয়ামসনের দল।
ফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে বুধবার আবু ধাবিতে মুখোমুখি হবে দল দুটি। বাংলাদেশ সময় ম্যাচটি শুরু হবে রাত আটটায়। আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে মর্গ্যান উড়িয়ে দিলেন ফেভারিট তকমা।
“আমি (নিজেদের) শক্তিশালী ফেভারিট বলতে চাই না। নিউ জিল্যান্ডের পূর্ণ শক্তির দল রয়েছে। টুর্নামেন্ট জুড়ে চোট আমাদের ভুগিয়েছে। আমরা সত্যিই ভালো ক্রিকেট খেলছি...কিন্তু তাদের হারাতে হলে সেরা ক্রিকেট খেলতে হবে আমাদের।”
“এটিই (দলগতভাবে লড়াই করা) সম্ভবত তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী জায়গাগুলোর একটি। তারা একসঙ্গে কাজ করে। তারা কখনই এক বা দুইজন খেলোয়াড়ের ওপর নির্ভর করে না। সবসময় সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিজেদের মেলে ধরে।”
আসরে ইংল্যান্ড পায়নি বেন স্টোকস, জফ্রা আর্চার ও স্যাম কারানকে। টুর্নামেন্টের মাঝপথে চোটে ছিটকে যান টাইমাল মিলস আর গত শনিবার পাওয়া চোটে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে জেসন রয়ের।
সুপার টুয়েলভের শেষ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়ে ওপেনার রয়ের ছিটকে যাওয়াটা ইংল্যান্ডের জন্য এসেছে বড় ধাক্কা হয়ে।
সেমি-ফাইনালে ওপেনিংয়ে জস বাটলারের সঙ্গী কে হবেন তাহলে? মর্গ্যান রেখে দিলেন রহস্য।
“নিজেদের মধ্যে আমরা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছি...সেটা সবার সামনে বলতে রাজি নই আমি।”