ভারতের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বে কোহলির ৫০তম ম্যাচটি ছিল অধিনায়ক হিসেবে এই সংস্করণে তার শেষ ম্যাচও। বিশ্বকাপের আগেই ঘোষণা করেছিলেন, এই বিশ্বকাপ দিয়ে ইতি টানবেন টি-টোয়েন্টি নেতৃত্বের। সেই পথচলা শেষ হলো প্রত্যাশার একটু আগেই। সেমি-ফাইনালের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে যায় ভারত।
সুপার টুয়েলভে সোমবার নামিবিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এই বিশ্বকাপে ভারতের শেষ ম্যাচ। ২০ ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়ক কোহলির শেষ ম্যাচও।
ম্যাচ শেষে কোহলি হাসিমুখে বললেন তার নেতৃত্বের শেষবেলার অনুভূতি। ফিরে তাকালেন নেতৃত্বের পুরো ভ্রমণে।
“নির্ভার লাগছে… (হাসি)। অনেক বড় একটা সম্মান এটি (দেশকে নেতৃত্ব দেওয়া)। সবকিছু ঠিক পথে রাখার চেষ্টা করেছি। তবে আগেও যেটা বলেছি, আমার মনে হয় আমার ওয়ার্কলোড ম্যানেজ করার উপযুক্ত সময় এখনই। ৬-৭ বছর ধরে সবটুকু উজাড় করে দিলে (নেতৃত্বে) জীবনীশক্তির অনেকটা শুষে নেয়।”
“অসাধারণ ছিল এই ভ্রমণ, উপভোগ্য ছিল। অসাধারণ এক দল লম্বা সময় ধরে একসঙ্গে খেলছে এবং দুর্দান্ত পারফর্ম করছে। আমি জানি, এই বিশ্বকাপে আমরা বেশিদূর এগোতে পারিনি। তবে টি-টোয়েন্টি দল হিসেবে আমরা দারুণ করেছি এবং পরস্পরের সঙ্গে এই ভ্রমণ উপভোগ করেছি। এটাই আমার কাছে মূখ্য এবং ছেলেরা আমার কাজ সহজ করে তুলেছে।”
এরপর যখন ভারতের জার্সিতে টি-টোয়েন্টি খেলবেন কোহলি, তখন আর নেতা হয়ে নয়, মাঠে নামবেন ‘সাধারণ’ ক্রিকেটার হয়ে। তার শরীরী ভাষার বারুদ কি তখনও থাকবে? কোহলির উত্তর এখানে প্রত্যাশিতই।
“এটা কখনোই বদলাবে না। যদি সেটা করতে না পারি, তাহলে এই খেলাটাই আর খেলব না। প্রথম দিন থেকেই এটা আমার চাওয়া। এমনকি যখন অধিনায়ক ছিলাম না, তখনও আমি সবসময় শিখতে চাইতাম। বুঝতে চাইতাম, খেলাটা কোনদিকে এগোচ্ছে। দলের জন্য কিছু করতে নিজের ভাবনা সবসময়ই তুলে ধরতে চাইতাম।”
“আমি তাই এরকম কেউ নই যে কিছু না করে স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকব। সবসময়ই মাঠে ১২০ ভাগ ঢেলে দিতে চাইব।”